নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘাটতি বাজেটের ব্যয় মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। এতে এই খাত থেকে ঋণ বেড়েই চলছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে সরকারের মোট ঋণ বেড়েছে ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। তবে ঋণ পরিশোধের পরে নিট ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের ব্যাংকিং খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের জুন শেষে ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। যা অক্টোবর শেষে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। সবশেষে নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আয় কমে গেলে তখন ঋণ নেয়। বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণও কম। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে সুদের হার। তাই সরকারকে ঋণ নিতে হলে এখন ব্যাংকিং খাত থেকেই নিতে হবে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে।’
এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আর চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমনিতেই ব্যাংকিং খাত তারল্য চাপে রয়েছে। এর ওপর সরকারের এই ঋণ চাপ আরও বাড়বে। সরকারের এই মুহূর্তে উচিত হবে, যেসব মেগা প্রজেক্টে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়, সেগুলো আপাতত বন্ধ করা।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাজারে টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণে ও দেশীয় পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের শুরুতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে তিন দফা নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়িয়েছে। তারপরও সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে। এর মধ্যে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাগামহীনভাবে ঋণ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নগদ টাকার চাপে রয়েছে।
ঘাটতি বাজেটের ব্যয় মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। এতে এই খাত থেকে ঋণ বেড়েই চলছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে সরকারের মোট ঋণ বেড়েছে ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। তবে ঋণ পরিশোধের পরে নিট ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের ব্যাংকিং খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের জুন শেষে ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। যা অক্টোবর শেষে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। সবশেষে নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আয় কমে গেলে তখন ঋণ নেয়। বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণও কম। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে সুদের হার। তাই সরকারকে ঋণ নিতে হলে এখন ব্যাংকিং খাত থেকেই নিতে হবে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে।’
এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আর চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমনিতেই ব্যাংকিং খাত তারল্য চাপে রয়েছে। এর ওপর সরকারের এই ঋণ চাপ আরও বাড়বে। সরকারের এই মুহূর্তে উচিত হবে, যেসব মেগা প্রজেক্টে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়, সেগুলো আপাতত বন্ধ করা।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাজারে টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণে ও দেশীয় পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের শুরুতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে তিন দফা নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়িয়েছে। তারপরও সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে। এর মধ্যে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাগামহীনভাবে ঋণ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নগদ টাকার চাপে রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে