রাহুল শর্মা, ঢাকা
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীন দুটি প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর আগে শেষ হলেও শতাধিক গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের অর্থে কেনা গাড়িগুলো বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সব যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা আছে। ওই দুই প্রকল্পের একটিমাত্র গাড়ি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো বণ্টন করা হয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। এ বিষয়ে অডিট বা নিরীক্ষা আপত্তি দিয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তর। সেই আপত্তি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
প্রকল্পের গাড়ি জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প শেষে ৬০ দিনের মধ্যে গাড়ি জমা না দেওয়া সরকারি নির্দেশনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ বিষয়ে একাধিকবার দপ্তরগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের গাড়িগুলো কোথায় জানতে চাইলে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটি আমি দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে। বিধিবহির্ভূত কোনো কিছুই করার সুযোগ নেই।’
অধিকাংশই মিতসুবিশি জিপ
জানা যায়, মাউশির অধীনে ‘টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই) ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ নামের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। এর মধ্যে ৫৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ের টিকিউআই-১ ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পে (সেপ) ৩৫টি গাড়ি কেনা হয়। আর ৫১২ কোটি টাকা ব্যয়ের টিকিউআই-২ ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পে কেনা হয় ৭০টি গাড়ি। এই ১০৫টি গাড়ি কেনা হয় প্রায় ৭০ কোটি টাকায়। গাড়িগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মিতসুবিশি নাটিভা, পাজেরো ও আউটল্যান্ডার ব্র্যান্ডের জিপ। অন্যগুলো হলো টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাস, সেডান কার ও ডাবল কেবিন পিক-আপ। সরকারের বাইরে প্রকল্পে অর্থের জোগান দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং কানাডীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। মাধ্যমিক স্তরের সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং একীভূত শিক্ষাপদ্ধতি চালু করাই ছিল এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
কোথায় কত গাড়ি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিকিউআই-১ প্রকল্পের একটি গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা মেট্রো-চ-৫১৬৭১০) সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়েছে। দুই প্রকল্পের বাকি ১০৪টি গাড়ির মধ্যে একটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে। তিনটি গাড়ি মাউশির প্রধান কার্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি ১০০ গাড়ি শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৪টি মিতসুবিশি পাজেরো ও এএসএক্স জিপ। টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪টি হায়েস মাইক্রোবাস। আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়গুলোতে আছে ১০টি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার জিপ। বাকি গাড়িগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, নায়েম ও আউটরিচ রিসোর্স সেন্টার প্রকল্পে।
মাউশির একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, অধিকাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরেও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এসব গাড়ি হরহামেশাই ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না জ্বালানি ব্যয়-সংক্রান্ত বিধিও।
কয়েকটি জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, শিক্ষা কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত কাজে কার্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করেন। এর পুরো ব্যয় কার্যালয় থেকেই বহন করা হয়।
প্রকল্পের গাড়িগুলো সরকারি পরিবহন পুলে জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে টিকিউআই-২ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রায়হানা তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাউশির ট্র্যাডিশন অনুযায়ী গাড়িগুলো পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়নি। আর বিভিন্ন দপ্তরকে গাড়িগুলো আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বণ্টন করা হয়েছে।’
তথ্য নিয়ে লুকোচুরি
প্রকল্পের আওতায় কেনা গাড়িগুলো কোথায়, সে বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, এ বিষয়ে কথা বলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, টিকিউআই প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মূলত এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
গাড়িগুলো কোথায় জানতে চাইলে মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।’
তথ্য অধিকার আইনে চিঠি দিয়েও প্রকল্পের গাড়িসহ সার্বিক বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ-সংক্রান্ত চিঠির জবাবে মাউশির সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা) কামরুন নাহার লিখেছেন, ‘টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই) প্রকল্প ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সমাপ্ত হয়। মাউশি অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখাকে আলোচ্য প্রকল্পের কোনো নথিপত্র বুঝিয়ে না দেওয়ায় প্রকল্পের প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদনের ছায়ালিপি অত্র শাখা হতে সরবরাহ করা সম্ভব নয়।’
নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম শাহীনের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক, প্রকল্প সমাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে প্রকল্পের সব সচল যানবাহন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়াধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পরিবহন পুলে জমা প্রদান করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত প্রকল্পের যানবাহন জমা না হলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর বিষয়টি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পের গাড়ি, অফিস ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ম অনুযায়ী যথাস্থানে জমা দিতে হবে—এমন অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তিনি এই অনুশাসন দেন।
অনিয়ম দেখছেন সাবেক শিক্ষাসচিব
বিষয়টি অনিয়ম হিসেবে দেখছেন সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই অনিয়ম, তবে বেআইনি নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আইনের মধ্যে থেকেই গাড়িগুলো নিজ দপ্তরের প্রয়োজনে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীন দুটি প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর আগে শেষ হলেও শতাধিক গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের অর্থে কেনা গাড়িগুলো বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সব যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা আছে। ওই দুই প্রকল্পের একটিমাত্র গাড়ি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো বণ্টন করা হয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। এ বিষয়ে অডিট বা নিরীক্ষা আপত্তি দিয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তর। সেই আপত্তি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
প্রকল্পের গাড়ি জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প শেষে ৬০ দিনের মধ্যে গাড়ি জমা না দেওয়া সরকারি নির্দেশনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ বিষয়ে একাধিকবার দপ্তরগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের গাড়িগুলো কোথায় জানতে চাইলে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটি আমি দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে। বিধিবহির্ভূত কোনো কিছুই করার সুযোগ নেই।’
অধিকাংশই মিতসুবিশি জিপ
জানা যায়, মাউশির অধীনে ‘টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই) ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ নামের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। এর মধ্যে ৫৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ের টিকিউআই-১ ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পে (সেপ) ৩৫টি গাড়ি কেনা হয়। আর ৫১২ কোটি টাকা ব্যয়ের টিকিউআই-২ ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পে কেনা হয় ৭০টি গাড়ি। এই ১০৫টি গাড়ি কেনা হয় প্রায় ৭০ কোটি টাকায়। গাড়িগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মিতসুবিশি নাটিভা, পাজেরো ও আউটল্যান্ডার ব্র্যান্ডের জিপ। অন্যগুলো হলো টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাস, সেডান কার ও ডাবল কেবিন পিক-আপ। সরকারের বাইরে প্রকল্পে অর্থের জোগান দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং কানাডীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। মাধ্যমিক স্তরের সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং একীভূত শিক্ষাপদ্ধতি চালু করাই ছিল এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
কোথায় কত গাড়ি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিকিউআই-১ প্রকল্পের একটি গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা মেট্রো-চ-৫১৬৭১০) সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়েছে। দুই প্রকল্পের বাকি ১০৪টি গাড়ির মধ্যে একটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে। তিনটি গাড়ি মাউশির প্রধান কার্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি ১০০ গাড়ি শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৪টি মিতসুবিশি পাজেরো ও এএসএক্স জিপ। টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪টি হায়েস মাইক্রোবাস। আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়গুলোতে আছে ১০টি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার জিপ। বাকি গাড়িগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, নায়েম ও আউটরিচ রিসোর্স সেন্টার প্রকল্পে।
মাউশির একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, অধিকাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরেও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এসব গাড়ি হরহামেশাই ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না জ্বালানি ব্যয়-সংক্রান্ত বিধিও।
কয়েকটি জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, শিক্ষা কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত কাজে কার্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করেন। এর পুরো ব্যয় কার্যালয় থেকেই বহন করা হয়।
প্রকল্পের গাড়িগুলো সরকারি পরিবহন পুলে জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে টিকিউআই-২ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রায়হানা তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাউশির ট্র্যাডিশন অনুযায়ী গাড়িগুলো পরিবহন পুলে জমা দেওয়া হয়নি। আর বিভিন্ন দপ্তরকে গাড়িগুলো আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বণ্টন করা হয়েছে।’
তথ্য নিয়ে লুকোচুরি
প্রকল্পের আওতায় কেনা গাড়িগুলো কোথায়, সে বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, এ বিষয়ে কথা বলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, টিকিউআই প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মূলত এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
গাড়িগুলো কোথায় জানতে চাইলে মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।’
তথ্য অধিকার আইনে চিঠি দিয়েও প্রকল্পের গাড়িসহ সার্বিক বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ-সংক্রান্ত চিঠির জবাবে মাউশির সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা) কামরুন নাহার লিখেছেন, ‘টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (টিকিউআই) প্রকল্প ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সমাপ্ত হয়। মাউশি অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখাকে আলোচ্য প্রকল্পের কোনো নথিপত্র বুঝিয়ে না দেওয়ায় প্রকল্পের প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদনের ছায়ালিপি অত্র শাখা হতে সরবরাহ করা সম্ভব নয়।’
নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম শাহীনের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক, প্রকল্প সমাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে প্রকল্পের সব সচল যানবাহন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়াধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পরিবহন পুলে জমা প্রদান করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত প্রকল্পের যানবাহন জমা না হলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর বিষয়টি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পের গাড়ি, অফিস ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ম অনুযায়ী যথাস্থানে জমা দিতে হবে—এমন অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তিনি এই অনুশাসন দেন।
অনিয়ম দেখছেন সাবেক শিক্ষাসচিব
বিষয়টি অনিয়ম হিসেবে দেখছেন সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই অনিয়ম, তবে বেআইনি নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আইনের মধ্যে থেকেই গাড়িগুলো নিজ দপ্তরের প্রয়োজনে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে