কয়রা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে নদীর জোয়ারের পানি আসা যাওয়া করছে। এতে ঘর-বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে মানুষ এখন রাস্তায় বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত শনিবার থেকে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিহরপুর ও গাতিরঘেরি গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবারের চিত্র এটি।
হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা পশুপতি মণ্ডল বলেন, কখন কি হয় এই ভয়ে জোয়ারের সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় থাকছি। রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। ভাটা নেমে গেলে ঘরের ভেতর কয়েকটি ইট দিয়ে চুলা তৈরি করে রান্না করা হচ্ছে। একবার রান্না করে সারা দিন সেই খাবার খেতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
পশুপতি মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, আমার সাড়ে সাত বিঘার একটি মৎস্য ঘের ছিল। এর মধ্যে পাঁচ বিঘা নদীতে চলে গেছে। আর বাকি আড়াই বিঘা তাড়াতাড়ি বাঁধ না হলে ওই অংশটুকুও নদীতে চলে যাবে।
একই গ্রামের কাজল মণ্ডল বলেন, যে কোনো দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভাঙে। সেই সঙ্গে কপাল পোড়ে আমাদের মতো গরিব মানুষের। আজ এখানে তো কাল ওখানে, বাঁধ ভাঙলেই সরতে হয়। সরতে সরতে এখন দাঁড়াবার জায়গা নেই।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাঁধ ভেঙে ভিটেহারা সীতা রানি মাহাতো বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। রান্না করার কোন ব্যবস্থা নেই, খাবার পানির কষ্টে আছি। প্রস্রাব পায়খানা করার কোন উপায় নেই। ছোট ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষদের নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।
একই গ্রামের ধীরেশ মাহাতো, কালিদাসী মণ্ডলসহ অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, `ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ ভাঙলি মেরামত করতি যারা আসেন তাদের অতি লোভের মাসুল গুনতি হয় আমাদের।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে নদীর জোয়ারের পানি আসা যাওয়া করছে। এতে ঘর-বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে মানুষ এখন রাস্তায় বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত শনিবার থেকে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিহরপুর ও গাতিরঘেরি গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবারের চিত্র এটি।
হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা পশুপতি মণ্ডল বলেন, কখন কি হয় এই ভয়ে জোয়ারের সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় থাকছি। রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। ভাটা নেমে গেলে ঘরের ভেতর কয়েকটি ইট দিয়ে চুলা তৈরি করে রান্না করা হচ্ছে। একবার রান্না করে সারা দিন সেই খাবার খেতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
পশুপতি মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, আমার সাড়ে সাত বিঘার একটি মৎস্য ঘের ছিল। এর মধ্যে পাঁচ বিঘা নদীতে চলে গেছে। আর বাকি আড়াই বিঘা তাড়াতাড়ি বাঁধ না হলে ওই অংশটুকুও নদীতে চলে যাবে।
একই গ্রামের কাজল মণ্ডল বলেন, যে কোনো দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভাঙে। সেই সঙ্গে কপাল পোড়ে আমাদের মতো গরিব মানুষের। আজ এখানে তো কাল ওখানে, বাঁধ ভাঙলেই সরতে হয়। সরতে সরতে এখন দাঁড়াবার জায়গা নেই।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাঁধ ভেঙে ভিটেহারা সীতা রানি মাহাতো বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। রান্না করার কোন ব্যবস্থা নেই, খাবার পানির কষ্টে আছি। প্রস্রাব পায়খানা করার কোন উপায় নেই। ছোট ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষদের নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।
একই গ্রামের ধীরেশ মাহাতো, কালিদাসী মণ্ডলসহ অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, `ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ ভাঙলি মেরামত করতি যারা আসেন তাদের অতি লোভের মাসুল গুনতি হয় আমাদের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে