বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল নগরে টানা ৩ দিন এলপি গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরপর সিলিন্ডারপ্রতি এক ধাক্কায় ১৫০ টাকা বাড়ায় গ্যাসের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষকে এখন থেকে খুচরা বাজারে ১২ কেজির এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকায়। গত দেড় দশকের মধ্যে এটি এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এর নেপথ্যে রয়েছে বরিশালে এলপি গ্যাসের শক্তিশালী চক্র। এ ঘটনায় নগরে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল নগরীর একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পরিবেশকেরা ১ হাজার ১৮০ টাকা করে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতেন। খুচরা বিক্রেতারা ৫০ টাকা লাভে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতেন ১ হাজার ২৩০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, গতকাল বুধবার থেকে বিভিন্ন এলপি গ্যাস কোম্পানির পরিবেশকেরা পাইকারি দর নির্ধারণ করেছেন ১ হাজার ৩৩০ টাকা। যে কারণে সাধারণ মানুষকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনতে হবে ১ হাজার ৩৮০ টাকায়।
নগরীর বটতলা বাজারের এলপি গ্যাস খুচরা বিক্রেতা মো. শাহিন জানান, প্রতি মাসের শেষ ২-৩ দিন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ বন্ধ করে সিলিন্ডার মজুত করেন এক শ্রেণির গ্যাস পরিবেশক। নতুন মাসের প্রথম দিন বর্ধিত মূল্যে গ্যাস কিনতে বাধ্য হন খুচরা বিক্রেতারা। এতে গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়তে হয়।
গোঁড়াচাঁদ দাস রোডের এলপি গ্যাসের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ তিন দিন পরিবেশকেরা খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার সরবরাহ করেননি। সিলিন্ডার চাওয়া হলে মজুত নেই বলে জানান পরিবেশকেরা। গতকাল বুধবার থেকে পরিবেশকেরা সিলিন্ডারপ্রতি দেড় শ টাকা বাড়িয়ে নতুন দরে সিলিন্ডার বিক্রি শুরু করেছেন।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস কোম্পানির স্থানীয় পরিবেশকদের একটি চক্র এভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এই চক্রের সঙ্গে নগরের ৮-১০ জন রয়েছেন। তাঁদের ইশারায় এই নগরে গ্যাসের দাম ওঠানামা করছে। যদিও এভাবে গ্যাসের দাম বাড়লেও প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
নগরের রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাদিয়া আফরিন বলেন, গৃহস্থালির রান্নায় এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এলপি গ্যাস। ৪-৫ সদস্যের একটি পরিবারে মাসে কমপক্ষে দুটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে একটি পরিবারকে শুধু রান্নার জ্বালানি হিসাবে ব্যয় হচ্ছে আড়াই হাজার টাকার বেশি। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এটি বেশ কষ্টসাধ্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপি গ্যাসের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক বাড়ায় নগরের বটতলা, চৌমাথা, বাংলাবাজার, সাগরদী বাজার এলাকার পাশাপাশি অলিগলির দোকানগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এলপি গ্যাস কোম্পানি বসুন্ধরার বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল ও প্রেট্রোম্যাক্সের পরিবেশক মলয় সাহা সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের কাছে মজুত না থাকায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারেননি।
অরিয়ন গ্যাস কোম্পানির পরিবেশক মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি মাসে দাম বাড়ে, তাই নতুন মূল্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশকেরা কোম্পানির পয়েন্ট থেকে এলপিজি সিলিন্ডার আনেন না। এ কারণে মাসের শেষ দিকে খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। একই কারণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই দিন বরিশালের খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার দিতে পারেননি পরিবেশকেরা।
এ ব্যাপারে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, ‘গ্যাস, ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নগরে অসন্তোষ ব্যাপক। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে জেলা প্রশাসনের দেখবে। কিন্তু বাজারে তদারকি নেই। পাইকারি ও খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এর ফলে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থন বাড়ছে।
বরিশাল নগরে টানা ৩ দিন এলপি গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরপর সিলিন্ডারপ্রতি এক ধাক্কায় ১৫০ টাকা বাড়ায় গ্যাসের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষকে এখন থেকে খুচরা বাজারে ১২ কেজির এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকায়। গত দেড় দশকের মধ্যে এটি এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এর নেপথ্যে রয়েছে বরিশালে এলপি গ্যাসের শক্তিশালী চক্র। এ ঘটনায় নগরে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল নগরীর একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পরিবেশকেরা ১ হাজার ১৮০ টাকা করে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতেন। খুচরা বিক্রেতারা ৫০ টাকা লাভে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতেন ১ হাজার ২৩০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, গতকাল বুধবার থেকে বিভিন্ন এলপি গ্যাস কোম্পানির পরিবেশকেরা পাইকারি দর নির্ধারণ করেছেন ১ হাজার ৩৩০ টাকা। যে কারণে সাধারণ মানুষকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনতে হবে ১ হাজার ৩৮০ টাকায়।
নগরীর বটতলা বাজারের এলপি গ্যাস খুচরা বিক্রেতা মো. শাহিন জানান, প্রতি মাসের শেষ ২-৩ দিন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ বন্ধ করে সিলিন্ডার মজুত করেন এক শ্রেণির গ্যাস পরিবেশক। নতুন মাসের প্রথম দিন বর্ধিত মূল্যে গ্যাস কিনতে বাধ্য হন খুচরা বিক্রেতারা। এতে গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়তে হয়।
গোঁড়াচাঁদ দাস রোডের এলপি গ্যাসের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ তিন দিন পরিবেশকেরা খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার সরবরাহ করেননি। সিলিন্ডার চাওয়া হলে মজুত নেই বলে জানান পরিবেশকেরা। গতকাল বুধবার থেকে পরিবেশকেরা সিলিন্ডারপ্রতি দেড় শ টাকা বাড়িয়ে নতুন দরে সিলিন্ডার বিক্রি শুরু করেছেন।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস কোম্পানির স্থানীয় পরিবেশকদের একটি চক্র এভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে। এই চক্রের সঙ্গে নগরের ৮-১০ জন রয়েছেন। তাঁদের ইশারায় এই নগরে গ্যাসের দাম ওঠানামা করছে। যদিও এভাবে গ্যাসের দাম বাড়লেও প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
নগরের রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাদিয়া আফরিন বলেন, গৃহস্থালির রান্নায় এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এলপি গ্যাস। ৪-৫ সদস্যের একটি পরিবারে মাসে কমপক্ষে দুটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে একটি পরিবারকে শুধু রান্নার জ্বালানি হিসাবে ব্যয় হচ্ছে আড়াই হাজার টাকার বেশি। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এটি বেশ কষ্টসাধ্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপি গ্যাসের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক বাড়ায় নগরের বটতলা, চৌমাথা, বাংলাবাজার, সাগরদী বাজার এলাকার পাশাপাশি অলিগলির দোকানগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এলপি গ্যাস কোম্পানি বসুন্ধরার বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল ও প্রেট্রোম্যাক্সের পরিবেশক মলয় সাহা সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের কাছে মজুত না থাকায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারেননি।
অরিয়ন গ্যাস কোম্পানির পরিবেশক মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি মাসে দাম বাড়ে, তাই নতুন মূল্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশকেরা কোম্পানির পয়েন্ট থেকে এলপিজি সিলিন্ডার আনেন না। এ কারণে মাসের শেষ দিকে খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। একই কারণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই দিন বরিশালের খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডার দিতে পারেননি পরিবেশকেরা।
এ ব্যাপারে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, ‘গ্যাস, ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নগরে অসন্তোষ ব্যাপক। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে জেলা প্রশাসনের দেখবে। কিন্তু বাজারে তদারকি নেই। পাইকারি ও খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এর ফলে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থন বাড়ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে