মো. আব্দুল মোত্তালেব
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মৌলগুলোর ভৌত, রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যেহেতু মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, সেহেতু মৌলগুলোর কিছু ধর্ম পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। এসব ধর্মকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলা হয়। যেমন ইলেকট্রন আসক্তি, আয়নীকরণ বিভব, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ইত্যাদি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
২. পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে কেন?
উত্তর: প্রতিটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট বলে প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসও নির্দিষ্ট এবং একটি ইলেকট্রন বিন্যাস অন্যটি থেকে ভিন্ন। আবার প্রতিটি সারণি সংখ্যার জন্য পর্যায় সারণিতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান হয়েছে। তাই পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে।
৩. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কোনো মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ক্রমে নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15)-এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 5। এর শেল সংখ্যা তিনটি এবং সর্ব বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা পাঁচটি। সুতরাং ফসফরাস তৃতীয় পর্যায়ে 5+10=15 নম্বর গ্রুপে অবস্থান করবে।
৪. ইথানল হাইড্রোকার্বন নয় কেন?
উত্তর: শুধু হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগগুলোকে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বনে C ও H সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ইথানল যৌগে হাইড্রোজেন ও কার্বনের সঙ্গে অক্সিজেন উপস্থিত আছে বলে ইথানলকে হাইড্রোকার্বন বলা যাবে না।
৫. পটাশিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উত্তর: পটাশিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ পটাশিয়াম গ্রুপ 1-এর মৌল ও পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষারীয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে।
আবার পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড অম্লের অমরত্বকে বিনষ্ট করতে পারে এবং বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
৬. হ্যালোজেন বলতে কী বোঝো, ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গ্রুপ 17-এর F, Cl, Br, I, At, ও Ts হ্যালোজেন বলা হয়।
কারণ হ্যালোজেনের অর্থ লবণ উৎপাদনকারী এবং এর মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ। হ্যালোজেন মৌলগুলোর সঙ্গে ধাতু যুক্ত হয়ে লবণ গঠন করে। যেমন Na ধাতু হ্যালোজেন মৌল ক্লোরিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে NaCl লবণ গঠন করে।
৭. প্যাটার্ন কীভাবে গঠিত হয়।
উত্তর: যেসব মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে কমসংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, তাদের নিউক্লিয়াস ইলেকট্রনের সঙ্গে দুর্বলভাবে আকর্ষিত থাকে। ফলে এসব মৌলের পরমাণু সহজেই ইলেকট্রন ত্যাগ করে দ্বিত বা অষ্টক পূর্ণ করে। এভাবে ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা ক্যাটায়নের সৃষ্টি হয়।
৮. Cl অপেক্ষা P-এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম–ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দুটি পরমাণুর যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অণুতে পরিণত হয়, তখন অণুর পরমাণুগুলো বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে; এই আকর্ষণকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
একই পর্যায়ের যত বাম থেকে ডানে যাওয়া যায়, মৌলের আকার তত কমে, শেয়ারকৃত ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়। P ও Cl একই পর্যায়ের মৌল এবং Cl ডানে অবস্থিত হওয়ায় Cl-এর আকার ছোট; তাই তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি। অর্থাৎ Cl অপেক্ষা P-এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম।
৯. একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয় কেন?
উত্তর: গলনাঙ্কে কোনো বস্তুর অণুগুলোর আন্তঃআণবিক বল ও অণুগুলোর গতিশক্তি সমান হয়। অন্যদিকে স্ফুটনাঙ্কে কোনো বস্তুর অণুগুলোর আন্তঃআণবিক বল অপেক্ষা গতিশক্তি বেশি হয়; অর্থাৎ বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুগুলোর গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আর বেশি গতি শক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই স্ফুটনাংক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। অর্থাৎ একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কও ভিন্ন হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মৌলগুলোর ভৌত, রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যেহেতু মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, সেহেতু মৌলগুলোর কিছু ধর্ম পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। এসব ধর্মকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলা হয়। যেমন ইলেকট্রন আসক্তি, আয়নীকরণ বিভব, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ইত্যাদি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
২. পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে কেন?
উত্তর: প্রতিটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট বলে প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসও নির্দিষ্ট এবং একটি ইলেকট্রন বিন্যাস অন্যটি থেকে ভিন্ন। আবার প্রতিটি সারণি সংখ্যার জন্য পর্যায় সারণিতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান হয়েছে। তাই পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে।
৩. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কোনো মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ক্রমে নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15)-এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 5। এর শেল সংখ্যা তিনটি এবং সর্ব বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা পাঁচটি। সুতরাং ফসফরাস তৃতীয় পর্যায়ে 5+10=15 নম্বর গ্রুপে অবস্থান করবে।
৪. ইথানল হাইড্রোকার্বন নয় কেন?
উত্তর: শুধু হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগগুলোকে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বনে C ও H সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ইথানল যৌগে হাইড্রোজেন ও কার্বনের সঙ্গে অক্সিজেন উপস্থিত আছে বলে ইথানলকে হাইড্রোকার্বন বলা যাবে না।
৫. পটাশিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উত্তর: পটাশিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ পটাশিয়াম গ্রুপ 1-এর মৌল ও পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষারীয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে।
আবার পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড অম্লের অমরত্বকে বিনষ্ট করতে পারে এবং বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
৬. হ্যালোজেন বলতে কী বোঝো, ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গ্রুপ 17-এর F, Cl, Br, I, At, ও Ts হ্যালোজেন বলা হয়।
কারণ হ্যালোজেনের অর্থ লবণ উৎপাদনকারী এবং এর মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ। হ্যালোজেন মৌলগুলোর সঙ্গে ধাতু যুক্ত হয়ে লবণ গঠন করে। যেমন Na ধাতু হ্যালোজেন মৌল ক্লোরিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে NaCl লবণ গঠন করে।
৭. প্যাটার্ন কীভাবে গঠিত হয়।
উত্তর: যেসব মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে কমসংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, তাদের নিউক্লিয়াস ইলেকট্রনের সঙ্গে দুর্বলভাবে আকর্ষিত থাকে। ফলে এসব মৌলের পরমাণু সহজেই ইলেকট্রন ত্যাগ করে দ্বিত বা অষ্টক পূর্ণ করে। এভাবে ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা ক্যাটায়নের সৃষ্টি হয়।
৮. Cl অপেক্ষা P-এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম–ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দুটি পরমাণুর যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অণুতে পরিণত হয়, তখন অণুর পরমাণুগুলো বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে; এই আকর্ষণকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
একই পর্যায়ের যত বাম থেকে ডানে যাওয়া যায়, মৌলের আকার তত কমে, শেয়ারকৃত ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়। P ও Cl একই পর্যায়ের মৌল এবং Cl ডানে অবস্থিত হওয়ায় Cl-এর আকার ছোট; তাই তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি। অর্থাৎ Cl অপেক্ষা P-এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম।
৯. একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয় কেন?
উত্তর: গলনাঙ্কে কোনো বস্তুর অণুগুলোর আন্তঃআণবিক বল ও অণুগুলোর গতিশক্তি সমান হয়। অন্যদিকে স্ফুটনাঙ্কে কোনো বস্তুর অণুগুলোর আন্তঃআণবিক বল অপেক্ষা গতিশক্তি বেশি হয়; অর্থাৎ বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুগুলোর গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আর বেশি গতি শক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই স্ফুটনাংক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। অর্থাৎ একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কও ভিন্ন হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে