পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামের শেরুখার বাজারসংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত জরাজীর্ণ লোহার সেতুটি হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। গত শনিবার বিকেলে পথচারী পারাপারের সময় সেতুটির এক প্রান্ত ভেঙে যায়।

সেতুটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, বয়োবৃদ্ধ, শিশু, রোগী ও পথচারীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। ফলে ইউনিয়নের বাজার, উপজেলা সদর ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগমাধ্যমটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই গ্রামের মানুষ। দ্রুত সেতুটি মেরামত করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেতুটি তখনই পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল খান।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামের শেরুখার বাজারসংলগ্ন খালের ওপরে নির্মিত লোহার সেতুটির পশ্চিম প্রান্ত একেবারে ভেঙে খালের পানির মধ্যে ডুবে গেছে। সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে খালের দুপাশে থাকা ওই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। কৃষকেরা তাঁদের কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না। সময়মতো তরমুজ, ধান, ডালসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে না পারলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সেতুটি পার হয়ে যাওয়ার সময় পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছালে হঠাৎ একটা শব্দ শুনি। আমরা দ্রুত সেতু থেকে নেমে যাওয়ার সময় পুরো সেতুটি ভেঙে পড়ে নিমেষেই পানিতে তলিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু শরীফ বলেন, ‘অনেক পুরোনো লোহার সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা এখন এপার থেকে ওপারে যেতে পারছি না। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। সেতুটি নতুনভাবে তৈরি না করা হলে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বাদল খান বলেন, ‘সেতুটি আসলেই দুই পাশের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির হাওলাদার বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাব। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’