মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর বাউফলে গত শুক্রবার সংসদ সদস্য (এমপি) আ স ম ফিরোজ ও পুলিশ সদস্যদের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সেদিন পুলিশ পেছন থেকে গুলি ছোড়ে, এমপির লোকজন আরেক দিক থেকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনটি পক্ষ একই সময়ে কর্মসূচির ডাক দেয়। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ পক্ষ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার পক্ষ শোভাযাত্রা নিয়ে মুখোমুখি হলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে মোতালেব হাওলাদার গুরুতর জখম ও পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হন।
বগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘১৭ মার্চের আগের রাতে পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেইড (তল্লাশি) দিয়া বলে তোমরা ভালো হয়ে যাও, সাবধান হয়ে যাও। আমি মনে করি, এগুলো সম্পূর্ণ পুলিশকে দিয়ে করানো হইছে। পুলিশকে টাকা খাওয়াইয়া, পুলিশের সাহায্যে এই নেককারজনক ঘটনা ঘটাইছে তারা।’
আশরাফ আরও বলেন, ‘আমরা মিছিলে লাঠিসোঁটা কিছু নিইনি। উল্টো পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে, গুলি করছে। আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পরেই আমাদের নেতার ওপর হামলা করছে। কিন্তু ওরা পুলিশের সামনে দাসহ অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে “ফিরোজ ভাই, ফিরোজ ভাই’’ স্লোগান দিল। ওদের কিছু বলল না, কী কারণে?’
সংঘর্ষের সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ একটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়ানো। তাঁর সামনে, পিছে রাস্তায় নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘ফিরোজ ভাই, ফিরোজ ভাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সামনে পুলিশ আমাদের মিছিল আটকায়। সে সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গের ২০ থেকে ২৫ জন লোককে পুলিশ আওয়ামী লীগের অফিসের দিকে যেতে দেয়। আর তখনই পেছনে আমাদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। সেই সময়ে অপর পাশের মিছিলের মধ্যে এমপি আ স ম ফিরোজ একটি ছাদখোলা গাড়িতে ছিলেন এবং তাঁর নেতা-কর্মীরা এমপির পাশ থেকে থেকে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে এসে পুলিশের সামনে আমার বাবাকে কোপায়। এটা আ স ম ফিরোজের চাল ও পূর্বপরিকল্পনা।’
অস্ত্রশস্ত্র হাতে তিনজন
একটি আলোকচিত্রে দেখা যায়, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুনের সামনেই ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া দিচ্ছেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে একেবারে সামনে ছাত্রলীগ কর্মী সজীব দাসের (২৭) হাতে লাঠি। পাশে সাদা পাঞ্জাবি পরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লার (৪৭) হাতেও লাঠি। লাল গেঞ্জি পরা যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ শফি হাওলাদারের (৪৮) হাতে ধারালো অস্ত্র। তাঁদের মধ্যে এনামুল হক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ভাতিজা। ওই তিনজনেরই বাড়ি উপজেলার কালাইয়ায়।
মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বাবার ওপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের মধ্যে তাঁর (এমপি) ভাতিজা মনির মোল্লা ও এনামুল হক আলকাস মোল্লাও ছিলেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখমকারী শফি হাওলাদারও গত শুক্রবার বাবাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ছাড়া সবুজ ও নাজিরপুর যুবলীগের সেক্রেটারি ফরহাদও হামলায় অংশ নেন।’
যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ শফি হাওলাদার কয়েকটি হামলা মামলার আসামি। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া শফি হাওলাদার শুক্রবারের হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমার হাতে একটা পাইপ ছিল পতাকা টাঙানোর।’
জানতে চাইলে এমপির ভাতিজা এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লা বলেন, ‘ছবিতে যা দেখা যায়, ওখানে ওসি সাহেব ছিলেন আমি তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আর আমার হাতে জাতীয় পতাকা টাঙানোর লাঠি ছিল।’
তিন দিনেও গ্রেপ্তার নেই
এদিকে মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় তিন দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সংঘর্ষের সময় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন বাউফল থানার উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বাবা সুস্থ হলে মামলা করবেন বলে জানান মাহমুদ হাসান।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি, তবে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’
পুলিশের সামনে আ স ম ফিরোজের উপস্থিতিতেই নেতা-কর্মীদের অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার মহড়ায় বাধা না দিয়ে মোতালেব হাওলাদারের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও গুলি ছোড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আ স ম ফিরোজ সাহেব ছিলেন কি না খেয়াল করিনি, তিনি জনতা ভবনে ছিলেন। তবে যে ছবিতে দেখা যায় তাঁকে সেটা অনেক পরের। আর মোতালেব হাওলাদারের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তাই পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি করা হয়েছে।’
আঘাতে জর্জরিত মোতালেব
ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোতালেব হাওলাদারের ছোট ছেলে মো. হাসিবুর রহমান গতকাল বলেন, ‘হামলায় বাবার ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। তাঁর বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে জখম রয়েছে। পা ও মাথায় আঘাত লেগেছে। গতকাল হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আগামীকাল পায়ের অস্ত্রোপচার হবে। বুকের জখম গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন।’
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কী কারণে এই সংঘর্ষ হলো, দলের কেন্দ্র থেকে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠাব।’
এমপির বক্তব্য
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আ স ম ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৭ তারিখ আমি ২০-২২ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করেছি। এই মিছিল বানচাল করতে ওরা নিজেরাই এখন নাটক সাজিয়েছে। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।’ আপনি ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মিছিল অনেক বড় ছিল। আমি যেখানে উপস্থিত ছিলাম, সেটা জনতা ভবনের সামনে মিছিলের শেষে।’ ভাতিজাসহ নেতা-কর্মীরা অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেপেলেদের হাতে লাঠিসোঁটা থাকলে ওদের কাছে এর থেকে বেশি ছিল এবং ওরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’
পটুয়াখালীর বাউফলে গত শুক্রবার সংসদ সদস্য (এমপি) আ স ম ফিরোজ ও পুলিশ সদস্যদের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সেদিন পুলিশ পেছন থেকে গুলি ছোড়ে, এমপির লোকজন আরেক দিক থেকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনটি পক্ষ একই সময়ে কর্মসূচির ডাক দেয়। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ পক্ষ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার পক্ষ শোভাযাত্রা নিয়ে মুখোমুখি হলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে মোতালেব হাওলাদার গুরুতর জখম ও পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হন।
বগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘১৭ মার্চের আগের রাতে পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেইড (তল্লাশি) দিয়া বলে তোমরা ভালো হয়ে যাও, সাবধান হয়ে যাও। আমি মনে করি, এগুলো সম্পূর্ণ পুলিশকে দিয়ে করানো হইছে। পুলিশকে টাকা খাওয়াইয়া, পুলিশের সাহায্যে এই নেককারজনক ঘটনা ঘটাইছে তারা।’
আশরাফ আরও বলেন, ‘আমরা মিছিলে লাঠিসোঁটা কিছু নিইনি। উল্টো পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে, গুলি করছে। আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পরেই আমাদের নেতার ওপর হামলা করছে। কিন্তু ওরা পুলিশের সামনে দাসহ অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে “ফিরোজ ভাই, ফিরোজ ভাই’’ স্লোগান দিল। ওদের কিছু বলল না, কী কারণে?’
সংঘর্ষের সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ একটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়ানো। তাঁর সামনে, পিছে রাস্তায় নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘ফিরোজ ভাই, ফিরোজ ভাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সামনে পুলিশ আমাদের মিছিল আটকায়। সে সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গের ২০ থেকে ২৫ জন লোককে পুলিশ আওয়ামী লীগের অফিসের দিকে যেতে দেয়। আর তখনই পেছনে আমাদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। সেই সময়ে অপর পাশের মিছিলের মধ্যে এমপি আ স ম ফিরোজ একটি ছাদখোলা গাড়িতে ছিলেন এবং তাঁর নেতা-কর্মীরা এমপির পাশ থেকে থেকে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে এসে পুলিশের সামনে আমার বাবাকে কোপায়। এটা আ স ম ফিরোজের চাল ও পূর্বপরিকল্পনা।’
অস্ত্রশস্ত্র হাতে তিনজন
একটি আলোকচিত্রে দেখা যায়, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুনের সামনেই ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া দিচ্ছেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে একেবারে সামনে ছাত্রলীগ কর্মী সজীব দাসের (২৭) হাতে লাঠি। পাশে সাদা পাঞ্জাবি পরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লার (৪৭) হাতেও লাঠি। লাল গেঞ্জি পরা যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ শফি হাওলাদারের (৪৮) হাতে ধারালো অস্ত্র। তাঁদের মধ্যে এনামুল হক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ভাতিজা। ওই তিনজনেরই বাড়ি উপজেলার কালাইয়ায়।
মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বাবার ওপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের মধ্যে তাঁর (এমপি) ভাতিজা মনির মোল্লা ও এনামুল হক আলকাস মোল্লাও ছিলেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখমকারী শফি হাওলাদারও গত শুক্রবার বাবাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ছাড়া সবুজ ও নাজিরপুর যুবলীগের সেক্রেটারি ফরহাদও হামলায় অংশ নেন।’
যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ শফি হাওলাদার কয়েকটি হামলা মামলার আসামি। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া শফি হাওলাদার শুক্রবারের হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমার হাতে একটা পাইপ ছিল পতাকা টাঙানোর।’
জানতে চাইলে এমপির ভাতিজা এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লা বলেন, ‘ছবিতে যা দেখা যায়, ওখানে ওসি সাহেব ছিলেন আমি তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আর আমার হাতে জাতীয় পতাকা টাঙানোর লাঠি ছিল।’
তিন দিনেও গ্রেপ্তার নেই
এদিকে মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় তিন দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সংঘর্ষের সময় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন বাউফল থানার উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বাবা সুস্থ হলে মামলা করবেন বলে জানান মাহমুদ হাসান।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি, তবে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’
পুলিশের সামনে আ স ম ফিরোজের উপস্থিতিতেই নেতা-কর্মীদের অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার মহড়ায় বাধা না দিয়ে মোতালেব হাওলাদারের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও গুলি ছোড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আ স ম ফিরোজ সাহেব ছিলেন কি না খেয়াল করিনি, তিনি জনতা ভবনে ছিলেন। তবে যে ছবিতে দেখা যায় তাঁকে সেটা অনেক পরের। আর মোতালেব হাওলাদারের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তাই পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি করা হয়েছে।’
আঘাতে জর্জরিত মোতালেব
ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোতালেব হাওলাদারের ছোট ছেলে মো. হাসিবুর রহমান গতকাল বলেন, ‘হামলায় বাবার ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। তাঁর বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে জখম রয়েছে। পা ও মাথায় আঘাত লেগেছে। গতকাল হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আগামীকাল পায়ের অস্ত্রোপচার হবে। বুকের জখম গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন।’
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কী কারণে এই সংঘর্ষ হলো, দলের কেন্দ্র থেকে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠাব।’
এমপির বক্তব্য
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আ স ম ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৭ তারিখ আমি ২০-২২ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করেছি। এই মিছিল বানচাল করতে ওরা নিজেরাই এখন নাটক সাজিয়েছে। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।’ আপনি ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মিছিল অনেক বড় ছিল। আমি যেখানে উপস্থিত ছিলাম, সেটা জনতা ভবনের সামনে মিছিলের শেষে।’ ভাতিজাসহ নেতা-কর্মীরা অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেপেলেদের হাতে লাঠিসোঁটা থাকলে ওদের কাছে এর থেকে বেশি ছিল এবং ওরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে