নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
বর্ষার শেষ সময়ে ঝুম বৃষ্টির বদলে কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র উত্তাপে অল্প পরিশ্রমে কাহিল হয়ে পড়ছে মানুষ, বাড়ছে রোগবালাই, কমছে শ্রম এবং উৎপাদনশীলতা। গত কয়েক দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি, উল্টো বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের কয়েকটি বিভাগ ও জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। মাঝে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য হালকা বৃষ্টি হলেও এতে গরম কমবে না বরং আরও বাড়বে।
পরিবেশ ও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্ষার আকাশে শরতের মতো সাদা মেঘের সারি উড়ে বেড়াচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর কারণ প্রকৃতি তার স্বাভাবিক গতিপথ থেকে সরে গেছে। হুট করে এই পরিবর্তন ঘটেনি, ৩০ বছর ধরে অব্যাহত পরিবেশদূষণের কারণেই এমনটি হচ্ছে। গত ছয় বছরে প্রকৃতির পরিবর্তন আরও প্রকট হয়েছে। চলতি বছরে পরিস্থিতি রীতিমতো অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সময়ের সঙ্গে এই অবস্থা আরও গুরুতর হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বিপাকে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ
যেসব অঞ্চলে দাবদাহ চলছে, এর মধ্যে নীলফামারী, দিনাজপুর ও রাজশাহী অন্যতম। এসব এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হালকা খরা। এতে বৃষ্টির পানিতে যেসব ফসলের সেচ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোতে কৃত্রিম উপায়ে সেচের কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক আব্দুল গনি মুঠোফোনে জানালেন, অন্যান্য বছর এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, সেই পানিতে আমন ধানসহ ফসলের সেচ সম্পন্ন হয়ে যেত। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নিজের ৩০ বছরের কৃষকজীবনে বর্ষা মৌসুমে এমন গরম আর অনাবৃষ্টি দেখেননি বলে জানান তিনি।
শুধু কৃষকেরাই নন, গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করছেন অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষও। রিকশাচালক মো. রাসেলের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। ভরদুপুরে কড়া রোদে যাত্রী বয়ে বেশ ক্লান্ত তিনি।
লা ভেজাতে ফুটপাতের দোকান থেকে আখের রস কিনে পান করতে করতে তিনি বললেন, ‘এত রোদ আর গরমের মধ্যে গাড়ি চালানি যাইতাছে না। ৫০ টাকার রাস্তায় যাত্রী বাইলেই জন্মের হয়রান লাগে। কামাই কইমা গেছে।’
আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে ভীষণ গরম ও অতিরিক্ত আর্দ্রতায় শ্রম ও উৎপাদনশীলতা হারানো দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে বাংলাদেশ। এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ জার্নালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতির কারণে বছরে ৩ হাজার ২০০ কোটি কর্মঘণ্টা হারাতে হচ্ছে। মূলত খোলা স্থানে ভারী কাজ করেন এমন মানুষ কর্মঘণ্টা হারাচ্ছেন বেশি।
বাড়ছে রোগের প্রকোপ
গরম বাড়লে ডায়রিয়া-টাইফয়েডের মতো রোগের প্রকোপ স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। তবে এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন এক ধরনের জ্বর। এই জ্বরে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে গেলে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে এ জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মানুষের শরীরে উপকারী, অপকারী এবং সুবিধাবাদী তিন ধরনের জীবাণু থাকে। যখন প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য থাকে না, তখন এই সুবিধাবাদী জীবাণুগুলোর চরিত্র বদলে যায়, ক্ষতিকর রূপ ধারণ করে।
ফলে নানা সংক্রামক রোগ বাড়ে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত অঞ্চলে এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে অন্য রকম এক জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আমরা মনে করছি, তীব্র গরমের কারণেই এ জ্বর হচ্ছে।’
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
দেশে সারা বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, তার ৭১ শতাংশই হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এই চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইতে। ৩০ বছর ধরে জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, এবার তার ছিটেফোঁটাও হয়নি বলে জানালেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মূলত বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বর্ষার আকাশে শরতের মেঘ দেখা যাচ্ছে। জলীয় বাষ্প না থাকায় মেঘ ঘনীভূত হতে পারছে না, তাই এমন সাদা অর্থাৎ পরিষ্কার হয়ে শরতের মেঘের আকার ধারণ করেছে। তাই আকাশে সাদা মেঘ থাকলেও নিচে গরম অনুভূত হয়। অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি হলেও এতে তাপ আরও বাড়ে। তবে চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে এবং ধীরে ধীরে এই তাপপ্রবাহ কমবে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড: আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদারের মতে, দুটি কারণে আবহাওয়া এমন বিরূপ আচরণ করছে। কারণগুলোর মধ্যে একটি বৈশ্বিক, অন্যটি স্থানীয়। বৈশ্বিক কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। স্থানীয় কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জলাধার ও বনভূমি কমে যাওয়া এবং এসব জায়গায় বসতি স্থাপনসহ নানা ধরনের শিল্প কারখানা আর অবকাঠামো নির্মাণ। বন বা জলাভূমি কমে যাওয়া অঞ্চলে এক দিকে তাপ শুষে নেওয়ার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে এসব অঞ্চলে নির্মিত নানা ধরনের ইট-পাথরের অবকাঠামোতে তাপ জমে থাকে। তাই এসব অঞ্চলে গরম অনুভূত হয় বেশি।
এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নগর পরিকল্পনার মতো গ্রাম পরিকল্পনায় জোর দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করে এই পরিবেশ বিজ্ঞানী আরও বলেন, গ্রামভিত্তিক একটা দেশ, যেখানে খোলা মাঠ, ভরা পুকুর আর গাছগাছালিতে পূর্ণ ছিল, এক সময় সেগুলো ধীরে ধীরে কমে সেসব জায়গায় করা হচ্ছে বসতি। কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। এসব আর নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। একটা বাড়ির পাশে বা পুরো গ্রামে কতটুকু খোলা মাঠ থাকবে, পুকুর আর গাছা গাছালি থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে। সঙ্গে নির্ধারণ করা থাকবে কতটুকু কৃষিজমি রাখতে হবে। খোলা মাঠ, জল ও বনভূমি না থাকলে আবহাওয়ার এই রুদ্রমূর্তি আরও কঠিন হবে।
বর্ষার শেষ সময়ে ঝুম বৃষ্টির বদলে কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র উত্তাপে অল্প পরিশ্রমে কাহিল হয়ে পড়ছে মানুষ, বাড়ছে রোগবালাই, কমছে শ্রম এবং উৎপাদনশীলতা। গত কয়েক দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি, উল্টো বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের কয়েকটি বিভাগ ও জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। মাঝে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য হালকা বৃষ্টি হলেও এতে গরম কমবে না বরং আরও বাড়বে।
পরিবেশ ও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্ষার আকাশে শরতের মতো সাদা মেঘের সারি উড়ে বেড়াচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর কারণ প্রকৃতি তার স্বাভাবিক গতিপথ থেকে সরে গেছে। হুট করে এই পরিবর্তন ঘটেনি, ৩০ বছর ধরে অব্যাহত পরিবেশদূষণের কারণেই এমনটি হচ্ছে। গত ছয় বছরে প্রকৃতির পরিবর্তন আরও প্রকট হয়েছে। চলতি বছরে পরিস্থিতি রীতিমতো অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সময়ের সঙ্গে এই অবস্থা আরও গুরুতর হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বিপাকে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ
যেসব অঞ্চলে দাবদাহ চলছে, এর মধ্যে নীলফামারী, দিনাজপুর ও রাজশাহী অন্যতম। এসব এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হালকা খরা। এতে বৃষ্টির পানিতে যেসব ফসলের সেচ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোতে কৃত্রিম উপায়ে সেচের কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক আব্দুল গনি মুঠোফোনে জানালেন, অন্যান্য বছর এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, সেই পানিতে আমন ধানসহ ফসলের সেচ সম্পন্ন হয়ে যেত। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নিজের ৩০ বছরের কৃষকজীবনে বর্ষা মৌসুমে এমন গরম আর অনাবৃষ্টি দেখেননি বলে জানান তিনি।
শুধু কৃষকেরাই নন, গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করছেন অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষও। রিকশাচালক মো. রাসেলের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। ভরদুপুরে কড়া রোদে যাত্রী বয়ে বেশ ক্লান্ত তিনি।
লা ভেজাতে ফুটপাতের দোকান থেকে আখের রস কিনে পান করতে করতে তিনি বললেন, ‘এত রোদ আর গরমের মধ্যে গাড়ি চালানি যাইতাছে না। ৫০ টাকার রাস্তায় যাত্রী বাইলেই জন্মের হয়রান লাগে। কামাই কইমা গেছে।’
আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে ভীষণ গরম ও অতিরিক্ত আর্দ্রতায় শ্রম ও উৎপাদনশীলতা হারানো দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে বাংলাদেশ। এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ জার্নালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতির কারণে বছরে ৩ হাজার ২০০ কোটি কর্মঘণ্টা হারাতে হচ্ছে। মূলত খোলা স্থানে ভারী কাজ করেন এমন মানুষ কর্মঘণ্টা হারাচ্ছেন বেশি।
বাড়ছে রোগের প্রকোপ
গরম বাড়লে ডায়রিয়া-টাইফয়েডের মতো রোগের প্রকোপ স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। তবে এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন এক ধরনের জ্বর। এই জ্বরে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে গেলে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে এ জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মানুষের শরীরে উপকারী, অপকারী এবং সুবিধাবাদী তিন ধরনের জীবাণু থাকে। যখন প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য থাকে না, তখন এই সুবিধাবাদী জীবাণুগুলোর চরিত্র বদলে যায়, ক্ষতিকর রূপ ধারণ করে।
ফলে নানা সংক্রামক রোগ বাড়ে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত অঞ্চলে এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে অন্য রকম এক জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আমরা মনে করছি, তীব্র গরমের কারণেই এ জ্বর হচ্ছে।’
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
দেশে সারা বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, তার ৭১ শতাংশই হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এই চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইতে। ৩০ বছর ধরে জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, এবার তার ছিটেফোঁটাও হয়নি বলে জানালেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মূলত বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বর্ষার আকাশে শরতের মেঘ দেখা যাচ্ছে। জলীয় বাষ্প না থাকায় মেঘ ঘনীভূত হতে পারছে না, তাই এমন সাদা অর্থাৎ পরিষ্কার হয়ে শরতের মেঘের আকার ধারণ করেছে। তাই আকাশে সাদা মেঘ থাকলেও নিচে গরম অনুভূত হয়। অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি হলেও এতে তাপ আরও বাড়ে। তবে চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে এবং ধীরে ধীরে এই তাপপ্রবাহ কমবে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড: আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদারের মতে, দুটি কারণে আবহাওয়া এমন বিরূপ আচরণ করছে। কারণগুলোর মধ্যে একটি বৈশ্বিক, অন্যটি স্থানীয়। বৈশ্বিক কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। স্থানীয় কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জলাধার ও বনভূমি কমে যাওয়া এবং এসব জায়গায় বসতি স্থাপনসহ নানা ধরনের শিল্প কারখানা আর অবকাঠামো নির্মাণ। বন বা জলাভূমি কমে যাওয়া অঞ্চলে এক দিকে তাপ শুষে নেওয়ার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে এসব অঞ্চলে নির্মিত নানা ধরনের ইট-পাথরের অবকাঠামোতে তাপ জমে থাকে। তাই এসব অঞ্চলে গরম অনুভূত হয় বেশি।
এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নগর পরিকল্পনার মতো গ্রাম পরিকল্পনায় জোর দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করে এই পরিবেশ বিজ্ঞানী আরও বলেন, গ্রামভিত্তিক একটা দেশ, যেখানে খোলা মাঠ, ভরা পুকুর আর গাছগাছালিতে পূর্ণ ছিল, এক সময় সেগুলো ধীরে ধীরে কমে সেসব জায়গায় করা হচ্ছে বসতি। কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। এসব আর নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। একটা বাড়ির পাশে বা পুরো গ্রামে কতটুকু খোলা মাঠ থাকবে, পুকুর আর গাছা গাছালি থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে। সঙ্গে নির্ধারণ করা থাকবে কতটুকু কৃষিজমি রাখতে হবে। খোলা মাঠ, জল ও বনভূমি না থাকলে আবহাওয়ার এই রুদ্রমূর্তি আরও কঠিন হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে