পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। দুই উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে ৬ টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, টাঙানোতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ও বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম, সাকোয়া, মাড়েয়া বামনহাট, পাচঁপীর, বড়শশী সমর্থক ও প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বেংহারী বনগ্রাম ইউপিতে গত ৫ দিনে ৩ দফা হামালর ঘটনা ঘটছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বোদা থানায় দুটি অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ আবু ও নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহেব আলী।

বড়শী ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর শোডাউন নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বলরামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে লক্ষীদ্বার এলাকায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ইউপিতে সেই রেশ এখনো কাটেনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। এরপরও প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা কমছে না। নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং ও প্রার্থীদের নিয়ে একাধিক সভা করে স্থানীয় প্রশাসন।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘কোনো কোনো ইউপিতে থেকে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের খবর আসছে। আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থানে যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। শুধু বেংহারী বনগ্রাম ইউপি থেকে দুই প্রার্থী দুটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সে এলাকায় খবর রাখছি।’

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পেশিশক্তি দেখিয়ে কেউ বাড়তি সুবিধা করতে পাবেন না। আইন সবার জন্য সমান। নির্বাচনে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন। নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি বা দল বিশৃঙ্খলা করলে তিনি যে দলের হোক না কেন, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’