বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধক ও পরিবেশের পরম বন্ধু বাঁশঝাড় হারিয়ে যাচ্ছে। উঁচু এলাকা হওয়ায় এক সময় পুরো জেলায় এই অঞ্চলের বাঁশের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু নগরায়ণের ফলে বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ বাঁশঝাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। এতে কমেছে বাঁশ। অন্যদিকে দামও বেড়েছে বাঁশের।
গ্রামীণ জনপদে একসময় বাঁশঝাড় ছিল না এমনটা কল্পনাও করা যেত না। যেখানে গ্রাম সেখানেই বাঁশঝাড়, এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের ঐতিহ্য গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে, তাতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির পরম বন্ধু এই বাঁশঝাড়।
গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরিতে ব্যবহার হয় বাঁশ। এ ছাড়া বিভিন্ন বেত শিল্প, মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরিতে বাঁশের বিকল্প নেই। জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয় শুকনো বাঁশ, বাঁশের কঞ্চি ও শুকনো পাতা। কবরস্থানে লাশ দাফনেও ব্যবহার হয়ে আসছে বাঁশ। বাঁশবাগান কেটে পুনরায় চারা না লাগানোর ফলে বিলুপ্তির পথে বাঁশবাগান। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাঁশ ব্যবসায়ীরা।
বাঁশসহ অন্যান্য বৃক্ষ নিধনের ফলে দৈনন্দিন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়া রোধে সহায়তা করতে পারে এই বাঁশই। বাঁশ অন্য যেকোনো গাছের তুলনায় দ্রুতগতিতে ক্ষতিকর কার্বন গ্যাস শুষে নিতে সক্ষম এবং এর শিকড় মাটি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে।
জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর, বিষ্ণুপুর, আউলিয়া বাজারসহ বেশকিছু স্থানে বাঁশবাগান রয়েছে। বাঁশ ব্যবসায়ী রয়েছেন ১০০ জনের ওপরে। বাঁশ কাটা, আনা-নেওয়াসহ এ ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল পাঁচ শ’র অধিক শ্রমিক। সারা বছর বাঁশ বিকিকিনি হয়।
বাঁশ ব্যবসায়ী করিম মিয়া জানান, আগে একটি বাঁশের দাম ১০০ টাকা ছিল, বর্তমানে ৩০০-৪০০ টাকায়ও বিক্রি হয়। একটা বাঁশ বিক্রি করলে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয় বলে তিনি জানান।
হরষপুর বাঁশবাজারে একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কাজে বাঁশের ব্যবহার হয়; তাই কিনতে হয়। কিন্তু দাম অনেক বেশি; আবার যাতায়াত খরচও আছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, গ্রামাঞ্চলে বাঁশের ব্যবহার অপরিসীম। কিন্তু বাঁশবাগানের পরিধি হ্রাস পাওয়ায় ধীরে ধীরে বাঁশের পরিমাণ কমে আসছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষিসহায়ক উপাদান হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারলে এর ঘাটতি কমবে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধক ও পরিবেশের পরম বন্ধু বাঁশঝাড় হারিয়ে যাচ্ছে। উঁচু এলাকা হওয়ায় এক সময় পুরো জেলায় এই অঞ্চলের বাঁশের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু নগরায়ণের ফলে বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ বাঁশঝাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। এতে কমেছে বাঁশ। অন্যদিকে দামও বেড়েছে বাঁশের।
গ্রামীণ জনপদে একসময় বাঁশঝাড় ছিল না এমনটা কল্পনাও করা যেত না। যেখানে গ্রাম সেখানেই বাঁশঝাড়, এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের ঐতিহ্য গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে, তাতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির পরম বন্ধু এই বাঁশঝাড়।
গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরিতে ব্যবহার হয় বাঁশ। এ ছাড়া বিভিন্ন বেত শিল্প, মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরিতে বাঁশের বিকল্প নেই। জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয় শুকনো বাঁশ, বাঁশের কঞ্চি ও শুকনো পাতা। কবরস্থানে লাশ দাফনেও ব্যবহার হয়ে আসছে বাঁশ। বাঁশবাগান কেটে পুনরায় চারা না লাগানোর ফলে বিলুপ্তির পথে বাঁশবাগান। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাঁশ ব্যবসায়ীরা।
বাঁশসহ অন্যান্য বৃক্ষ নিধনের ফলে দৈনন্দিন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়া রোধে সহায়তা করতে পারে এই বাঁশই। বাঁশ অন্য যেকোনো গাছের তুলনায় দ্রুতগতিতে ক্ষতিকর কার্বন গ্যাস শুষে নিতে সক্ষম এবং এর শিকড় মাটি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে।
জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর, বিষ্ণুপুর, আউলিয়া বাজারসহ বেশকিছু স্থানে বাঁশবাগান রয়েছে। বাঁশ ব্যবসায়ী রয়েছেন ১০০ জনের ওপরে। বাঁশ কাটা, আনা-নেওয়াসহ এ ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল পাঁচ শ’র অধিক শ্রমিক। সারা বছর বাঁশ বিকিকিনি হয়।
বাঁশ ব্যবসায়ী করিম মিয়া জানান, আগে একটি বাঁশের দাম ১০০ টাকা ছিল, বর্তমানে ৩০০-৪০০ টাকায়ও বিক্রি হয়। একটা বাঁশ বিক্রি করলে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয় বলে তিনি জানান।
হরষপুর বাঁশবাজারে একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কাজে বাঁশের ব্যবহার হয়; তাই কিনতে হয়। কিন্তু দাম অনেক বেশি; আবার যাতায়াত খরচও আছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, গ্রামাঞ্চলে বাঁশের ব্যবহার অপরিসীম। কিন্তু বাঁশবাগানের পরিধি হ্রাস পাওয়ায় ধীরে ধীরে বাঁশের পরিমাণ কমে আসছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষিসহায়ক উপাদান হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারলে এর ঘাটতি কমবে বলে জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে