বিনোদন ডেস্ক
ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যান্ড ‘মাইলস’। দলটির প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। তার আগে প্রকাশিত হয় দুটি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘আ স্টেপ ফারদার’। এরপর দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যান্ডটি বিভিন্ন জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড হয়ে ওঠে। শাফিন আহমেদ ছিলেন এই ব্যান্ডের মূল ভোকালিস্ট। ব্যান্ডের ৯০ ভাগ গান তাঁর কণ্ঠে সৃষ্টি হয়েছে। পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। কণ্ঠের পাশাপাশি ব্যান্ডটির বেজ গিটার বাজাতেন শাফিন। তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভাঙন ধরে মাইলসে। যে কারণে তিনবার মাইলস ছেড়েছেন শাফিন আহমেদ।
২০১০ সালের শুরুর দিকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়ান শাফিন। যদিও কয়েক মাস পর আবারও দলে ফেরেন। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে আবার ব্যান্ড ছাড়েন তিনি। কয়েক মাস পর দ্বন্দ্ব ভুলে ফের ব্যান্ডে ফেরেন। ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে ওই বছর মাইলসকে একটি করপোরেট কাঠামোর আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে শাফিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, ব্যান্ডটিকে একটি করপোরেট কাঠামো দিতে তিনি মাইলস ব্যান্ড লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছেন। ব্যান্ডের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলবে কোম্পানির আওতায়। কিন্তু এ বিষয়ে মতভেদ থাকায় পরে ব্যান্ড সদস্যদের মধ্যে নোটারাইডজ স্ট্যাম্প পেপারে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। সেই এমওইউর কিছু শর্ত নিয়ে ফের বিরোধ দেখা দেয় ব্যান্ডের মধ্যে।
সবশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ভিডিও বার্তায় শাফিন আহমেদ জানান, তিনি মাইলস থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ব্যান্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবিও করেন তিনি।
সে সময় ভিডিও বার্তায় শাফিন বলেন, ‘মাইলসের সঙ্গে আমার পথচলা সেই ১৯৭৯ সালে। অনেক সময় দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ হয়েছে। মাইলসের আজকের অবস্থানের পেছনে আমার কতটা অবদান, সেটা সবাই জানেন। চলতি বছরের শুরুতে একটা সিদ্ধান্ত নিই, মাইলসের বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে আমার মিউজিকের কোনো কার্যক্রম সম্ভব হবে না। বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকব।’
শাফিন আরও বলেন, ‘আমার সংগীতের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। কনসার্টেও থাকব, রেকর্ডিংয়েও পাওয়া যাবে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, মাইলস নামটির যেন অপব্যবহার না হয়। মাইলসের সঙ্গে যদি কাজ না করতে পারি তাহলে এখানেই মাইলসের কার্যক্রম স্থগিত করাই বেস্ট ডিসিশন বলে আমি মনে করি। অন্য কেউ যেন মাইলস নামটি ব্যবহার না করে।’
এর পর ভয়েজ অব মাইলস নামের দল নিয়ে গান করেন শাফিন আহমেদ।
একনজরে
জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ (কলকাতা)।
অন্য নাম: মনোজিৎ দাশগুপ্ত ও মুনা।
পরিবার: সুরকার কমল দাশগুপ্ত (বাবা), কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম (মা), হামিন আহমেদ ও তাহসিন আহমেদ (ভাই)।
সংগীতে প্রশিক্ষণ: বাবার কাছে শিখেছেন উচ্চাঙ্গসংগীত আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।
সংগীতে যাত্রা শুরু: ৯ বছর বয়সে মায়ের তত্ত্বাবধানে প্রথম রেকর্ড প্রকাশ হয় ইএমআই রেকর্ডস থেকে।
পড়াশোনা: কম্পিউটার সায়েন্স (যুক্তরাজ্য)।
মাইলসে যোগদান: ১৯৮১ সাল।
প্রিয় ব্যান্ড: সান্তানা, পিঙ্ক ফ্লয়েড, বিটলস, রোলিং স্টোনস, কোল্ড প্লে, ইউ টু ইত্যাদি।
রাজনীতি: ২০১৭ সালে যোগ দেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম)। ২০১৮ সালে এনডিএম ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হন।
উল্লেখযোগ্য গান: ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
মৃত্যু: ২৫ জুলাই ২০২৪ (ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র)।
ফরিদ রশিদের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যান্ড ‘মাইলস’। দলটির প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। তার আগে প্রকাশিত হয় দুটি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘আ স্টেপ ফারদার’। এরপর দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যান্ডটি বিভিন্ন জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড হয়ে ওঠে। শাফিন আহমেদ ছিলেন এই ব্যান্ডের মূল ভোকালিস্ট। ব্যান্ডের ৯০ ভাগ গান তাঁর কণ্ঠে সৃষ্টি হয়েছে। পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। কণ্ঠের পাশাপাশি ব্যান্ডটির বেজ গিটার বাজাতেন শাফিন। তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভাঙন ধরে মাইলসে। যে কারণে তিনবার মাইলস ছেড়েছেন শাফিন আহমেদ।
২০১০ সালের শুরুর দিকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়ান শাফিন। যদিও কয়েক মাস পর আবারও দলে ফেরেন। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে আবার ব্যান্ড ছাড়েন তিনি। কয়েক মাস পর দ্বন্দ্ব ভুলে ফের ব্যান্ডে ফেরেন। ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে ওই বছর মাইলসকে একটি করপোরেট কাঠামোর আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে শাফিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, ব্যান্ডটিকে একটি করপোরেট কাঠামো দিতে তিনি মাইলস ব্যান্ড লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছেন। ব্যান্ডের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলবে কোম্পানির আওতায়। কিন্তু এ বিষয়ে মতভেদ থাকায় পরে ব্যান্ড সদস্যদের মধ্যে নোটারাইডজ স্ট্যাম্প পেপারে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। সেই এমওইউর কিছু শর্ত নিয়ে ফের বিরোধ দেখা দেয় ব্যান্ডের মধ্যে।
সবশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ভিডিও বার্তায় শাফিন আহমেদ জানান, তিনি মাইলস থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ব্যান্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবিও করেন তিনি।
সে সময় ভিডিও বার্তায় শাফিন বলেন, ‘মাইলসের সঙ্গে আমার পথচলা সেই ১৯৭৯ সালে। অনেক সময় দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ হয়েছে। মাইলসের আজকের অবস্থানের পেছনে আমার কতটা অবদান, সেটা সবাই জানেন। চলতি বছরের শুরুতে একটা সিদ্ধান্ত নিই, মাইলসের বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে আমার মিউজিকের কোনো কার্যক্রম সম্ভব হবে না। বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকব।’
শাফিন আরও বলেন, ‘আমার সংগীতের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। কনসার্টেও থাকব, রেকর্ডিংয়েও পাওয়া যাবে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, মাইলস নামটির যেন অপব্যবহার না হয়। মাইলসের সঙ্গে যদি কাজ না করতে পারি তাহলে এখানেই মাইলসের কার্যক্রম স্থগিত করাই বেস্ট ডিসিশন বলে আমি মনে করি। অন্য কেউ যেন মাইলস নামটি ব্যবহার না করে।’
এর পর ভয়েজ অব মাইলস নামের দল নিয়ে গান করেন শাফিন আহমেদ।
একনজরে
জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ (কলকাতা)।
অন্য নাম: মনোজিৎ দাশগুপ্ত ও মুনা।
পরিবার: সুরকার কমল দাশগুপ্ত (বাবা), কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম (মা), হামিন আহমেদ ও তাহসিন আহমেদ (ভাই)।
সংগীতে প্রশিক্ষণ: বাবার কাছে শিখেছেন উচ্চাঙ্গসংগীত আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।
সংগীতে যাত্রা শুরু: ৯ বছর বয়সে মায়ের তত্ত্বাবধানে প্রথম রেকর্ড প্রকাশ হয় ইএমআই রেকর্ডস থেকে।
পড়াশোনা: কম্পিউটার সায়েন্স (যুক্তরাজ্য)।
মাইলসে যোগদান: ১৯৮১ সাল।
প্রিয় ব্যান্ড: সান্তানা, পিঙ্ক ফ্লয়েড, বিটলস, রোলিং স্টোনস, কোল্ড প্লে, ইউ টু ইত্যাদি।
রাজনীতি: ২০১৭ সালে যোগ দেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম)। ২০১৮ সালে এনডিএম ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হন।
উল্লেখযোগ্য গান: ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
মৃত্যু: ২৫ জুলাই ২০২৪ (ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র)।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে