কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের অজুহাত দেখিয়ে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় ধরলা সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। ঠিকাদারের অভিযোগ, দুই দফায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কপি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পরও নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মাণকাজ শুরু করতে দিচ্ছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনগণকে।
গত ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে কেন কাজ চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানাতে চার সপ্তাহ সময় দিয়ে রুল জারি করা হয়। রুলে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। এরপর ১৬ নভেম্বর এই আদেশের সময়সীমা আরও তিন মাসের জন্য বাড়ানোর আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা প্রায় দুই মাস পার হলেও এখনো ব্রিজ নির্মাণকাজ স্থগিত রয়েছে।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ধরলা নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। বসুন্ধরা অ্যান্ড আবুবকর (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কাজ শুরু করেন এর ক্ষমতাপ্রাপ্ত (অথরাইজ) স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম রব্বানী। কিন্তু ঠিকাদারের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এলজিইডি কুড়িগ্রাম কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করায় এবং বারবার চিঠি দিয়ে কাজ শুরু না করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখায় মূল ঠিকাদারের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় চুক্তি বাতিল করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী ঠিকাদারের অভিযোগ, নকশা পরিবর্তন, ক্যালকুলেশনসহ বিভিন্ন কারণে এলজিইডি নির্মাণকাজ স্থগিত করে সময়ক্ষেপণ করা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে কাজ শুরু করা হয় এবং প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির সময় নানা কারণে নির্মাণকাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়। বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তারা একতরফা সিদ্ধান্তে চুক্তি বাতিল করে।
ঠিকাদার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে রিট করি। আদালত এলজিইডির চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে দুই দফায় চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে আদালতের আদেশের কপি এবং কাজ শুরু করার আবেদন করে আমি পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করি। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ পুলিশ পাঠিয়ে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়। আদালতের আদেশের কপি দিলেও তারা শুনতে রাজি হয়নি। আর চুক্তি বাতিল করলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
সময়মতো কাজ শেষ না করার যে অভিযোগে চুক্তি বাতিল করা হয়, নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগবে বলে তিনি দাবি করেন।
আদালতের নির্দেশনার পরও কাজ করতে না দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু।
জানতে চাইলে এলজিইডি, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গোলাম রব্বানী ওই কাজের ঠিকাদার নন। তাঁর সঙ্গে আমাদের চুক্তি নেই।’
তবে ঠিকাদার গোলাম রব্বানী দাবি করেন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্বত্বাধিকারী হওয়ায় সেতু নির্মাণকাজের কাগজপত্রে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। এই কাজ দেখে ব্যাংক ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লোন দিয়েছে।
এলজিইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। আপিল আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমার জানা নেই।’ তবে এ নিয়ে কথা বলতে তাঁর কার্যালয়ে আসতে বলেন তিনি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের অজুহাত দেখিয়ে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় ধরলা সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। ঠিকাদারের অভিযোগ, দুই দফায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কপি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পরও নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মাণকাজ শুরু করতে দিচ্ছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনগণকে।
গত ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে কেন কাজ চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানাতে চার সপ্তাহ সময় দিয়ে রুল জারি করা হয়। রুলে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। এরপর ১৬ নভেম্বর এই আদেশের সময়সীমা আরও তিন মাসের জন্য বাড়ানোর আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা প্রায় দুই মাস পার হলেও এখনো ব্রিজ নির্মাণকাজ স্থগিত রয়েছে।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ধরলা নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। বসুন্ধরা অ্যান্ড আবুবকর (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কাজ শুরু করেন এর ক্ষমতাপ্রাপ্ত (অথরাইজ) স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম রব্বানী। কিন্তু ঠিকাদারের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এলজিইডি কুড়িগ্রাম কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করায় এবং বারবার চিঠি দিয়ে কাজ শুরু না করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখায় মূল ঠিকাদারের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় চুক্তি বাতিল করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী ঠিকাদারের অভিযোগ, নকশা পরিবর্তন, ক্যালকুলেশনসহ বিভিন্ন কারণে এলজিইডি নির্মাণকাজ স্থগিত করে সময়ক্ষেপণ করা হয়। পরে সময় বাড়িয়ে কাজ শুরু করা হয় এবং প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির সময় নানা কারণে নির্মাণকাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়। বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তারা একতরফা সিদ্ধান্তে চুক্তি বাতিল করে।
ঠিকাদার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এলজিইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে রিট করি। আদালত এলজিইডির চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে দুই দফায় চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে আদালতের আদেশের কপি এবং কাজ শুরু করার আবেদন করে আমি পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করি। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ পুলিশ পাঠিয়ে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়। আদালতের আদেশের কপি দিলেও তারা শুনতে রাজি হয়নি। আর চুক্তি বাতিল করলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
সময়মতো কাজ শেষ না করার যে অভিযোগে চুক্তি বাতিল করা হয়, নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগবে বলে তিনি দাবি করেন।
আদালতের নির্দেশনার পরও কাজ করতে না দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু।
জানতে চাইলে এলজিইডি, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গোলাম রব্বানী ওই কাজের ঠিকাদার নন। তাঁর সঙ্গে আমাদের চুক্তি নেই।’
তবে ঠিকাদার গোলাম রব্বানী দাবি করেন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্বত্বাধিকারী হওয়ায় সেতু নির্মাণকাজের কাগজপত্রে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। এই কাজ দেখে ব্যাংক ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লোন দিয়েছে।
এলজিইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। আপিল আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমার জানা নেই।’ তবে এ নিয়ে কথা বলতে তাঁর কার্যালয়ে আসতে বলেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে