মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আব্দুর রশিদ। ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অবসরে যাওয়ার পর এ পদে পূর্ণকালীন আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ পদ ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে।
রেজিস্ট্রার পদে কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের।
শুধু রেজিস্ট্রার পদই নয়, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, হিসাব নিয়ামক, গ্রন্থাগারিক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১৩টি দপ্তর চলছে ভারপ্রাপ্ত, চুক্তিভিত্তিক প্রধান দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলায় অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ওই সব দপ্তর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মতে, উপাচার্যদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করা, প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা, রাজনৈতিক প্রভাব, অফিস প্রধানদের চাপে রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে বছরের পর বছর ধরে পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/প্রবিধান অনুযায়ী এসব পদে পূর্ণকালীন নিয়োগ দিয়ে তাদের জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো কার্যকর করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ভারপ্রাপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় চলে নাকি? তাঁদের পূর্ণকালীন কাজ করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত হলে সেটি হয়ে ওঠে না। এ জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যেন পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়।’
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি/সামরিক কর্মকর্তা এবং ক্ষেত্রবিশেষে কলেজের শিক্ষকদের চুক্তিভিত্তিক/খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কার্যাদি সুচারুরূপে সম্পাদনে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/প্রবিধান অনুযায়ী উল্লিখিত পদসমূহে পূর্ণকালীন নিয়োগ প্রদান প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অবশ্যই পূর্ণকালীন কাউকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। অনেক সময় প্রশাসনিক প্রয়োজনে শিক্ষকেরা আপত্কালীন সময়ের জন্য এসব দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু একজন শিক্ষকের অনেক কাজ আছে। তাঁকে গবেষণা করতে হয়, শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কখনো উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করা যায় না। এসব পদে তাই যোগ্য, দক্ষ লোকদের পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া উচিত।
চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে গতি আনতে অফিসারদের পদগুলোতে সম্মানিত শিক্ষকদের সরিয়ে পূর্ণকালীন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সহউপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দের কাছে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ইউজিসি এ রকম চিঠি পাঠিয়েছে কিনা আমার মনে পড়ছে না। তবে পূর্ণকালীন নিয়োগ না দেওয়ার পেছনে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া একটা কারণ হতে পারে। আমরা প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, হিসাব নিয়ামকসহ বেশ কয়েকটি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এসব পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আব্দুর রশিদ। ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অবসরে যাওয়ার পর এ পদে পূর্ণকালীন আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ পদ ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে।
রেজিস্ট্রার পদে কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের।
শুধু রেজিস্ট্রার পদই নয়, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, হিসাব নিয়ামক, গ্রন্থাগারিক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১৩টি দপ্তর চলছে ভারপ্রাপ্ত, চুক্তিভিত্তিক প্রধান দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলায় অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ওই সব দপ্তর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মতে, উপাচার্যদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করা, প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা, রাজনৈতিক প্রভাব, অফিস প্রধানদের চাপে রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে বছরের পর বছর ধরে পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/প্রবিধান অনুযায়ী এসব পদে পূর্ণকালীন নিয়োগ দিয়ে তাদের জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো কার্যকর করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ভারপ্রাপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় চলে নাকি? তাঁদের পূর্ণকালীন কাজ করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত হলে সেটি হয়ে ওঠে না। এ জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যেন পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়।’
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি/সামরিক কর্মকর্তা এবং ক্ষেত্রবিশেষে কলেজের শিক্ষকদের চুক্তিভিত্তিক/খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কার্যাদি সুচারুরূপে সম্পাদনে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/প্রবিধান অনুযায়ী উল্লিখিত পদসমূহে পূর্ণকালীন নিয়োগ প্রদান প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অবশ্যই পূর্ণকালীন কাউকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। অনেক সময় প্রশাসনিক প্রয়োজনে শিক্ষকেরা আপত্কালীন সময়ের জন্য এসব দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু একজন শিক্ষকের অনেক কাজ আছে। তাঁকে গবেষণা করতে হয়, শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কখনো উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করা যায় না। এসব পদে তাই যোগ্য, দক্ষ লোকদের পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া উচিত।
চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে গতি আনতে অফিসারদের পদগুলোতে সম্মানিত শিক্ষকদের সরিয়ে পূর্ণকালীন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সহউপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দের কাছে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ইউজিসি এ রকম চিঠি পাঠিয়েছে কিনা আমার মনে পড়ছে না। তবে পূর্ণকালীন নিয়োগ না দেওয়ার পেছনে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া একটা কারণ হতে পারে। আমরা প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, হিসাব নিয়ামকসহ বেশ কয়েকটি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এসব পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে