শিপুল ইসলাম (রংপুর) ও আশরাফুল আলম আপন (বদরগঞ্জ)
রংপুরে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো জনপদ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারপরও পেটের দায়ে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে খেতখামারে কাজ করছেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার কুয়াশা ও ঠান্ডার মাত্রা ছিল কয়েক দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহনকে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এমন পরিবেশও দমাতে পারেনি দিনমজুরদের।
বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের মোস্তাকিম ও আলম মিয়াকে আলুখেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ দেখা যায়। তাঁদের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মনের আক্ষেপ প্রকাশ করে আলম মিয়া বলেন, ‘সচোখে দ্যাখোচেন তো হামরা কত কষ্ট করি ফসল ফলাই। কিন্তু ফসলের ন্যায্য দাম পাই না। তোমরা একনা হামার কষ্টোগুলো পেপারোত তুলি ধরেন, সরকার যেন দ্যাখে।’
তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ হোসেন সরিষাখেতে পানি দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এবার ঠান্ডাও যেমন, কুয়াশাও সেই রকম। কিন্তু এই সব দেখি হামার হাত-পাও গুটি বাড়িত থাকিলে কি চলবে? সময় মতো খেতের যত্ন নিতে না পারলে আবাদ ভালো হবার নেয়। তাই ঠান্ডাক হামরা কিছুই মনে করি না।’
বদরগঞ্জের বুড়িপুকুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহিম ও আবু তালেব আলুখেত নিড়ানি দিতে দিতে জানান, একদিন কাজ না করলে চুলায় হাঁড়ি ওঠে না। তাই পেটের দায়ে এই ঠান্ডায়ও কাজে এসেছেন।
মধুপুর ইউনিয়নের নাওপাড়া গ্রামের গুলসানা বেগম বলেন, ‘আইজ খুব ঠান্ডা নাগচে। বাড়ির থালি খোরা মানজিতে গিয়ে হাত-পাও কোকরা হয়য়া আইসোচে। মনে হওচে আকাশটা উন্দাও হয়য়া গেইচে।’
রামনাথপুর ইউনিয়নের মোকসেদপুর গ্রামের দুলালী বেগম জানান, গরম কাপড়ের অভাবে তিনটি সন্তান নিয়ে তিনি খুব কষ্টে আছেন। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো কম্বল সহায়তা দেয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রংপুরের জন্য ৫৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতি ইউনিয়নে ৪৯০টি করে বিভিন্ন উপজেলায় ৩৮ হাজার ৭১০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য রয়েছে ১৬ হাজার ২৯০টি কম্বল।
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তেঁতুলিয়ায়। রংপুরে ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনই তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আরও কমতে পারে।
রংপুরে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো জনপদ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারপরও পেটের দায়ে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে খেতখামারে কাজ করছেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার কুয়াশা ও ঠান্ডার মাত্রা ছিল কয়েক দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহনকে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এমন পরিবেশও দমাতে পারেনি দিনমজুরদের।
বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের মোস্তাকিম ও আলম মিয়াকে আলুখেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ দেখা যায়। তাঁদের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মনের আক্ষেপ প্রকাশ করে আলম মিয়া বলেন, ‘সচোখে দ্যাখোচেন তো হামরা কত কষ্ট করি ফসল ফলাই। কিন্তু ফসলের ন্যায্য দাম পাই না। তোমরা একনা হামার কষ্টোগুলো পেপারোত তুলি ধরেন, সরকার যেন দ্যাখে।’
তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ হোসেন সরিষাখেতে পানি দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এবার ঠান্ডাও যেমন, কুয়াশাও সেই রকম। কিন্তু এই সব দেখি হামার হাত-পাও গুটি বাড়িত থাকিলে কি চলবে? সময় মতো খেতের যত্ন নিতে না পারলে আবাদ ভালো হবার নেয়। তাই ঠান্ডাক হামরা কিছুই মনে করি না।’
বদরগঞ্জের বুড়িপুকুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহিম ও আবু তালেব আলুখেত নিড়ানি দিতে দিতে জানান, একদিন কাজ না করলে চুলায় হাঁড়ি ওঠে না। তাই পেটের দায়ে এই ঠান্ডায়ও কাজে এসেছেন।
মধুপুর ইউনিয়নের নাওপাড়া গ্রামের গুলসানা বেগম বলেন, ‘আইজ খুব ঠান্ডা নাগচে। বাড়ির থালি খোরা মানজিতে গিয়ে হাত-পাও কোকরা হয়য়া আইসোচে। মনে হওচে আকাশটা উন্দাও হয়য়া গেইচে।’
রামনাথপুর ইউনিয়নের মোকসেদপুর গ্রামের দুলালী বেগম জানান, গরম কাপড়ের অভাবে তিনটি সন্তান নিয়ে তিনি খুব কষ্টে আছেন। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো কম্বল সহায়তা দেয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রংপুরের জন্য ৫৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতি ইউনিয়নে ৪৯০টি করে বিভিন্ন উপজেলায় ৩৮ হাজার ৭১০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য রয়েছে ১৬ হাজার ২৯০টি কম্বল।
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তেঁতুলিয়ায়। রংপুরে ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনই তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আরও কমতে পারে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে