ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
একসময় সিলেটজুড়ে নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য ছিল জাতীয় পার্টির (জাপা)। সময়ের ব্যবধানে জাপার সেই অবস্থান আর নেই। তবে নির্বাচন এলেই সবার আগে আলোচনায় আসে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের কথা। ২০০১ সালে জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে সিলেট-৩ আসন দখলে নেয় বিএনপি। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। এরপর থেকে এই আসন এখন পর্যন্ত দলটির কবজায়। জাপা এখন অনেকটা ব্রাত্য। ভোট বেড়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির। তবে দুই দলের ভোট প্রায় সমান সমান। আগামী নির্বাচনে জয় তাই অনেকটা নির্ভর করছে ভাসমান বা নির্দলীয় ভোটারদের ওপর।
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩। নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অর্ধডজন নেতা। তাঁরা হলেন হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা সামাদ চৌধুরী।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের এপিএস এবং দলটির সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম এবং দলটির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা এম এ হকের ছেলে ও জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান। পাশাপাশি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরীও আছেন মাঠে।
জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকসহ বেশ কয়েকজন। আতিক সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসনের তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির হানাহানি না থাকলেও সরব উপস্থিতি আছে দুই দলেরই। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটেও দুই দল সমান সমান। প্রার্থীর ব্যক্তি জনপ্রিয়তা, দলের নির্বাচনী চমক এবং দলের বাইরের ভোটারদের ভোট ঠিক করে দেবে, কে হবেন আসনের এমপি। আওয়ামী লীগে বর্তমান এমপির পাশাপাশি ডা. দুলালেরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে পিছিয়ে নেই বিএনপিও। ব্যক্তি হিসেবে বিএনপির কাইয়ুম চৌধুরীও বেশ জনপ্রিয়। তিনি প্রার্থী হলে ভোটে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এখানে তাঁদের অবস্থান বেশ সুদৃঢ়। সংগঠনগুলো সক্রিয়। করোনাভাইরাস ও বন্যায় মানুষের পাশে থাকায় নেতাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে মহামারি করোনার মধ্যেও উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে, আমিও মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘তিন উপজেলার মানুষের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য। মনোনয়ন দিলে জয় নিশ্চিত।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে আপাতত ভাবছি না। মানুষের ভাতের ও ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। যদি এগুলো নিশ্চিত করতে পারি, আর দল নির্বাচনে অংশ নেয়, তখন মনোনয়নপ্রত্যাশী।’
একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁরা বলছেন, দলগতভাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। ব্যক্তি হিসেবে প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। আসনটিতে তিনি নৌকার বলয় গড়তে সক্ষম হয়েছেন। নেই কোনো কোন্দল। নৌকার প্রতি একটু টান আছে অনেকের। তবে এবার বিএনপির বাজিমাত করার সুযোগ রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে নির্বাচন কেমন হবে এবং কারা অংশ নেবেন তার ওপর।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯৩। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন।
একসময় সিলেটজুড়ে নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য ছিল জাতীয় পার্টির (জাপা)। সময়ের ব্যবধানে জাপার সেই অবস্থান আর নেই। তবে নির্বাচন এলেই সবার আগে আলোচনায় আসে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের কথা। ২০০১ সালে জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে সিলেট-৩ আসন দখলে নেয় বিএনপি। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। এরপর থেকে এই আসন এখন পর্যন্ত দলটির কবজায়। জাপা এখন অনেকটা ব্রাত্য। ভোট বেড়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির। তবে দুই দলের ভোট প্রায় সমান সমান। আগামী নির্বাচনে জয় তাই অনেকটা নির্ভর করছে ভাসমান বা নির্দলীয় ভোটারদের ওপর।
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩। নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অর্ধডজন নেতা। তাঁরা হলেন হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা সামাদ চৌধুরী।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের এপিএস এবং দলটির সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম এবং দলটির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা এম এ হকের ছেলে ও জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান। পাশাপাশি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরীও আছেন মাঠে।
জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকসহ বেশ কয়েকজন। আতিক সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসনের তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির হানাহানি না থাকলেও সরব উপস্থিতি আছে দুই দলেরই। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটেও দুই দল সমান সমান। প্রার্থীর ব্যক্তি জনপ্রিয়তা, দলের নির্বাচনী চমক এবং দলের বাইরের ভোটারদের ভোট ঠিক করে দেবে, কে হবেন আসনের এমপি। আওয়ামী লীগে বর্তমান এমপির পাশাপাশি ডা. দুলালেরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে পিছিয়ে নেই বিএনপিও। ব্যক্তি হিসেবে বিএনপির কাইয়ুম চৌধুরীও বেশ জনপ্রিয়। তিনি প্রার্থী হলে ভোটে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এখানে তাঁদের অবস্থান বেশ সুদৃঢ়। সংগঠনগুলো সক্রিয়। করোনাভাইরাস ও বন্যায় মানুষের পাশে থাকায় নেতাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে মহামারি করোনার মধ্যেও উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে, আমিও মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘তিন উপজেলার মানুষের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য। মনোনয়ন দিলে জয় নিশ্চিত।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে আপাতত ভাবছি না। মানুষের ভাতের ও ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। যদি এগুলো নিশ্চিত করতে পারি, আর দল নির্বাচনে অংশ নেয়, তখন মনোনয়নপ্রত্যাশী।’
একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁরা বলছেন, দলগতভাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। ব্যক্তি হিসেবে প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। আসনটিতে তিনি নৌকার বলয় গড়তে সক্ষম হয়েছেন। নেই কোনো কোন্দল। নৌকার প্রতি একটু টান আছে অনেকের। তবে এবার বিএনপির বাজিমাত করার সুযোগ রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে নির্বাচন কেমন হবে এবং কারা অংশ নেবেন তার ওপর।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯৩। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে