কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলায় ফায়ার স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই ক্ষতি হয় ব্যাপক।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভূমি জটিলতা ও জেলা ফায়ার স্টেশনের গাফিলতির কারণে বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ। তবে জমি নির্ধারণ করে অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। গ্রামের সংখ্যা ১৩৩ টি, মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অপরিকল্পিত অবকাঠামো এবং সচেতনতার অভাবে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে উপজেলাতে অন্তত ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজমিরীগঞ্জ পৌর গরুর বাজার, মধ্যবাজার, লাল মিয়া বাজার, আজমিরীগঞ্জ ভূঁইয়া মার্কেট, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার পুকুরপাড়, নগর গ্রাম, সৌলরী বাজার ও পাহাড়পুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। এ ছাড়া বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০২০ সালের দুটি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি এখনো সামলিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পাহাড়পুর বাজারে আগুন লেগে ৩৯টি দোকান পুড়ে যায়। এ ছাড়া ৯ নভেম্বর আজমিরীগঞ্জ বাজারে আগুন লেগে পুড়ে যায় আরও ১২টি দোকান। শুধু এই দুটি অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের অন্তত ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
পাহাড়পুর বাজারের ব্যবসায়ী তরুন দাস বলেন, ‘আগুনে পুরো বাজার ছাই হয়ে যায়। শ্মশান ভূমিতে পরিণত হয়েছিল বাজার। আমরা ৩৯ জন ব্যবসায়ী একেবারে পথে বসে যাই। যদি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার স্টেশন থাকত, তাহলে এত বড় ক্ষতি হতো না।’
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দাবি, আজমিরীগঞ্জে ফায়ার স্টেশন না থাকায় আগুন লাগলে বানিয়াচং অথবা জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণের জন্য ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সব পুড়ে যায়। এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সবগুলো আগুনই ভয়াবহ হয়েছে ঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না পৌঁছানোয়। শ্যালো মেশিন এবং হাতে ঢালা পানিই আগুন নিয়ন্ত্রণের একমাত্র ভরসা।
পৌর এলাকার ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী সেন্টু আহমেদ জিহান বলেন, ‘২০২০ সালে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা থেকে আমরা কিছুটা রক্ষা পেতাম।’
আজমিরীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, ‘সাত মাস আগে এখানে যোগদানের পরই মনে হলো, এখানে একটি ফায়ার স্টেশন জরুরি। চার মাস আগে জেলা সমন্বয় সভায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা স্টেশন নির্মাণের জন্য জায়গা চাইলেন। তাদের বললাম একটি চিঠি দেন, জায়গার ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু তখন তারা চিঠি দেয়নি।’
ইউএনও জানান, তিন মাস পর একটি চিঠি দিয়েছে। পরে একটা জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বলল, এ জায়গা তাদের পছন্দ হয়নি। কিছুদিন পর আবার জানাল, সেখানেই স্টেশন করবে। পরে জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছেই জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অধিগ্রহণের আগে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
চিঠি দিতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে হবিগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, ‘চিঠিটা আমি দিতে পারি না। এটি আসে মন্ত্রণালয় থেকে। যে কারণে মন্ত্রণালয় এ চিঠি দিতে একটু বিলম্ব করেছে। বর্তমানে আমরা ৮০ শতাংশ জায়গা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে জমি অধিগ্রহণের জন্য ইউএনও ও জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন।’
শিমুল মো. রফি আরও বলেন, ‘জায়গা হাতে পেলে আমরা ভবন নির্মাণের জন্য বলব। এরপরই কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আজমিরীগঞ্জ স্টেশনের জন্য গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এসে গেছে। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে।’
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলায় ফায়ার স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই ক্ষতি হয় ব্যাপক।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভূমি জটিলতা ও জেলা ফায়ার স্টেশনের গাফিলতির কারণে বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ। তবে জমি নির্ধারণ করে অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। গ্রামের সংখ্যা ১৩৩ টি, মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অপরিকল্পিত অবকাঠামো এবং সচেতনতার অভাবে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে উপজেলাতে অন্তত ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজমিরীগঞ্জ পৌর গরুর বাজার, মধ্যবাজার, লাল মিয়া বাজার, আজমিরীগঞ্জ ভূঁইয়া মার্কেট, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার পুকুরপাড়, নগর গ্রাম, সৌলরী বাজার ও পাহাড়পুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। এ ছাড়া বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০২০ সালের দুটি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি এখনো সামলিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পাহাড়পুর বাজারে আগুন লেগে ৩৯টি দোকান পুড়ে যায়। এ ছাড়া ৯ নভেম্বর আজমিরীগঞ্জ বাজারে আগুন লেগে পুড়ে যায় আরও ১২টি দোকান। শুধু এই দুটি অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের অন্তত ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
পাহাড়পুর বাজারের ব্যবসায়ী তরুন দাস বলেন, ‘আগুনে পুরো বাজার ছাই হয়ে যায়। শ্মশান ভূমিতে পরিণত হয়েছিল বাজার। আমরা ৩৯ জন ব্যবসায়ী একেবারে পথে বসে যাই। যদি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার স্টেশন থাকত, তাহলে এত বড় ক্ষতি হতো না।’
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দাবি, আজমিরীগঞ্জে ফায়ার স্টেশন না থাকায় আগুন লাগলে বানিয়াচং অথবা জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণের জন্য ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সব পুড়ে যায়। এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সবগুলো আগুনই ভয়াবহ হয়েছে ঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না পৌঁছানোয়। শ্যালো মেশিন এবং হাতে ঢালা পানিই আগুন নিয়ন্ত্রণের একমাত্র ভরসা।
পৌর এলাকার ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী সেন্টু আহমেদ জিহান বলেন, ‘২০২০ সালে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা থেকে আমরা কিছুটা রক্ষা পেতাম।’
আজমিরীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, ‘সাত মাস আগে এখানে যোগদানের পরই মনে হলো, এখানে একটি ফায়ার স্টেশন জরুরি। চার মাস আগে জেলা সমন্বয় সভায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা স্টেশন নির্মাণের জন্য জায়গা চাইলেন। তাদের বললাম একটি চিঠি দেন, জায়গার ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু তখন তারা চিঠি দেয়নি।’
ইউএনও জানান, তিন মাস পর একটি চিঠি দিয়েছে। পরে একটা জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বলল, এ জায়গা তাদের পছন্দ হয়নি। কিছুদিন পর আবার জানাল, সেখানেই স্টেশন করবে। পরে জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছেই জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অধিগ্রহণের আগে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
চিঠি দিতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে হবিগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, ‘চিঠিটা আমি দিতে পারি না। এটি আসে মন্ত্রণালয় থেকে। যে কারণে মন্ত্রণালয় এ চিঠি দিতে একটু বিলম্ব করেছে। বর্তমানে আমরা ৮০ শতাংশ জায়গা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে জমি অধিগ্রহণের জন্য ইউএনও ও জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন।’
শিমুল মো. রফি আরও বলেন, ‘জায়গা হাতে পেলে আমরা ভবন নির্মাণের জন্য বলব। এরপরই কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আজমিরীগঞ্জ স্টেশনের জন্য গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এসে গেছে। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে