শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘হঠাৎ করি বাস বন্ধ করি দেয়, এটা কেমন কথা। মানুষের তো ঠেকা-বেঠেকা থাকে। আইজ গাড়ি বন্ধ থাকায় নাতনিটা নিয়া ওর মায়ের কাছোত যাবার পানু না।’
গতকাল শুক্রবার রংপুর কেন্দ্রীয় সিটি বাস টার্মিনালে কথাগুলো বলছিলেন হাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী। তিনি ৯ বছরের নাতনিকে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য বাস খুঁজছিলেন। যখন জানলেন সেখানে ধর্মঘট চলছে, তখন ফ্যাকাশে মুখে নাতনিকে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন।
রমজান জানান, তাঁর মেয়ে মল্লিকা বেগম রাজশাহীতে থাকেন। নাতনি মিথিলা আক্তার তাঁদের সঙ্গে থাকেন। কয়েক দিন ধরে মিথিলা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না করছিল। তাই গতকাল শিশুটিকে নিয়ে যেতেই তিনি টার্মিনালে এসেছিলেন। এখান তাকে পরের দিন নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে ফেরত যেতে রাজি করিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন, মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তবে বিএনপির লোকজন বলছেন, তাঁদের শনিবারের বিভাগীয় সমাবেশে বাধা দিতে সরকারের ইন্ধনে বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমন অবস্থায় রাজশাহী বিভাগগামী রংপুরের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গতকাল সিটি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি। এ ছাড়া নগরীর মডার্ন মোড়, মিঠাপুকুরের জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ড, বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ড, পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও লালদীঘি থেকেও রাজশাহীর পথে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। জরুরি প্রয়োজনে অনেকে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।
নওগাঁ যেতে না পারা গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগারী গ্রামের হাসান মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘কিছু বুঝনু না বাহে, যকনে যেটে বিএনপির সমাবেশ হওছে, সেটে কোনোয় গাড়ি বন্ধ হয়া যাওছে। আর হামার মতোন মানুষ দরকারি জাগাত যাবার পাওছি না। অটো, টেম্পুত গেইলে চাইরগুণ টাকা নাগোছে। সময়ও যাওছে, কষ্টও বাড়ছে।’
নওগাঁগামী আরেক যাত্রী মতিন মিয়া বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বিএনপির সমাবেশ যেখানে হচ্ছে, সেখানেই হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
গাড়িঘোড়া বন্ধ থাকায় আমাদের মতো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।’
অন্তত ১৫ জন মোটরশ্রমিকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, রাজশাহী-বগুড়া পথে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুর থেকে তা ছেড়ে যাচ্ছে না। এর সঙ্গে রংপুরের মালিক বা শ্রমিকদের কোনো সম্পর্ক নেই। বাস বন্ধ থাকায় তাঁদের আয়ের পথও বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপ্পন জানান, রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রংপুর থেকে রাজশাহী-বগুড়ামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
‘হঠাৎ করি বাস বন্ধ করি দেয়, এটা কেমন কথা। মানুষের তো ঠেকা-বেঠেকা থাকে। আইজ গাড়ি বন্ধ থাকায় নাতনিটা নিয়া ওর মায়ের কাছোত যাবার পানু না।’
গতকাল শুক্রবার রংপুর কেন্দ্রীয় সিটি বাস টার্মিনালে কথাগুলো বলছিলেন হাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী। তিনি ৯ বছরের নাতনিকে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য বাস খুঁজছিলেন। যখন জানলেন সেখানে ধর্মঘট চলছে, তখন ফ্যাকাশে মুখে নাতনিকে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন।
রমজান জানান, তাঁর মেয়ে মল্লিকা বেগম রাজশাহীতে থাকেন। নাতনি মিথিলা আক্তার তাঁদের সঙ্গে থাকেন। কয়েক দিন ধরে মিথিলা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না করছিল। তাই গতকাল শিশুটিকে নিয়ে যেতেই তিনি টার্মিনালে এসেছিলেন। এখান তাকে পরের দিন নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে ফেরত যেতে রাজি করিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন, মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তবে বিএনপির লোকজন বলছেন, তাঁদের শনিবারের বিভাগীয় সমাবেশে বাধা দিতে সরকারের ইন্ধনে বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমন অবস্থায় রাজশাহী বিভাগগামী রংপুরের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গতকাল সিটি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি। এ ছাড়া নগরীর মডার্ন মোড়, মিঠাপুকুরের জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ড, বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ড, পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও লালদীঘি থেকেও রাজশাহীর পথে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। জরুরি প্রয়োজনে অনেকে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।
নওগাঁ যেতে না পারা গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগারী গ্রামের হাসান মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘কিছু বুঝনু না বাহে, যকনে যেটে বিএনপির সমাবেশ হওছে, সেটে কোনোয় গাড়ি বন্ধ হয়া যাওছে। আর হামার মতোন মানুষ দরকারি জাগাত যাবার পাওছি না। অটো, টেম্পুত গেইলে চাইরগুণ টাকা নাগোছে। সময়ও যাওছে, কষ্টও বাড়ছে।’
নওগাঁগামী আরেক যাত্রী মতিন মিয়া বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বিএনপির সমাবেশ যেখানে হচ্ছে, সেখানেই হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
গাড়িঘোড়া বন্ধ থাকায় আমাদের মতো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।’
অন্তত ১৫ জন মোটরশ্রমিকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, রাজশাহী-বগুড়া পথে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুর থেকে তা ছেড়ে যাচ্ছে না। এর সঙ্গে রংপুরের মালিক বা শ্রমিকদের কোনো সম্পর্ক নেই। বাস বন্ধ থাকায় তাঁদের আয়ের পথও বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপ্পন জানান, রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রংপুর থেকে রাজশাহী-বগুড়ামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে