শেখ আবু হাসান ও শামীমুজ্জামান, খুলনা
স্বাধীনতার পর প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের দখল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দ্বিতীয়বার নির্বাচনেই হারতে হয়। এরপর তিন দশকের বেশি সময় এই আসনের দখল নিতে পারেনি দলটি। ২০১৪ সালে সেই অসাধ্য সাধন করেন মিজানুর রহমান মিজান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আসনটি আরও পাকাপোক্ত করেন বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। আগামী নির্বাচনেও তিনিই হচ্ছেন দলের কান্ডারি। জুয়েলে ভর করেই নির্ভার ছুটে চলছে নৌকা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা এখনো তেমনভাবে শুরু হয়নি। এই আসনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত।একক প্রার্থী শেখ জুয়েল, এটি এক প্রকার নিশ্চিত। তাঁর কারণে দলের মধ্যে বর্তমানে কোনো কোন্দল বা বিভক্তি নেই বললেই চলে। নগর আওয়ামী লীগ এখন এককাট্টা। অন্যদিকে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে বিএনপি রাজপথে থাকলেও কোন্দল ও বিভক্তিতে জর্জরিত। আগামী নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
রূপসা নদী আর ভৈরব ও ময়ূর নদের তীরে মহানগরী খুলনা। সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২। এই আসন ঘিরেই আবর্তিত হয় খুলনা জেলাসহ বিভাগের রাজনীতি। আন্দোলন, সংগ্রাম থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোও এ সংসদীয় এলাকায়।
এই আসনে আওয়ামী লীগে যেখানে একক প্রার্থী, সেখানে বিএনপিতে একাধিক। বিএনপি নির্বাচনে গেলে এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও সাবেক নেতা ফকরুল আলম। দলীয় বাধা না থাকলে মনোনয়ন চাইতে পারেন এই আসনের সাবেক এমপি নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মহানন্দা সরকার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভাবনা জানতে চাওয়া হলে মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, শেখ জুয়েলের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। খুলনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও তাঁর প্রতি আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থন রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাবেন, এটা নিশ্চিত। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন বিএনপির প্রার্থী। এর মধ্যে ২০০১ সালে এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে দলটিতে কোন্দল বাড়তে শুরু করে। সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দলীয় কোন্দলের শিকার হতে হয়েছে। দল তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনার সাবেক মেয়র শেখ মনিরুজ্জামান মনিসহ দলের একটি বিরাট অংশ। তাঁরা এখন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।
বিরোধী পক্ষ শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিন এখন খুলনা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। তবে তাঁরা এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে খুলনা বিএনপি।
এ বিষয়ে শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়নের পরই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ভাববে। দল যদি নির্বাচনে যায়, তবে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
জাপার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো বাকি অনেক সময়। এখনো অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। জাতীয় পার্টি প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ জামায়াতে ইসলামীর এখনো কোনো প্রস্তুতি নেই। এ ব্যাপারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার আদায়ে কাজ করছি। আপাতত এককভাবে নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।’
স্বাধীনতার পর প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের দখল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দ্বিতীয়বার নির্বাচনেই হারতে হয়। এরপর তিন দশকের বেশি সময় এই আসনের দখল নিতে পারেনি দলটি। ২০১৪ সালে সেই অসাধ্য সাধন করেন মিজানুর রহমান মিজান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আসনটি আরও পাকাপোক্ত করেন বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। আগামী নির্বাচনেও তিনিই হচ্ছেন দলের কান্ডারি। জুয়েলে ভর করেই নির্ভার ছুটে চলছে নৌকা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা এখনো তেমনভাবে শুরু হয়নি। এই আসনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত।একক প্রার্থী শেখ জুয়েল, এটি এক প্রকার নিশ্চিত। তাঁর কারণে দলের মধ্যে বর্তমানে কোনো কোন্দল বা বিভক্তি নেই বললেই চলে। নগর আওয়ামী লীগ এখন এককাট্টা। অন্যদিকে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে বিএনপি রাজপথে থাকলেও কোন্দল ও বিভক্তিতে জর্জরিত। আগামী নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
রূপসা নদী আর ভৈরব ও ময়ূর নদের তীরে মহানগরী খুলনা। সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২। এই আসন ঘিরেই আবর্তিত হয় খুলনা জেলাসহ বিভাগের রাজনীতি। আন্দোলন, সংগ্রাম থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোও এ সংসদীয় এলাকায়।
এই আসনে আওয়ামী লীগে যেখানে একক প্রার্থী, সেখানে বিএনপিতে একাধিক। বিএনপি নির্বাচনে গেলে এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও সাবেক নেতা ফকরুল আলম। দলীয় বাধা না থাকলে মনোনয়ন চাইতে পারেন এই আসনের সাবেক এমপি নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মহানন্দা সরকার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভাবনা জানতে চাওয়া হলে মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, শেখ জুয়েলের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। খুলনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও তাঁর প্রতি আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থন রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাবেন, এটা নিশ্চিত। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন বিএনপির প্রার্থী। এর মধ্যে ২০০১ সালে এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে দলটিতে কোন্দল বাড়তে শুরু করে। সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দলীয় কোন্দলের শিকার হতে হয়েছে। দল তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনার সাবেক মেয়র শেখ মনিরুজ্জামান মনিসহ দলের একটি বিরাট অংশ। তাঁরা এখন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।
বিরোধী পক্ষ শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিন এখন খুলনা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। তবে তাঁরা এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে খুলনা বিএনপি।
এ বিষয়ে শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়নের পরই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ভাববে। দল যদি নির্বাচনে যায়, তবে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
জাপার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো বাকি অনেক সময়। এখনো অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। জাতীয় পার্টি প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ জামায়াতে ইসলামীর এখনো কোনো প্রস্তুতি নেই। এ ব্যাপারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার আদায়ে কাজ করছি। আপাতত এককভাবে নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে