জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্থাপন করা হয় ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এর মধ্যে তিনটি ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও সড়ক নির্মাণে নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। ফলে সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের হাটগ্রাম এবং দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান ও কাজীটোল গ্রামে তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। সে সময় রাস্তার ধারে জায়গা না পেয়ে মাঠের মধ্যে আবাদি জমিতে ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আবাদি জমি নষ্ট করে কেউই সংযোগ সড়কের জন্য জায়গা দিতে রাজি হয়নি। ফলে দীর্ঘ ৮ বছরেও কমিউনিটি ক্লিনিক তিনটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

আরও জানা যায়, এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সংযোগ সড়কের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেবা নিতে আসে রোগীদের। অন্যের আবাদি জমির আইল দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে যাতায়াত করতে হয়। ফলে মাঝে মধ্যেই রোগীদের সঙ্গে জমির মালিকদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ ছাড়া বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়ে যায়। বেতুয়ান গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় জমির আইল দিয়ে মানুষকে ক্লিনিকে যাতায়াত করতে হয়। এতে জমির মালিকদের সঙ্গে রোগীদের মাঝে মধ্যেই বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

কাজিটোল গ্রামের হাসান মাহমুদ জানান, ক্লিনিকে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জমির মধ্য দিয়ে ক্লিনিকে আসা-যাওয়া রোগীদের জন্য খুব কষ্টকর।

হাটগ্রামের আসাদুজ্জামান জানান, ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা জরুরি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক তিনটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ অবহিত আছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার হাটউধুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সংযোগ সড়কের জন্য একটি পুল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি তিনটি ক্লিনিকের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।’