জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
চলতি বছরের জুন মাসে ভয়াবহ বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বন্যার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কৃষির ওপর নির্ভরশীল এ জেলার মানুষ। তবে চলতি রোপা আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন সোনালি ধান। যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা শুরু হয়েছে।কয়েক দিন পরে কৃষকেরা পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ধান কাটায়। ঘরে ঘরে দেখা দেবে নবান্ন উৎসব ও আনন্দ। এবার ধানের ফলনও আশানুরূপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনের ফলন খুব ভালো হবে।
বোরোপ্রধান সুনামগঞ্জ জেলায় এখন আমন চাষাবাদও হয় উল্লেখ করার মতো। এ বছর জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে। পয়লা অগ্রহায়ণ থেকে শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ধান কাটা উৎসব। নতুন ধানের ম ম গন্ধ এখন হাওরের উজান এলাকার বাতাসে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের অপেক্ষাকৃত উঁচু উপজেলা দোয়ারাবাজারে ১৪ হাজার ৬২৫, ছাতকে ১২ হাজার ৯৫৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১১ হাজার ৬১০, জগন্নাথপুরে ৯ হাজার ৫৫৫, বিশ্বম্ভরপুরে ৮ হাজার ৭৫৫, তাহিরপুরে ৬ হাজার ৩৩৫, ধর্মপাশায় ৪ হাজার ৫৭০, শান্তিগঞ্জে ৪ হাজার ২১০, দিরাইয়ে ২ হাজার ৭২৫, শাল্লায় ২ হাজার ১৩০ এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে ব্রি-৪৯ ও বিআর ২২ জাতের ধান।
জুনের ভয়াবহ বন্যার আঘাতে বেঁচে থাকার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেক কৃষক। এবার আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় বিপদ কিছুটা কাটবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় বসতভিটা থেকে শুরু করে ঘরের আসবাব অনেক ক্ষতি হইছে। চাষাবাদ করতাম পারমু ভাবছিলাম না। তবে কিস্তির টাকা নিয়ে এবার আমন চাষ করছি। ফলন ভালো হইছে এবং কিছুটা উঠে দাঁড়াতে পারব।’
একই গ্রামের কৃষক শওকত মিয়া বলেন, ‘আমরা একমাত্র কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করেই চলি। বোরো চাষ আমরার এই দিকে একটু কম হয়। তবে আমনই আমরার সম্বল। বন্যার কারণে চাষ একটু দেরিতে করছিলাম। প্রথমে একটু ভয় ছিল পোকার আক্রমণের জন্য। এখন দেখা যায় ভালা ফলন হইছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানালেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার হেক্টর আমন জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে তিন লাখ টন ধান।
চলতি বছরের জুন মাসে ভয়াবহ বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বন্যার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কৃষির ওপর নির্ভরশীল এ জেলার মানুষ। তবে চলতি রোপা আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন সোনালি ধান। যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা শুরু হয়েছে।কয়েক দিন পরে কৃষকেরা পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ধান কাটায়। ঘরে ঘরে দেখা দেবে নবান্ন উৎসব ও আনন্দ। এবার ধানের ফলনও আশানুরূপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনের ফলন খুব ভালো হবে।
বোরোপ্রধান সুনামগঞ্জ জেলায় এখন আমন চাষাবাদও হয় উল্লেখ করার মতো। এ বছর জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে। পয়লা অগ্রহায়ণ থেকে শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ধান কাটা উৎসব। নতুন ধানের ম ম গন্ধ এখন হাওরের উজান এলাকার বাতাসে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের অপেক্ষাকৃত উঁচু উপজেলা দোয়ারাবাজারে ১৪ হাজার ৬২৫, ছাতকে ১২ হাজার ৯৫৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১১ হাজার ৬১০, জগন্নাথপুরে ৯ হাজার ৫৫৫, বিশ্বম্ভরপুরে ৮ হাজার ৭৫৫, তাহিরপুরে ৬ হাজার ৩৩৫, ধর্মপাশায় ৪ হাজার ৫৭০, শান্তিগঞ্জে ৪ হাজার ২১০, দিরাইয়ে ২ হাজার ৭২৫, শাল্লায় ২ হাজার ১৩০ এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে ব্রি-৪৯ ও বিআর ২২ জাতের ধান।
জুনের ভয়াবহ বন্যার আঘাতে বেঁচে থাকার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেক কৃষক। এবার আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় বিপদ কিছুটা কাটবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় বসতভিটা থেকে শুরু করে ঘরের আসবাব অনেক ক্ষতি হইছে। চাষাবাদ করতাম পারমু ভাবছিলাম না। তবে কিস্তির টাকা নিয়ে এবার আমন চাষ করছি। ফলন ভালো হইছে এবং কিছুটা উঠে দাঁড়াতে পারব।’
একই গ্রামের কৃষক শওকত মিয়া বলেন, ‘আমরা একমাত্র কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করেই চলি। বোরো চাষ আমরার এই দিকে একটু কম হয়। তবে আমনই আমরার সম্বল। বন্যার কারণে চাষ একটু দেরিতে করছিলাম। প্রথমে একটু ভয় ছিল পোকার আক্রমণের জন্য। এখন দেখা যায় ভালা ফলন হইছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানালেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার হেক্টর আমন জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে তিন লাখ টন ধান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে