অর্চি হক, ঢাকা
‘চারদিকে তখন থইথই জোয়ারের পানি। রেডিওতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর আসে। বলা হয় শুকনা খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই রাখতে। সেসব শুনে প্রস্তুতি নিই। আমরা অশিক্ষিত মানুষ, মোবাইল-ফেসবুক চালাতে পারি না। রেডিও না থাকলে তখন কী যে হতো!’—ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় কমিউনিটি রেডিও সৈকতের সচেতনতামূলক কার্যক্রম তুলে ধরতে গিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন কক্সবাজারের নাজিরারটেকের বাসিন্দা নূর বেগম।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন দুর্গত অঞ্চলের মানুষের ভরসা হয়ে ওঠে কমিউনিটি রেডিওগুলো। শুধু দুর্যোগে নয়, ২০১০ সালে যাত্রা শুরুর পর সারা বছর নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল এসব রেডিও। কিন্তু বাদ সেধেছে অর্থের অভাব। পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও বিজ্ঞাপন না থাকায় সম্প্রচার কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে স্টেশনগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কমিউনিটি রেডিওর স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘এক মিনিটের একটা বিজ্ঞাপন প্রতিদিন তিনবার করে প্রচার করার পরে মাস শেষে মেলে ৫০০-৬০০ টাকা। তাহলে ভালো মানের অনুষ্ঠান বানাব কীভাবে, আর স্টাফদের বেতনই-বা হবে কোত্থেকে।’
২০১০ সালে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সরকারের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১৯টি রেডিও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে সেগুলোও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরএ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চালু থাকা রেডিওগুলো হলো কুড়িগ্রামের রেডিও চিলমারী, গাইবান্ধার রেডিও সারাবেলা, বগুড়ার রেডিও মুক্তি, মৌলভীবাজারের রেডিও পল্লীকণ্ঠ, মুন্সিগঞ্জের রেডিও বিক্রমপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রেডিও সাগর গিরি, কক্সবাজারের টেকনাফের রেডিও সৈকত ও রেডিও নাফ, নোয়াখালীর হাতিয়ার রেডিও সাগরদ্বীপ, ভোলার চরফ্যাশনের রেডিও মেঘনা, বরগুনার আমতলীর সরকারি কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষি রেডিও, বরগুনা সদরের লোকবেতার, সাতক্ষীরার রেডিও নলতা, খুলনার রেডিও সুন্দরবন, ঝিনাইদহের রেডিও ঝিনুক, রাজশাহীর রেডিও বড়াল ও রেডিও পদ্মা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেডিও মহানন্দা ও নওগাঁর রেডিও বরেন্দ্র।
এর মধ্যে বরেন্দ্র রেডিওর বেতার সম্প্রচার ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আশ্রয় নিয়ে প্রচার চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বরেন্দ্র রেডিওর স্টেশন ম্যানেজার সুব্রত কুমার সরকার জানান, ২০২০ সালে বজ্রপাতের কারণে তাঁদের ট্রান্সমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেতার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা আর বেতার সম্প্রচারে ফিরতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সমিটার মেরামতের জন্য যন্ত্রাংশ ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা মেরামত করতে যে অর্থ প্রয়োজন, তা দিয়ে নতুন ট্রান্সমিটার কেনা যায়। ট্রান্সমিটারের পেছনে প্রায় ৬-৭ লাখের মতো খরচ। বর্তমানে এত টাকা না থাকায় আমরা ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচার চালিয়ে নিচ্ছি।’
কমিউনিটি রেডিওর দুরবস্থার পেছনে শ্রোতা কমে যাওয়া এবং বিজ্ঞাপন সংকটকে দায়ী করেছেন বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি রেডিওগুলো খুব ভালো অবস্থায় নেই। তবে দুর্যোগের সময়ে উপকূলের জনগোষ্ঠীকে তথ্য দিয়ে রেডিওগুলো তাদের পাশে থাকে।
রেডিওতে বিজ্ঞাপনের সংকট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ কমিউনিটি রেডিওর কার্যক্রম দেখতে ও শুনতে পায়। তাই এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে পারলে রেডিওর শ্রোতা বাড়বে, সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনও বাড়বে বলে মনে করি।’
তথ্য মন্ত্রণালয় ২০০৮ সালে প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় কমিউনিটি রেডিওর বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি ছিল না। তারপরও নীতিমালা ভেঙে কিছু কিছু কমিউনিটি রেডিও বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করে। কমিউনিটি রেডিওগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ২০১৭ সালে নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এতে কমিউনিটি রেডিওগুলোকে মোট অনুষ্ঠান সময়ের ১০ শতাংশ সময়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ২০২২ সালে আবারও নীতিমালায় সংশোধন আনা হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী, রেডিওগুলো বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। তবে দেশের বড় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিটি রেডিওতে বিজ্ঞাপন দিতে ততটা আগ্রহী নয় বলে জানান বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন পাই না বললেই চলে। কমিউনিটি রেডিও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করার তাগিদ থেকেই রেডিওগুলো টিকে আছে।’
নীতিমালা অনুযায়ী কমিউনিটি রেডিওগুলোর বেতার সম্প্রচার সক্ষমতা হলো মাত্র ২৫ বর্গকিলোমিটার। এ কারণে দেশের বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এখানে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে আগ্রহী নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বিসিআরএর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একেকটি কমিউনিটি রেডিও স্থাপনে ৪০-৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। কিন্তু এখান থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে খরচ চলে না। এসব রেডিওতে কাজ করেন স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবীরাও রেডিওগুলোতে কাজ করেন। এগুলোর শ্রোতা ক্লাবও আছে। রেডিওগুলো স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে।
‘চারদিকে তখন থইথই জোয়ারের পানি। রেডিওতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর আসে। বলা হয় শুকনা খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই রাখতে। সেসব শুনে প্রস্তুতি নিই। আমরা অশিক্ষিত মানুষ, মোবাইল-ফেসবুক চালাতে পারি না। রেডিও না থাকলে তখন কী যে হতো!’—ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় কমিউনিটি রেডিও সৈকতের সচেতনতামূলক কার্যক্রম তুলে ধরতে গিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন কক্সবাজারের নাজিরারটেকের বাসিন্দা নূর বেগম।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন দুর্গত অঞ্চলের মানুষের ভরসা হয়ে ওঠে কমিউনিটি রেডিওগুলো। শুধু দুর্যোগে নয়, ২০১০ সালে যাত্রা শুরুর পর সারা বছর নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল এসব রেডিও। কিন্তু বাদ সেধেছে অর্থের অভাব। পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও বিজ্ঞাপন না থাকায় সম্প্রচার কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে স্টেশনগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কমিউনিটি রেডিওর স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘এক মিনিটের একটা বিজ্ঞাপন প্রতিদিন তিনবার করে প্রচার করার পরে মাস শেষে মেলে ৫০০-৬০০ টাকা। তাহলে ভালো মানের অনুষ্ঠান বানাব কীভাবে, আর স্টাফদের বেতনই-বা হবে কোত্থেকে।’
২০১০ সালে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সরকারের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১৯টি রেডিও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে সেগুলোও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরএ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চালু থাকা রেডিওগুলো হলো কুড়িগ্রামের রেডিও চিলমারী, গাইবান্ধার রেডিও সারাবেলা, বগুড়ার রেডিও মুক্তি, মৌলভীবাজারের রেডিও পল্লীকণ্ঠ, মুন্সিগঞ্জের রেডিও বিক্রমপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রেডিও সাগর গিরি, কক্সবাজারের টেকনাফের রেডিও সৈকত ও রেডিও নাফ, নোয়াখালীর হাতিয়ার রেডিও সাগরদ্বীপ, ভোলার চরফ্যাশনের রেডিও মেঘনা, বরগুনার আমতলীর সরকারি কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষি রেডিও, বরগুনা সদরের লোকবেতার, সাতক্ষীরার রেডিও নলতা, খুলনার রেডিও সুন্দরবন, ঝিনাইদহের রেডিও ঝিনুক, রাজশাহীর রেডিও বড়াল ও রেডিও পদ্মা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেডিও মহানন্দা ও নওগাঁর রেডিও বরেন্দ্র।
এর মধ্যে বরেন্দ্র রেডিওর বেতার সম্প্রচার ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আশ্রয় নিয়ে প্রচার চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বরেন্দ্র রেডিওর স্টেশন ম্যানেজার সুব্রত কুমার সরকার জানান, ২০২০ সালে বজ্রপাতের কারণে তাঁদের ট্রান্সমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেতার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা আর বেতার সম্প্রচারে ফিরতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সমিটার মেরামতের জন্য যন্ত্রাংশ ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা মেরামত করতে যে অর্থ প্রয়োজন, তা দিয়ে নতুন ট্রান্সমিটার কেনা যায়। ট্রান্সমিটারের পেছনে প্রায় ৬-৭ লাখের মতো খরচ। বর্তমানে এত টাকা না থাকায় আমরা ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচার চালিয়ে নিচ্ছি।’
কমিউনিটি রেডিওর দুরবস্থার পেছনে শ্রোতা কমে যাওয়া এবং বিজ্ঞাপন সংকটকে দায়ী করেছেন বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি রেডিওগুলো খুব ভালো অবস্থায় নেই। তবে দুর্যোগের সময়ে উপকূলের জনগোষ্ঠীকে তথ্য দিয়ে রেডিওগুলো তাদের পাশে থাকে।
রেডিওতে বিজ্ঞাপনের সংকট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ কমিউনিটি রেডিওর কার্যক্রম দেখতে ও শুনতে পায়। তাই এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে পারলে রেডিওর শ্রোতা বাড়বে, সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনও বাড়বে বলে মনে করি।’
তথ্য মন্ত্রণালয় ২০০৮ সালে প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় কমিউনিটি রেডিওর বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি ছিল না। তারপরও নীতিমালা ভেঙে কিছু কিছু কমিউনিটি রেডিও বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করে। কমিউনিটি রেডিওগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ২০১৭ সালে নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এতে কমিউনিটি রেডিওগুলোকে মোট অনুষ্ঠান সময়ের ১০ শতাংশ সময়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ২০২২ সালে আবারও নীতিমালায় সংশোধন আনা হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী, রেডিওগুলো বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। তবে দেশের বড় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিটি রেডিওতে বিজ্ঞাপন দিতে ততটা আগ্রহী নয় বলে জানান বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন পাই না বললেই চলে। কমিউনিটি রেডিও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করার তাগিদ থেকেই রেডিওগুলো টিকে আছে।’
নীতিমালা অনুযায়ী কমিউনিটি রেডিওগুলোর বেতার সম্প্রচার সক্ষমতা হলো মাত্র ২৫ বর্গকিলোমিটার। এ কারণে দেশের বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এখানে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে আগ্রহী নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বিসিআরএর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একেকটি কমিউনিটি রেডিও স্থাপনে ৪০-৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। কিন্তু এখান থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে খরচ চলে না। এসব রেডিওতে কাজ করেন স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবীরাও রেডিওগুলোতে কাজ করেন। এগুলোর শ্রোতা ক্লাবও আছে। রেডিওগুলো স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে