উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেক জায়গায় প্রার্থী দিয়েছেন এমপিরাও। 

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দুই, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় একটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে। ফলে এই ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম দোহা, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, উপজেলা 
পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শ্যামনগর পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ মণ্ডল। 

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন চারজন। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাঈদ মেহেদী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান সুমন, শেখ রকিবুজ্জামান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ। 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান ও মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান। 

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বর্তমান বালিয়াডাঙ্গী-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের চাচা মোহাম্মদ আলী, ছেলে আলী আফসার ও আপন ছোট ভাই সফিকুল ইসলাম এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বুলবুল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

এই জেলার হরিপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের চার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ডাক,  টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল ও আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন। 

মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান ও সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাই সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্যানেল করে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীসহ অন্য দুই পদে তিনজনকে নিয়ে প্যানেল গঠন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠুকে চেয়ারম্যান পদেসহ অন্য দুই পদে তিনজনকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ প্যানেল গঠন করেছেন। তাঁরা পৃথকভাবে প্যানেলসহ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী। 

তৃতীয় ধাপের তফসিল কাল
আগামীকাল বুধবার উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।