তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
প্রায় ৩০ বছর আগে নজরুল ইসলামকে জন্ম দিয়েছিলেন রোকেয়া বেগম। এর তিন মাস পর স্বামীহারা হন তিনি। পরে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন রোকেয়া। এদিকে এত দিনে নজরুলও বড় হয়ে ওঠেন। তাঁরও সংসার হয়। এক সন্তানের জনক হন। মসজিদে ইমামতি করে সংসার ভালোই চলছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানতে পারেন, তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মা। মায়ের দেওয়া একটি কিডনিতে নতুন জীবন ফিরে পেলেন নজরুল।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিশপুরে। তিনি মসজিদে ইমামতি করেন। সামান্য আয়ে স্ত্রী আর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু একপর্যায়ে অসুস্থ হলে ধরা পড়ে তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিস করে চলছিলেন। তাঁকে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন কিডনি প্রতিস্থাপনের। নিজের জীবন ঝুঁকি জেনেও নজরুলকে নিজের কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন মা।
তবে কিডনি প্রতিস্থাপনে একের পর এক বাধায় পড়তে হয় নজরুলকে। শুরুতেই বিপত্তি বাঁধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নাম সংশোধন নিয়ে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে সব তথ্য জমা দিতে হয়। কিন্তু নজরুলেরই এনআইডিতে বাবা–মায়ের নাম ভুল হওয়ায় সেটি ঠিক করতেই পেরিয়ে যায় চার মাস। সেই সমস্যা মিটতেই শুরু করোনার হানা।
বাধার সব পাহাড় পেরিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৯ মার্চ রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। সফল অস্ত্রোপচার হলেও মা-ছেলেকে ১৯ দিন থাকতে হয় হাসপাতালে। ২৮ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁরা। ব্যথায় কাতরালেও মায়ের মুখ তখন ভরা ছিল হাসিতে। ওই তৃপ্তি ছেলেকে নতুন জীবন দিতে পেরে। তবে এখনো নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন নজরুল। তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে আছেন মা।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মায়ের জন্য নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। তাঁর এই ঋণ আমি কোনো কিছু দিয়েই শোধ করতে পারব না।’
নজরুল কথা শেষ হতেই ফোন ধরিয়ে দেন মাকে। রোকেয়া বেগম বললেন, ‘ছোটকালেই আমার ছেলেটা তার বাবাকে হারায়। এরপর অতি কষ্টে বড় হয়েছে। তাঁর কণ্ঠে মা ডাক শুনব না, এটা কখনো মানতে পারতাম না। ছেলেকে কিডনি দিতে তাই আমার জীবনের ঝুঁকির কথা ভাবিনি।’
অবশ্য ছেলের প্রতি মায়ের এই ভালোবাসাও বিফলে যেত যদি না সন্দ্বীপের কিছু তরুণ এগিয়ে না আসতেন। তাঁরা ফেসবুক কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তুলে দেন নজরুলের হাতে।
তরুণদের একজন হান্নান তারেক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের প্রতি মায়ের এমন ভালোবাসা আমাদেরও কাঁদিয়েছে।’
চিকিৎসককে দেখিয়ে আগামী সপ্তাহেই গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপে ফেরার কথা নজরুলের। এবার আর অসুস্থ শরীর নিয়ে নয়। এখন যে নজরুলের সঙ্গে আছে মায়ের কিডনিতে পাওয়া নতুন জীবন।
প্রায় ৩০ বছর আগে নজরুল ইসলামকে জন্ম দিয়েছিলেন রোকেয়া বেগম। এর তিন মাস পর স্বামীহারা হন তিনি। পরে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন রোকেয়া। এদিকে এত দিনে নজরুলও বড় হয়ে ওঠেন। তাঁরও সংসার হয়। এক সন্তানের জনক হন। মসজিদে ইমামতি করে সংসার ভালোই চলছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানতে পারেন, তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মা। মায়ের দেওয়া একটি কিডনিতে নতুন জীবন ফিরে পেলেন নজরুল।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিশপুরে। তিনি মসজিদে ইমামতি করেন। সামান্য আয়ে স্ত্রী আর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু একপর্যায়ে অসুস্থ হলে ধরা পড়ে তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিস করে চলছিলেন। তাঁকে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন কিডনি প্রতিস্থাপনের। নিজের জীবন ঝুঁকি জেনেও নজরুলকে নিজের কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন মা।
তবে কিডনি প্রতিস্থাপনে একের পর এক বাধায় পড়তে হয় নজরুলকে। শুরুতেই বিপত্তি বাঁধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নাম সংশোধন নিয়ে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে সব তথ্য জমা দিতে হয়। কিন্তু নজরুলেরই এনআইডিতে বাবা–মায়ের নাম ভুল হওয়ায় সেটি ঠিক করতেই পেরিয়ে যায় চার মাস। সেই সমস্যা মিটতেই শুরু করোনার হানা।
বাধার সব পাহাড় পেরিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৯ মার্চ রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। সফল অস্ত্রোপচার হলেও মা-ছেলেকে ১৯ দিন থাকতে হয় হাসপাতালে। ২৮ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁরা। ব্যথায় কাতরালেও মায়ের মুখ তখন ভরা ছিল হাসিতে। ওই তৃপ্তি ছেলেকে নতুন জীবন দিতে পেরে। তবে এখনো নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন নজরুল। তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে আছেন মা।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মায়ের জন্য নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। তাঁর এই ঋণ আমি কোনো কিছু দিয়েই শোধ করতে পারব না।’
নজরুল কথা শেষ হতেই ফোন ধরিয়ে দেন মাকে। রোকেয়া বেগম বললেন, ‘ছোটকালেই আমার ছেলেটা তার বাবাকে হারায়। এরপর অতি কষ্টে বড় হয়েছে। তাঁর কণ্ঠে মা ডাক শুনব না, এটা কখনো মানতে পারতাম না। ছেলেকে কিডনি দিতে তাই আমার জীবনের ঝুঁকির কথা ভাবিনি।’
অবশ্য ছেলের প্রতি মায়ের এই ভালোবাসাও বিফলে যেত যদি না সন্দ্বীপের কিছু তরুণ এগিয়ে না আসতেন। তাঁরা ফেসবুক কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তুলে দেন নজরুলের হাতে।
তরুণদের একজন হান্নান তারেক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের প্রতি মায়ের এমন ভালোবাসা আমাদেরও কাঁদিয়েছে।’
চিকিৎসককে দেখিয়ে আগামী সপ্তাহেই গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপে ফেরার কথা নজরুলের। এবার আর অসুস্থ শরীর নিয়ে নয়। এখন যে নজরুলের সঙ্গে আছে মায়ের কিডনিতে পাওয়া নতুন জীবন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে