সম্পাদকীয়
আছে এই পাঠাগারে। দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকবে এটা। পড়ুয়া মানুষ চার তাকওয়ালা বুকশেলফ থেকে বেছে নিতে পারবেন পছন্দের বই। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিশুতোষ, ধর্মীয় বই আছে সংগ্রহে।
বলা বাহুল্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে নির্মিত এই পাঠাগারটি শুরুতেই দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীর। ছোট্ট পার্কটিকে বিশিষ্টতা দান করেছে এই বইয়ের জগৎ।
পাঠাগার পেটের খিদে মেটায় না, মনের খিদে মেটায়। পৃথিবীর সব দেশই পাঠাগারের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাই সেই প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষ পাঠাগারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। বর্তমানকালে যে পাঠাগারগুলো পৃথিবীবিখ্যাত, সে পাঠাগারগুলো এখনো জ্ঞানচাহিদা মিটিয়ে চলেছে। আমেরিকার ‘দ্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’, ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি’, ‘ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি’, চীনের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব চায়না’, কানাডার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব কানাডা’, যুক্তরাজ্যে ‘ব্রিটিশ লাইব্রেরি’, রাশিয়ার ‘স্টেট লাইব্রেরি’, ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ফ্রান্স’-এর সুনাম জগৎজোড়া। পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে বাংলাদেশের অনেক মানুষই সেসব পাঠাগারে পড়াশোনার সুযোগ পান।
পাঠাগার হলো জ্ঞানভান্ডার। বিভিন্ন গবেষণা এবং পেশাদারি কাজে পাঠাগারের শরণাপন্ন হতে হয় মানুষকে। হাতে স্মার্টফোন আর অন্তর্জালে গুগলের অবাধ রাজত্ব থাকলেও এখন পর্যন্ত লাইব্রেরির উপযোগিতা নষ্ট হয়নি—এটা পড়ুয়া মানুষের জন্য সুসংবাদ।
আমাদের দেশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি অনন্য আয়োজন হলো ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। এ ছাড়াও আমাদের রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি, ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকার বাইরে খুলনার উমেষচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি, রাজশাহীর বরেন্দ্র লাইব্রেরিসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরির কথাও বলতে হবে।
জ্ঞানের গভীরতা বাড়ানো এবং অর্জিত জ্ঞান যাচাই-বাছাই করে আরও সূক্ষ্ম ও সুচারু করে নেওয়ার জন্য পাঠাগারই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী একটি রেস্তোরাঁ, পাবলিক টয়লেট, ফাস্ট ফুড শপ করা যেত। বাণিজ্যিকভাবে তা হয়ে উঠতে পারত সফল। কিন্তু সেই টাকাপয়সার কারবারের দিকে না গিয়ে বইপত্রের প্রতি যাঁরা ভালোবাসা দেখালেন, তাঁদের সাধুবাদ জানানো যেতেই পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন ধরনের বই রাখা দরকার পাঠাগারে। সব ধরনের মনের খিদে মেটানোর চেষ্টা তো থাকতেই হবে, তবে বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটা পরামর্শ দিয়ে রাখতে চাই। আমাদের দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্য, লোকসাহিত্য, শিশুসাহিত্য নিয়ে বেশি বেশি বই থাকলে আত্মপরিচয়ের বিষয়টি বুঝতে পারবে মানুষ। বিশ্বপরিচয়ের জন্য থাকতে হবে অনূদিত বই। ধর্মীয় বই বললে সব ধর্মের বই-ই রাখা দরকার।
জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য পাবনার ভাঙ্গুড়ার এই দৃষ্টান্ত গ্রহণ করতে পারে দেশের সব কটি উপজেলা। তাতে ভবিষ্যৎ-নাগরিকেরা পথের দিশা পাবে।
আছে এই পাঠাগারে। দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকবে এটা। পড়ুয়া মানুষ চার তাকওয়ালা বুকশেলফ থেকে বেছে নিতে পারবেন পছন্দের বই। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিশুতোষ, ধর্মীয় বই আছে সংগ্রহে।
বলা বাহুল্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে নির্মিত এই পাঠাগারটি শুরুতেই দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীর। ছোট্ট পার্কটিকে বিশিষ্টতা দান করেছে এই বইয়ের জগৎ।
পাঠাগার পেটের খিদে মেটায় না, মনের খিদে মেটায়। পৃথিবীর সব দেশই পাঠাগারের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাই সেই প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষ পাঠাগারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। বর্তমানকালে যে পাঠাগারগুলো পৃথিবীবিখ্যাত, সে পাঠাগারগুলো এখনো জ্ঞানচাহিদা মিটিয়ে চলেছে। আমেরিকার ‘দ্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’, ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি’, ‘ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি’, চীনের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব চায়না’, কানাডার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব কানাডা’, যুক্তরাজ্যে ‘ব্রিটিশ লাইব্রেরি’, রাশিয়ার ‘স্টেট লাইব্রেরি’, ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ফ্রান্স’-এর সুনাম জগৎজোড়া। পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে বাংলাদেশের অনেক মানুষই সেসব পাঠাগারে পড়াশোনার সুযোগ পান।
পাঠাগার হলো জ্ঞানভান্ডার। বিভিন্ন গবেষণা এবং পেশাদারি কাজে পাঠাগারের শরণাপন্ন হতে হয় মানুষকে। হাতে স্মার্টফোন আর অন্তর্জালে গুগলের অবাধ রাজত্ব থাকলেও এখন পর্যন্ত লাইব্রেরির উপযোগিতা নষ্ট হয়নি—এটা পড়ুয়া মানুষের জন্য সুসংবাদ।
আমাদের দেশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি অনন্য আয়োজন হলো ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। এ ছাড়াও আমাদের রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি, ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকার বাইরে খুলনার উমেষচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি, রাজশাহীর বরেন্দ্র লাইব্রেরিসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরির কথাও বলতে হবে।
জ্ঞানের গভীরতা বাড়ানো এবং অর্জিত জ্ঞান যাচাই-বাছাই করে আরও সূক্ষ্ম ও সুচারু করে নেওয়ার জন্য পাঠাগারই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী একটি রেস্তোরাঁ, পাবলিক টয়লেট, ফাস্ট ফুড শপ করা যেত। বাণিজ্যিকভাবে তা হয়ে উঠতে পারত সফল। কিন্তু সেই টাকাপয়সার কারবারের দিকে না গিয়ে বইপত্রের প্রতি যাঁরা ভালোবাসা দেখালেন, তাঁদের সাধুবাদ জানানো যেতেই পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন ধরনের বই রাখা দরকার পাঠাগারে। সব ধরনের মনের খিদে মেটানোর চেষ্টা তো থাকতেই হবে, তবে বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটা পরামর্শ দিয়ে রাখতে চাই। আমাদের দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্য, লোকসাহিত্য, শিশুসাহিত্য নিয়ে বেশি বেশি বই থাকলে আত্মপরিচয়ের বিষয়টি বুঝতে পারবে মানুষ। বিশ্বপরিচয়ের জন্য থাকতে হবে অনূদিত বই। ধর্মীয় বই বললে সব ধর্মের বই-ই রাখা দরকার।
জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য পাবনার ভাঙ্গুড়ার এই দৃষ্টান্ত গ্রহণ করতে পারে দেশের সব কটি উপজেলা। তাতে ভবিষ্যৎ-নাগরিকেরা পথের দিশা পাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে