সৌগত বসু, ঢাকা ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা দেওয়ার আগ থেকেই গাজীপুরে আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও মেরুকরণ।
বিএনপি বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। গাজীপুরেও প্রার্থী না দিলে মেয়র পদে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই। এই পদে প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে তিনজনের। তাঁরা হলেন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
এ ক্ষেত্রে বিএনপি অবশ্য নির্ভার। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে একজনের নামই শোনা যাচ্ছে। তিনি দলটির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার। তবে দল নির্বাচনে না এলে তিনি প্রার্থী হবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। অবশ্য দলটির বেশ কয়েকজন নেতা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হবেন।
প্রায় সাড়ে ১১ লাখ ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই হিসাবে এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রথম সভার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
পদে ফিরতে সচেষ্ট জাহাঙ্গীর আলম
সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আবারও ওই পদে বসতে চান। তিনি নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমে হারান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ। ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। তবে গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে ক্ষমা করা হয়। এর পর থেকে তিনি মেয়র পদ ফিরে পেতে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানান স্থানীয় নেতারা।
মেয়র পদ ফিরে পেতে গত বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের করা রিটের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে ২৮ মার্চ। এদিকে তাঁকে পদ ফিরিয়ে দিতে ৬১ জন কাউন্সিলরের নামে ১২ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। অবশ্য আবেদনে স্বাক্ষর আছে এমন কয়েকজন কাউন্সিলরের দাবি, তাঁরা সই করেননি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি গাজীপুরের নির্বাচিত প্রতিনিধি। সে কারণে পদটি ফিরে পেতে চান। বলেন, ‘আমার যেটা আছে, আমি সেটাই আগে চাই। আমিও শুনেছি নির্বাচনের মাস ঘোষণার কথা। আগে আমার সাংবিধানিক সময় শেষ হোক, তারপর অন্য বিষয়।’ দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, দল চায় জনপ্রিয় কাউকে মনোনয়ন দেবে। আর সেই পথেই তিনি আছেন।
কিরনও মনোনয়ন চাইবেন
জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচনের পর বিএনপির মনোনীত মেয়র এম এ মান্নানের পদে তিনি ২৭ মাস ১০ দিন ‘ভারপ্রাপ্ত’ ছিলেন। মেয়র পদে তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
কিরন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইবেন। দল তাঁকে বিবেচনা না করলেও সেটি মেনে নেবেন। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দল হওয়ার সুযোগ নেই।
তৎপর অন্যরাও
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি বলেন, নগর ভবন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় সিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখানে একজন যোগ্য লোক প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিলে তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য হিসেবে যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, সবাই তাঁর পক্ষে কাজ করবেন।
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, আর কয়েক মাস পরেই নির্বাচন। এ সময়ের মধ্যে কারও পক্ষেই নগর উন্নয়নে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। তাঁরা নিজ নিজ পক্ষে তদবিরে ব্যস্ত থাকায় কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে।
ঝুঁকি নেবেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা সিটি নির্বাচন নিয়ে তুলনামূলক নির্ভাবনায় আছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের নাম। অনেক নেতা-কর্মী মনে করেন, তিনি কৌশলগতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
তবে এগুলোকে ‘গুঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে হাসান উদ্দিন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর এই বয়সে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত হবে না। তবে দল চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন।
বর্তমানে গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট কাউন্সিলর ৭৬ জন। এঁদের মধ্যে ১২ জন বিএনপি-সমর্থিত। তাঁদের কয়েকজন দল নির্বাচনে না এলেও প্রার্থী হওয়ার কথা জানান।
বিএনপির স্থানীয় নেতা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, দল না চাইলেও তিনি প্রার্থী হবেন। তাঁর জনপ্রিয়তাই তাঁকে আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে। তাই দল বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। টানা দুবার নির্বাচিত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম মনে করেন, সিটি স্থানীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় এখানে নির্বাচন দলের জন্য কোনো বড় বিষয় নয়।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন।
আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা দেওয়ার আগ থেকেই গাজীপুরে আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও মেরুকরণ।
বিএনপি বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। গাজীপুরেও প্রার্থী না দিলে মেয়র পদে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই। এই পদে প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে তিনজনের। তাঁরা হলেন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
এ ক্ষেত্রে বিএনপি অবশ্য নির্ভার। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে একজনের নামই শোনা যাচ্ছে। তিনি দলটির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার। তবে দল নির্বাচনে না এলে তিনি প্রার্থী হবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। অবশ্য দলটির বেশ কয়েকজন নেতা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হবেন।
প্রায় সাড়ে ১১ লাখ ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই হিসাবে এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রথম সভার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
পদে ফিরতে সচেষ্ট জাহাঙ্গীর আলম
সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আবারও ওই পদে বসতে চান। তিনি নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমে হারান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ। ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। তবে গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে ক্ষমা করা হয়। এর পর থেকে তিনি মেয়র পদ ফিরে পেতে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানান স্থানীয় নেতারা।
মেয়র পদ ফিরে পেতে গত বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের করা রিটের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে ২৮ মার্চ। এদিকে তাঁকে পদ ফিরিয়ে দিতে ৬১ জন কাউন্সিলরের নামে ১২ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। অবশ্য আবেদনে স্বাক্ষর আছে এমন কয়েকজন কাউন্সিলরের দাবি, তাঁরা সই করেননি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি গাজীপুরের নির্বাচিত প্রতিনিধি। সে কারণে পদটি ফিরে পেতে চান। বলেন, ‘আমার যেটা আছে, আমি সেটাই আগে চাই। আমিও শুনেছি নির্বাচনের মাস ঘোষণার কথা। আগে আমার সাংবিধানিক সময় শেষ হোক, তারপর অন্য বিষয়।’ দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, দল চায় জনপ্রিয় কাউকে মনোনয়ন দেবে। আর সেই পথেই তিনি আছেন।
কিরনও মনোনয়ন চাইবেন
জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচনের পর বিএনপির মনোনীত মেয়র এম এ মান্নানের পদে তিনি ২৭ মাস ১০ দিন ‘ভারপ্রাপ্ত’ ছিলেন। মেয়র পদে তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
কিরন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইবেন। দল তাঁকে বিবেচনা না করলেও সেটি মেনে নেবেন। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দল হওয়ার সুযোগ নেই।
তৎপর অন্যরাও
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি বলেন, নগর ভবন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় সিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখানে একজন যোগ্য লোক প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিলে তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য হিসেবে যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, সবাই তাঁর পক্ষে কাজ করবেন।
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, আর কয়েক মাস পরেই নির্বাচন। এ সময়ের মধ্যে কারও পক্ষেই নগর উন্নয়নে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। তাঁরা নিজ নিজ পক্ষে তদবিরে ব্যস্ত থাকায় কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে।
ঝুঁকি নেবেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা সিটি নির্বাচন নিয়ে তুলনামূলক নির্ভাবনায় আছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের নাম। অনেক নেতা-কর্মী মনে করেন, তিনি কৌশলগতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
তবে এগুলোকে ‘গুঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে হাসান উদ্দিন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর এই বয়সে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত হবে না। তবে দল চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন।
বর্তমানে গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট কাউন্সিলর ৭৬ জন। এঁদের মধ্যে ১২ জন বিএনপি-সমর্থিত। তাঁদের কয়েকজন দল নির্বাচনে না এলেও প্রার্থী হওয়ার কথা জানান।
বিএনপির স্থানীয় নেতা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, দল না চাইলেও তিনি প্রার্থী হবেন। তাঁর জনপ্রিয়তাই তাঁকে আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে। তাই দল বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। টানা দুবার নির্বাচিত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম মনে করেন, সিটি স্থানীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় এখানে নির্বাচন দলের জন্য কোনো বড় বিষয় নয়।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে