টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় আবার পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে এই ভাঙনে গত এক সপ্তাহে দুটি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীঘেঁষা উপজেলার আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা।
প্রতিবছরের মতো উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি গ্রাম ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সপ্তাহখানেক ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হোসেন মোল্লার ভিটেবাড়ি ভেঙে যায়। পরে তড়িঘড়ি করে ঘরটি ভেঙে অন্য স্থানে সরিয়ে রাখা হয়। মিঠু মোল্লার একটি ঘরের আংশিক পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ড বড় নওপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কখন পদ্মায় গিলে খায়, সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি এই বাড়িতে থাকি। আমার বাড়ির ভবন ভেঙে যাচ্ছে। সামনের বাড়িঘর সব পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। আমরা অহন কোথায় যামু।’
আরেক বাসিন্দা জামাল মিয়া বলেন, ‘৩ দশক ধরে দেখছি, প্রতিবছর গ্রামের পর গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’
ফাতেমা বেগম নামের গৃহিণী বলেন, ‘১৭ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে, তখন আশপাশে নদী দেখিনি। এখন নদীর প্রতিটি ঢেউ কানে বাজে। আমরা আতঙ্ক দিনরাত কাটাচ্ছি। রাতে ঘুমাতেও পারি না। মনে হয় এই বুঝি পদ্মায় খেয়ে ফেলবে। দ্রুত এ ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই।’
এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা ভাঙন এলাকায় আসেন। তিনি ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ডেকেছি। তাঁরা এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন। তাঁদের দ্রুত ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বলেছি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলব।’
এ ছাড়া গত বুধবার লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪৪৬ কোটি টাকার স্থানীয় বাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ প্রকল্পে লৌহজং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ৯ হাজার ১০০ মিটার নদীতীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ হবে। প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে ফাউন্ডেশন করা হচ্ছে। তারপর পাথর দিয়ে বাঁধ দেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় আবার পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে এই ভাঙনে গত এক সপ্তাহে দুটি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীঘেঁষা উপজেলার আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা।
প্রতিবছরের মতো উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি গ্রাম ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সপ্তাহখানেক ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হোসেন মোল্লার ভিটেবাড়ি ভেঙে যায়। পরে তড়িঘড়ি করে ঘরটি ভেঙে অন্য স্থানে সরিয়ে রাখা হয়। মিঠু মোল্লার একটি ঘরের আংশিক পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ড বড় নওপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কখন পদ্মায় গিলে খায়, সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি এই বাড়িতে থাকি। আমার বাড়ির ভবন ভেঙে যাচ্ছে। সামনের বাড়িঘর সব পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। আমরা অহন কোথায় যামু।’
আরেক বাসিন্দা জামাল মিয়া বলেন, ‘৩ দশক ধরে দেখছি, প্রতিবছর গ্রামের পর গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’
ফাতেমা বেগম নামের গৃহিণী বলেন, ‘১৭ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে, তখন আশপাশে নদী দেখিনি। এখন নদীর প্রতিটি ঢেউ কানে বাজে। আমরা আতঙ্ক দিনরাত কাটাচ্ছি। রাতে ঘুমাতেও পারি না। মনে হয় এই বুঝি পদ্মায় খেয়ে ফেলবে। দ্রুত এ ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই।’
এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা ভাঙন এলাকায় আসেন। তিনি ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ডেকেছি। তাঁরা এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন। তাঁদের দ্রুত ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বলেছি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলব।’
এ ছাড়া গত বুধবার লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪৪৬ কোটি টাকার স্থানীয় বাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ প্রকল্পে লৌহজং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ৯ হাজার ১০০ মিটার নদীতীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ হবে। প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে ফাউন্ডেশন করা হচ্ছে। তারপর পাথর দিয়ে বাঁধ দেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে