বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশেই শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা গঠনের ৩৮ বছর ধরে এভাবেই সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্তূপ হয়ে গেছে। এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে। এসব ময়লা গড়িয়ে পাশের সাঙ্গু নদীতে পড়ে পানিও দূষিত করছে।
বান্দরবান ‘ক’ (প্রথম) শ্রেণির পৌরসভা হলেও স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে পৌরসভার প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। পর্যটন এলাকা হওয়ায় শহরে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বর্তমান বান্দরবান পৌরসভায় ৭০ হাজার মানুষের বাস। সরকার ১৯৮৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বান্দরবান সদর উপজেলার বান্দরবান সদর ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে বান্দরবান পৌরসভা গঠন করে। পরে ২০০১ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ শ্রেণি থেকে সরাসরি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। প্রায় ৩৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত বান্দরবান পৌরসভা জাতীয় সংসদের ৩০০ নম্বর নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য বান্দরবান আসনের অংশ।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েছে ২১ বছর আগে। সব মিলিয়ে পৌরসভা গঠনের ৩৮ বছর পেরোলেও বান্দরবান পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করতে পারেনি। খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলার কারণে জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি প্রধান সড়কের পৌর এলাকার কালাঘাটা এলাকার মোড়ে সড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। এই সড়ক দিয়ে বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় যাওয়া ছাড়াও জেলা শহর থেকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাঘাটা, সদর ইউনিয়নের লেমুছড়ি, তুমপ্রুপাড়া এলাকার লোকজন চলাচল করে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন এখানে শহরের বিভিন্ন এলাকার ১২ ট্রাকের বেশি ময়লা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে এলাকার মানুষের চলাচলের চরম অসুবিধা হওয়ার পাশাপাশি সব আবর্জনা পাশের সাঙ্গু নদীতে গিয়ে মিশে পরিবেশ ও নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। সড়কের ওপরও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এলাকার বাসিন্দা স্বপন বড়ুয়া (৬২) বলেন, কালাঘাটা থেকে এই সড়ক দিয়ে তিনি প্রায় সময় হেঁটে যান। সড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। তিনি পৌরসভার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করার দাবি জানান।
গত শনিবার সরেজমিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে গেলে কলেজছাত্র অনিক, মাধুরী তঞ্চঙ্গ্যা, তাপস পাল, নুর হোসেন, কালাঘাটার আমির হোসেন, শামছুল আলম, কিরণ বড়ুয়াসহ কয়েকজন জানিয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে হেঁটে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। সড়কের পাশে, এমনকি ওপরেও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময়েও একটি স্থায়ী ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
বান্দরবান পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. মঞ্জুর আহমেদ জানান, ময়লা-আবর্জনা অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পড়ে সাঙ্গু নদীর পানি দূষিত হওয়া এবং জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িকভাবে-আবর্জনা সড়কের উত্তর পাশে ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হলে জনদুর্ভোগের অবসান হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভার বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়ার কাগজপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরে আছে, অনুমোদন পেলেই ২০২৩ সালের মধ্যে বর্জ্য রিসাইক্লিং স্টেশন তৈরির পর জনদুর্ভোগ থাকবে না।
বান্দরবান পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) তৌহিদুল আলম বলেন, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় অস্থায়ীভাবে কালাঘাটা এলাকায় সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনের জন্য কালাঘাটা এলাকায় পাঁচ একর জমি কেনা হয়েছে। তবে জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ দেরি হচ্ছে। শিগগিরই এর সুরাহা না হলে অন্যত্র স্থায়ী ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হবে।
বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালাঘাটায় পাঁচ একর জমি ঠিক করা হয়েছে, সেখানে অতি দ্রুত স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন হলে সমস্যা থাকবে না।
বান্দরবান পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশেই শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা গঠনের ৩৮ বছর ধরে এভাবেই সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্তূপ হয়ে গেছে। এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে। এসব ময়লা গড়িয়ে পাশের সাঙ্গু নদীতে পড়ে পানিও দূষিত করছে।
বান্দরবান ‘ক’ (প্রথম) শ্রেণির পৌরসভা হলেও স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে পৌরসভার প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। পর্যটন এলাকা হওয়ায় শহরে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বর্তমান বান্দরবান পৌরসভায় ৭০ হাজার মানুষের বাস। সরকার ১৯৮৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বান্দরবান সদর উপজেলার বান্দরবান সদর ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে বান্দরবান পৌরসভা গঠন করে। পরে ২০০১ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ শ্রেণি থেকে সরাসরি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। প্রায় ৩৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত বান্দরবান পৌরসভা জাতীয় সংসদের ৩০০ নম্বর নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য বান্দরবান আসনের অংশ।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েছে ২১ বছর আগে। সব মিলিয়ে পৌরসভা গঠনের ৩৮ বছর পেরোলেও বান্দরবান পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করতে পারেনি। খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলার কারণে জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি প্রধান সড়কের পৌর এলাকার কালাঘাটা এলাকার মোড়ে সড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। এই সড়ক দিয়ে বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় যাওয়া ছাড়াও জেলা শহর থেকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাঘাটা, সদর ইউনিয়নের লেমুছড়ি, তুমপ্রুপাড়া এলাকার লোকজন চলাচল করে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন এখানে শহরের বিভিন্ন এলাকার ১২ ট্রাকের বেশি ময়লা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে এলাকার মানুষের চলাচলের চরম অসুবিধা হওয়ার পাশাপাশি সব আবর্জনা পাশের সাঙ্গু নদীতে গিয়ে মিশে পরিবেশ ও নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। সড়কের ওপরও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এলাকার বাসিন্দা স্বপন বড়ুয়া (৬২) বলেন, কালাঘাটা থেকে এই সড়ক দিয়ে তিনি প্রায় সময় হেঁটে যান। সড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। তিনি পৌরসভার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করার দাবি জানান।
গত শনিবার সরেজমিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে গেলে কলেজছাত্র অনিক, মাধুরী তঞ্চঙ্গ্যা, তাপস পাল, নুর হোসেন, কালাঘাটার আমির হোসেন, শামছুল আলম, কিরণ বড়ুয়াসহ কয়েকজন জানিয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে হেঁটে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। সড়কের পাশে, এমনকি ওপরেও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময়েও একটি স্থায়ী ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
বান্দরবান পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. মঞ্জুর আহমেদ জানান, ময়লা-আবর্জনা অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পড়ে সাঙ্গু নদীর পানি দূষিত হওয়া এবং জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িকভাবে-আবর্জনা সড়কের উত্তর পাশে ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হলে জনদুর্ভোগের অবসান হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভার বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়ার কাগজপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরে আছে, অনুমোদন পেলেই ২০২৩ সালের মধ্যে বর্জ্য রিসাইক্লিং স্টেশন তৈরির পর জনদুর্ভোগ থাকবে না।
বান্দরবান পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) তৌহিদুল আলম বলেন, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় অস্থায়ীভাবে কালাঘাটা এলাকায় সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনের জন্য কালাঘাটা এলাকায় পাঁচ একর জমি কেনা হয়েছে। তবে জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ দেরি হচ্ছে। শিগগিরই এর সুরাহা না হলে অন্যত্র স্থায়ী ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হবে।
বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালাঘাটায় পাঁচ একর জমি ঠিক করা হয়েছে, সেখানে অতি দ্রুত স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন হলে সমস্যা থাকবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে