চৌগাছা প্রতিনিধি
যশোরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাহিদা না মেটাতে পেরে হাজারো শিক্ষার্থী এসএসসির ফরম পূরণ করতে পারেনি। তাদের কথা চিন্তা করে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঈদের পরে আবারও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসির ফরম পূরণ অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে অর্থ আদায়ের শ্রেষ্ঠ সময়। এসব প্রধান শিক্ষকদের কারণে দুশ্চিন্তায় থাকেন হাজার হাজার অভিভাবক। প্রধান শিক্ষকেরা সারা বছরের পাওনা ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন এ সময়। চৌগাছার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
তাঁরা এ সময় বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি, সারা বছরের বেতনসহ নানা খাতে কয়েক হাজার টাকার ফর্দ ধরিয়ে দেন পরীক্ষার্থীদের হাতে। এক সঙ্গে এত বেশি টাকা দিতে পারেন না অনেক অভিভাবক। আর এই কারণে ফরম পূরণে গড়িমসি করেন প্রধান শিক্ষকেরা। একপর্যায়ে ফরম পূরণের সময় চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ফরম পূরণ করা হয় না অনেক পরীক্ষার্থীর। প্রতি বছরের চিত্র এটি। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫ এপ্রিল ফরম পূরণের সময় শেষ হলেও যশোর শিক্ষা বোর্ডে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পরীক্ষার্থী ফরম পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফরম পূরণ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছে এসব পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের জুলুমে বিরক্ত-ক্ষুব্ধ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগের অনেক কর্মকর্তা। তাঁরা শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখে ফরমপূরণ করতে পারেনি তাদের জন্য ঈদের পর আরেকটি সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেয় যশোর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড নির্ধারিত ফি অনুযায়ী ফরম পূরণ বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬১৫, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৯৫ ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৯৫ টাকা নেওয়ার নির্দেশনা ছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ১৭৫ ও কেন্দ্র ফি ৪৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ ও কেন্দ্র ফি ৪১০ এবং মানবিক বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ ও কেন্দ্র ফি ৪১০ টাকা। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণির ২৪ মাসের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়ার অনুমতি দেয় শিক্ষা বোর্ড। আর এটিই কাজে লাগান অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার ফরমপূরণ করতে পারেনি এমন অনেক পরীক্ষার্থী তাঁকে ফোন করে প্রধান শিক্ষকদের জুলুমের কথা জানিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের ফরমপূরণ করেননি। এ বছর নির্বাচনী পরীক্ষার পরিবর্তে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যা শুরু হবে আগামী ১৯ মে থেকে। এই অবস্থায় ফরমপূরণে ব্যর্থ পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় সময় পার হচ্ছে। যদিও আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ফরমপূরণের জন্য দ্বিতীয় দফায় সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদের পর এই সময় জানানো হবে। ওইসময় বিলম্ব ফি ১ শ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে ফরমপূরণ করা যাবে।’
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে সেটি শিক্ষক সুলভ আচরণ না। এটি গর্হিত অপরাধ। তাঁর সংগঠনের কোনো সদস্য স্কুলও যদি এমন আচরণ করে থাকে, তিনি তারও বিরুদ্ধে। কোভিডকালীন শিক্ষাবোর্ড যে ফি নির্ধারণ করেছে তাঁর সঙ্গে জরুরি ফির বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেওয়া সমীচীন না।’
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকদের গড়িমসির কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ফরমপূরণ করতে পারেনি। তাঁদের কথা চিন্তা করে ঈদের পর আরেকবার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।’
যশোরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাহিদা না মেটাতে পেরে হাজারো শিক্ষার্থী এসএসসির ফরম পূরণ করতে পারেনি। তাদের কথা চিন্তা করে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঈদের পরে আবারও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসির ফরম পূরণ অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে অর্থ আদায়ের শ্রেষ্ঠ সময়। এসব প্রধান শিক্ষকদের কারণে দুশ্চিন্তায় থাকেন হাজার হাজার অভিভাবক। প্রধান শিক্ষকেরা সারা বছরের পাওনা ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন এ সময়। চৌগাছার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
তাঁরা এ সময় বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি, সারা বছরের বেতনসহ নানা খাতে কয়েক হাজার টাকার ফর্দ ধরিয়ে দেন পরীক্ষার্থীদের হাতে। এক সঙ্গে এত বেশি টাকা দিতে পারেন না অনেক অভিভাবক। আর এই কারণে ফরম পূরণে গড়িমসি করেন প্রধান শিক্ষকেরা। একপর্যায়ে ফরম পূরণের সময় চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ফরম পূরণ করা হয় না অনেক পরীক্ষার্থীর। প্রতি বছরের চিত্র এটি। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫ এপ্রিল ফরম পূরণের সময় শেষ হলেও যশোর শিক্ষা বোর্ডে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পরীক্ষার্থী ফরম পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফরম পূরণ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছে এসব পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের জুলুমে বিরক্ত-ক্ষুব্ধ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগের অনেক কর্মকর্তা। তাঁরা শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখে ফরমপূরণ করতে পারেনি তাদের জন্য ঈদের পর আরেকটি সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেয় যশোর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড নির্ধারিত ফি অনুযায়ী ফরম পূরণ বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬১৫, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৯৫ ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৯৫ টাকা নেওয়ার নির্দেশনা ছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ১৭৫ ও কেন্দ্র ফি ৪৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ ও কেন্দ্র ফি ৪১০ এবং মানবিক বিভাগে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ ও কেন্দ্র ফি ৪১০ টাকা। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণির ২৪ মাসের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়ার অনুমতি দেয় শিক্ষা বোর্ড। আর এটিই কাজে লাগান অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার ফরমপূরণ করতে পারেনি এমন অনেক পরীক্ষার্থী তাঁকে ফোন করে প্রধান শিক্ষকদের জুলুমের কথা জানিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের ফরমপূরণ করেননি। এ বছর নির্বাচনী পরীক্ষার পরিবর্তে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যা শুরু হবে আগামী ১৯ মে থেকে। এই অবস্থায় ফরমপূরণে ব্যর্থ পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় সময় পার হচ্ছে। যদিও আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ফরমপূরণের জন্য দ্বিতীয় দফায় সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদের পর এই সময় জানানো হবে। ওইসময় বিলম্ব ফি ১ শ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে ফরমপূরণ করা যাবে।’
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে সেটি শিক্ষক সুলভ আচরণ না। এটি গর্হিত অপরাধ। তাঁর সংগঠনের কোনো সদস্য স্কুলও যদি এমন আচরণ করে থাকে, তিনি তারও বিরুদ্ধে। কোভিডকালীন শিক্ষাবোর্ড যে ফি নির্ধারণ করেছে তাঁর সঙ্গে জরুরি ফির বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেওয়া সমীচীন না।’
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকদের গড়িমসির কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ফরমপূরণ করতে পারেনি। তাঁদের কথা চিন্তা করে ঈদের পর আরেকবার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে