কয়রা ও তেরখাদা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারা দেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা ও তেরখাদায়ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর প্রভাবে গত দুই দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার থেকে এ বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। গতকাল রোববারও একই অবস্থা বিরাজ করেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি উপকূলে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলায় ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাতটি ইউনিয়নের এক হাজার ২৬০ জন সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। সাতটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকে তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতটি ইউনিয়নে সিপিপি ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তেরখাদা উপজেলায় গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়ে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় গতকাল রোববার একই অবস্থা বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে রয়েছে স্থানীয় দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে আগামী দুই-এক দিন দেশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করতে পারে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনার অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
এদিকে ‘জাওয়াদ’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তেরখাদায় গত দুদিনে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। কখনো আকাশ মেঘলা আবার কখনো গুমোট থাকায় মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও ঝড়ের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় শীত ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতাও। তাই জরুরি সভা করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাব থেকে মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার কাটেংগা এলাকার সাজ্জাদুল, রবিউল মোল্লা, কালাম সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া রোববার পর্যন্ত অবিরাম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাদের রোজগার একেবারেই কমে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন তারা। আর চলমান গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সারা দিনে ২৫০ টাকাও আয় করতে পারেননি বলেও জানান তারা।
উপজেলার ইখড়ি এলাকার ইজিবাইক চালক হানিফ জানান, গতকাল তিনি সারা দিনে ১৫০ টাকাও রোজগার করতে পারেননি। গতকাল রোববার সকাল থেকে ১০০ টাকা আয় হয়েছে তার। আরও দু তিন দিন এমন বৈরী আবহাওয়া চলতে থাকলে সপরিবারে না খেয়ে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারালেও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় এর প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে দিনভর ও রোববার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে শনিবার সকাল থেকে সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বৈরী আবহাওয়া ও দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারা দেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা ও তেরখাদায়ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর প্রভাবে গত দুই দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার থেকে এ বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। গতকাল রোববারও একই অবস্থা বিরাজ করেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি উপকূলে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলায় ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাতটি ইউনিয়নের এক হাজার ২৬০ জন সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। সাতটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকে তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতটি ইউনিয়নে সিপিপি ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তেরখাদা উপজেলায় গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়ে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় গতকাল রোববার একই অবস্থা বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে রয়েছে স্থানীয় দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাবে আগামী দুই-এক দিন দেশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করতে পারে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনার অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
এদিকে ‘জাওয়াদ’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তেরখাদায় গত দুদিনে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। কখনো আকাশ মেঘলা আবার কখনো গুমোট থাকায় মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও ঝড়ের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় শীত ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতাও। তাই জরুরি সভা করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাব থেকে মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার কাটেংগা এলাকার সাজ্জাদুল, রবিউল মোল্লা, কালাম সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া রোববার পর্যন্ত অবিরাম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাদের রোজগার একেবারেই কমে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন তারা। আর চলমান গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সারা দিনে ২৫০ টাকাও আয় করতে পারেননি বলেও জানান তারা।
উপজেলার ইখড়ি এলাকার ইজিবাইক চালক হানিফ জানান, গতকাল তিনি সারা দিনে ১৫০ টাকাও রোজগার করতে পারেননি। গতকাল রোববার সকাল থেকে ১০০ টাকা আয় হয়েছে তার। আরও দু তিন দিন এমন বৈরী আবহাওয়া চলতে থাকলে সপরিবারে না খেয়ে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারালেও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় এর প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে দিনভর ও রোববার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে শনিবার সকাল থেকে সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বৈরী আবহাওয়া ও দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে