অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সড়কের দুই পাশের জমি অধিগ্রহণ চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে কয়েক শ জমির মালিক অবকাঠামো বা জমির মূল্য ও ক্ষতিপূরণের টাকার চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে তাঁরা নানা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে কয়েকজন লোক তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র বলেছে, ১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল থেকে দেলদুয়ার, লাউহাটি, সাটুরিয়া ও কাওয়ালীপাড়া হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে। টাঙ্গাইল অংশে জমি অধিগ্রহণ শেষে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ অংশের অধিগ্রহণ শুরু হবে।
জমির মালিকদের মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের পাঁচতারাইল গ্রামের প্রতিবন্ধী নবুল্লা ও তাঁর ভাই রহমত আলী অভিযোগ করেছেন, অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণের টাকা তুলতে গিয়ে তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এক ব্যক্তি নিজেকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে তাদের কাছে থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নবুল্লার মেঝে পাকা চারচালার দুটি টিনের ঘর ও সীমানাপ্রাচীরের মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ টাকা এবং রহমত আলীর একটি চারচালা টিনের ঘরের মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে চেক গ্রহণের জন্য গত জুলাই মাসে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চিঠি দেওয়া হয়। উৎসে কর ও নিলাম কর কেটে রেখে ওই পরিমাণ টাকা পরিশোধের চিঠি পান তাঁরা। চিঠি পাওয়ার পর দুই ভাই চেকের জন্য একাধিকবার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই নানা অজুহাতে চেক না দিয়ে তাঁদের বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, একপর্যায়ে জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই দুই ভাইয়ের পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে অধিগ্রহণ শাখার কর্মচারী পরিচয় দিয়ে তাঁদের দ্রুত চেক সংগ্রহ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ জন্য ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে কিছু টাকা দাবি করেন। তবে টাকার কোনো পরিমাণ উল্লেখ করেননি। নবুল্লা ও রহমত হয়রানি এড়াতে জহিরুলের কথায় রাজি হন। নবুল্লা বলেন, ‘জহিরুল প্রিমিয়ার ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখায় আমাগো দুই ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট খুইলা দেয়। টাকা জমা অওয়ার পর হ্যা আমাগো অ্যাকাউন্ট থিকা ইচ্ছামতো টাকা তুইলা নিয়া যায়। আমাগো কিচুই জানায় নাই।’
নবুল্লার ভাই রহমত আলী বলেন, ‘জহিরুলের লগে কতা অওয়ার পর অ্যাকাউন্ট খুইলা দেয়। এরপর ভ্যাটের কতা কইয়া সে চেক বইয়ের দুইডা পাতা ছিঁড়া আমাগো সই নেয়। তারে ডিসি অফিসের স্টাফ মনে কইরা চেক দিচিলাম। পরে জানবার পারছি ওই চেক দিয়া সে আমাগো প্রায় সব টাকাই তুইলা নিয়া গেচে।’
নবুল্লা ও রহমতের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখা থেকে লেনদেনের প্রতিবেদন তুলে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১ আগস্ট নবুল্লার ব্যাংক হিসাবে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৭ টাকা জমা হয়। ওই দিনই একটি চেকের মাধ্যমে একই ব্যাংকের আরেকটি হিসাব নম্বরে ১১ লাখ টাকা স্থানান্তর হয়। একইভাবে গত ২৬ জুলাই রহমত আলীর ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬২ টাকা। ২৭ জুলাই চেকের মাধ্যমে আরেক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করা হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, যে হিসাব নম্বরে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, সেটি জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের পাকুল্লার গাইরাবেতিল গ্রামের বাসিন্দা। জহিরুলই ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের হিসাব নম্বর থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন।এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন নাগরপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সাগর হোসেনও। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও যখন চেক পাচ্ছিলাম না, তখন ডিসি অফিসে উজ্জ্বল নামের এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি দ্রুত চেক সংগ্রহ করে দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন। এ জন্য প্রাপ্ত টাকার ওপরে তাঁকে ৮ পার্সেন্ট ভ্যাট দিতে হবে। এটা নাকি সরকারি নিয়ম। আমরা রাজি হলে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। চেক হস্তান্তরের সময়ই তিনি আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক নেন।’
সাগরের প্রতিবেশী ফরহাদ মিয়া বলেন, তিনি অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৩৬ টাকার চেক পেয়েছিলেন। অফিস খরচ ও ভ্যাটের কথা বলে উজ্জ্বল তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক নিয়েছেন।
কান্দাপাড়া গ্রামের সাঈদুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় জহিরুল, উজ্জ্বলসহ আরও অনেক দালাল আছে। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে কার্যালয়ের ভেতরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তিনিও তাঁর বাবার নামে দেওয়া ২১ লাখ ৩২ হাজার টাকার চেক তুলতে উজ্জ্বলকে ৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন বলে জানান।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যান এ প্রতিবেদক। তবে সেখানে উজ্জ্বল ও জহিরুল নামের কাউকে পাওয়া যায়নি। অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বে থাকা নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, উজ্জ্বল ও জহিরুল নামে অধিগ্রহণ শাখায় কেউ নেই। তা ছাড়া এই শাখায় দালাল ঢোকারও কোনো সুযোগ নেই। কেউ প্রতারিত হয়ে থাকলে তাঁকে প্রচলিত আইনে মামলা করতে হবে। অধিগ্রহণ শাখায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পেতে পারেন।
ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সড়কের দুই পাশের জমি অধিগ্রহণ চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে কয়েক শ জমির মালিক অবকাঠামো বা জমির মূল্য ও ক্ষতিপূরণের টাকার চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে তাঁরা নানা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে কয়েকজন লোক তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র বলেছে, ১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল থেকে দেলদুয়ার, লাউহাটি, সাটুরিয়া ও কাওয়ালীপাড়া হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে। টাঙ্গাইল অংশে জমি অধিগ্রহণ শেষে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ অংশের অধিগ্রহণ শুরু হবে।
জমির মালিকদের মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের পাঁচতারাইল গ্রামের প্রতিবন্ধী নবুল্লা ও তাঁর ভাই রহমত আলী অভিযোগ করেছেন, অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণের টাকা তুলতে গিয়ে তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এক ব্যক্তি নিজেকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে তাদের কাছে থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নবুল্লার মেঝে পাকা চারচালার দুটি টিনের ঘর ও সীমানাপ্রাচীরের মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ টাকা এবং রহমত আলীর একটি চারচালা টিনের ঘরের মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে চেক গ্রহণের জন্য গত জুলাই মাসে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চিঠি দেওয়া হয়। উৎসে কর ও নিলাম কর কেটে রেখে ওই পরিমাণ টাকা পরিশোধের চিঠি পান তাঁরা। চিঠি পাওয়ার পর দুই ভাই চেকের জন্য একাধিকবার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই নানা অজুহাতে চেক না দিয়ে তাঁদের বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, একপর্যায়ে জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই দুই ভাইয়ের পরিচয় হয়। তিনি নিজেকে অধিগ্রহণ শাখার কর্মচারী পরিচয় দিয়ে তাঁদের দ্রুত চেক সংগ্রহ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ জন্য ভ্যাট ও পারিশ্রমিকের কথা বলে কিছু টাকা দাবি করেন। তবে টাকার কোনো পরিমাণ উল্লেখ করেননি। নবুল্লা ও রহমত হয়রানি এড়াতে জহিরুলের কথায় রাজি হন। নবুল্লা বলেন, ‘জহিরুল প্রিমিয়ার ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখায় আমাগো দুই ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট খুইলা দেয়। টাকা জমা অওয়ার পর হ্যা আমাগো অ্যাকাউন্ট থিকা ইচ্ছামতো টাকা তুইলা নিয়া যায়। আমাগো কিচুই জানায় নাই।’
নবুল্লার ভাই রহমত আলী বলেন, ‘জহিরুলের লগে কতা অওয়ার পর অ্যাকাউন্ট খুইলা দেয়। এরপর ভ্যাটের কতা কইয়া সে চেক বইয়ের দুইডা পাতা ছিঁড়া আমাগো সই নেয়। তারে ডিসি অফিসের স্টাফ মনে কইরা চেক দিচিলাম। পরে জানবার পারছি ওই চেক দিয়া সে আমাগো প্রায় সব টাকাই তুইলা নিয়া গেচে।’
নবুল্লা ও রহমতের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখা থেকে লেনদেনের প্রতিবেদন তুলে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১ আগস্ট নবুল্লার ব্যাংক হিসাবে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৭ টাকা জমা হয়। ওই দিনই একটি চেকের মাধ্যমে একই ব্যাংকের আরেকটি হিসাব নম্বরে ১১ লাখ টাকা স্থানান্তর হয়। একইভাবে গত ২৬ জুলাই রহমত আলীর ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬২ টাকা। ২৭ জুলাই চেকের মাধ্যমে আরেক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করা হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, যে হিসাব নম্বরে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, সেটি জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের পাকুল্লার গাইরাবেতিল গ্রামের বাসিন্দা। জহিরুলই ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের হিসাব নম্বর থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন।এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন নাগরপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সাগর হোসেনও। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও যখন চেক পাচ্ছিলাম না, তখন ডিসি অফিসে উজ্জ্বল নামের এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি দ্রুত চেক সংগ্রহ করে দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন। এ জন্য প্রাপ্ত টাকার ওপরে তাঁকে ৮ পার্সেন্ট ভ্যাট দিতে হবে। এটা নাকি সরকারি নিয়ম। আমরা রাজি হলে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। চেক হস্তান্তরের সময়ই তিনি আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক নেন।’
সাগরের প্রতিবেশী ফরহাদ মিয়া বলেন, তিনি অবকাঠামোর মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৩৬ টাকার চেক পেয়েছিলেন। অফিস খরচ ও ভ্যাটের কথা বলে উজ্জ্বল তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক নিয়েছেন।
কান্দাপাড়া গ্রামের সাঈদুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় জহিরুল, উজ্জ্বলসহ আরও অনেক দালাল আছে। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে কার্যালয়ের ভেতরের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তিনিও তাঁর বাবার নামে দেওয়া ২১ লাখ ৩২ হাজার টাকার চেক তুলতে উজ্জ্বলকে ৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন বলে জানান।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যান এ প্রতিবেদক। তবে সেখানে উজ্জ্বল ও জহিরুল নামের কাউকে পাওয়া যায়নি। অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বে থাকা নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, উজ্জ্বল ও জহিরুল নামে অধিগ্রহণ শাখায় কেউ নেই। তা ছাড়া এই শাখায় দালাল ঢোকারও কোনো সুযোগ নেই। কেউ প্রতারিত হয়ে থাকলে তাঁকে প্রচলিত আইনে মামলা করতে হবে। অধিগ্রহণ শাখায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পেতে পারেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে