জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুর শহরের প্রধান সড়কে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের কাজ চার বছরও শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। প্রকল্পের মেয়াদের সাড়ে তিন গুণ সময় পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে দুর্ভোগে শহরবাসীকে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
যানজট নিরসনের জন্য নির্মীয়মাণ ওভারপাসের কাজের কারণে যানজট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তা ছাড়া দিনের পর দিন কাজ জিইয়ে রাখায় দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ কারণে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে তা নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার পেছনে ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাকে দায়ী করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকাকে যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ ও রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে সওজ বিভাগ। ৭৮০ মিটার ওভারপাসসহ দুই পাশে পাকা সড়ক নির্মাণে ২০০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। তমা কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জামিল ইকবাল ও মেসার্স মইন উদ্দিন বাঁশি যৌথভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদের সাড়ে তিন গুণ সময় পার হলেও তা শেষ হয়নি।
এর আগে ভূমি জটিলতায় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের অর্থ বেড়েছে দ্বিগুণ। সর্বশেষ প্রকল্পটি দাঁড়িয়েছে ৪২৩ কোটি টাকায়। তাতেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কাটেনি। আবারও ভূমি অধিগ্রহণে টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এদিকে দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ায় শহরবাসী পড়েছেন দুর্ভোগে। বিশেষ করে ওভারপাসের দুই পাশের দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। তাঁরা জানান, চার বছর ধরে কষ্টে আছেন। দোকানে কোনো ক্রেতা আসতে পারছে না। কর্মচারী রেখে মাসের পর মাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা।
ওষুধ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটি এখন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কোনো বেচাকেনা নেই। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কোনো মানুষ আসতে পারছে না। কীভাবে জীবন চলছে এটা শুধু আমিই জানি। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা-ও জানি না।’
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী খলিল বলেন, ‘কোনো বেচাকেনা নাই। কোনো কাস্টমার আসতে পারে না। দোকানের পরিচিতরাও অন্যখানে চলে গেছে। কারণ মালামাল কিনে নেওয়ার অবস্থা নেই। মালামাল নিতে ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা লাগে। পরিবার নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। শহরের রেলগেট এলাকা যানজটমুক্ত করে জনগণের ভোগান্তি কমাতে কাজ শুরু করেছে। এই কাজ চার বছরেও শেষ করতে পারছে না।’
স্কুলছাত্রী সানজিদা বলে, ‘আমরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। আর নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হয়।’
জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদাম হোসেন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতায় কাজটি সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে আরও অর্থ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থ পাওয়া গেলে ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে আশা করছি।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের পরিচালক শরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘এখনো ভূমি বুঝে পাইনি। শুধু ওভারপাসের মূল কাজই নয়, বরং এখানে বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন সরানোও শুরু করতে পারিনি। তারপরও কাজের ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। ১৪টি পিলার সম্পূর্ণ করা হয়েছে। গার্ডারের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ। ভূমি জটিলতা শেষ হলে আগামী বছরের জুন নাগাদ কাজ শেষ করতে পারব।’
জামালপুর শহরের প্রধান সড়কে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের কাজ চার বছরও শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। প্রকল্পের মেয়াদের সাড়ে তিন গুণ সময় পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে দুর্ভোগে শহরবাসীকে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
যানজট নিরসনের জন্য নির্মীয়মাণ ওভারপাসের কাজের কারণে যানজট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তা ছাড়া দিনের পর দিন কাজ জিইয়ে রাখায় দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ কারণে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে তা নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার পেছনে ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাকে দায়ী করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকাকে যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ ও রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে সওজ বিভাগ। ৭৮০ মিটার ওভারপাসসহ দুই পাশে পাকা সড়ক নির্মাণে ২০০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। তমা কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জামিল ইকবাল ও মেসার্স মইন উদ্দিন বাঁশি যৌথভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদের সাড়ে তিন গুণ সময় পার হলেও তা শেষ হয়নি।
এর আগে ভূমি জটিলতায় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের অর্থ বেড়েছে দ্বিগুণ। সর্বশেষ প্রকল্পটি দাঁড়িয়েছে ৪২৩ কোটি টাকায়। তাতেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কাটেনি। আবারও ভূমি অধিগ্রহণে টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এদিকে দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ায় শহরবাসী পড়েছেন দুর্ভোগে। বিশেষ করে ওভারপাসের দুই পাশের দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। তাঁরা জানান, চার বছর ধরে কষ্টে আছেন। দোকানে কোনো ক্রেতা আসতে পারছে না। কর্মচারী রেখে মাসের পর মাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা।
ওষুধ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটি এখন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কোনো বেচাকেনা নেই। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কোনো মানুষ আসতে পারছে না। কীভাবে জীবন চলছে এটা শুধু আমিই জানি। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা-ও জানি না।’
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী খলিল বলেন, ‘কোনো বেচাকেনা নাই। কোনো কাস্টমার আসতে পারে না। দোকানের পরিচিতরাও অন্যখানে চলে গেছে। কারণ মালামাল কিনে নেওয়ার অবস্থা নেই। মালামাল নিতে ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা লাগে। পরিবার নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। শহরের রেলগেট এলাকা যানজটমুক্ত করে জনগণের ভোগান্তি কমাতে কাজ শুরু করেছে। এই কাজ চার বছরেও শেষ করতে পারছে না।’
স্কুলছাত্রী সানজিদা বলে, ‘আমরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। আর নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হয়।’
জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদাম হোসেন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতায় কাজটি সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে আরও অর্থ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থ পাওয়া গেলে ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে আশা করছি।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের পরিচালক শরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘এখনো ভূমি বুঝে পাইনি। শুধু ওভারপাসের মূল কাজই নয়, বরং এখানে বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন সরানোও শুরু করতে পারিনি। তারপরও কাজের ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। ১৪টি পিলার সম্পূর্ণ করা হয়েছে। গার্ডারের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ। ভূমি জটিলতা শেষ হলে আগামী বছরের জুন নাগাদ কাজ শেষ করতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে