শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
পরনে লালপেড়ে শাড়ি। হাতে শাঁখা। কপালে সিঁদুর। ডান হাতে একখানি ত্রিশূল। কটমট করে তাকাচ্ছেন চারদিকে। ঝাঁকড়া চুলের এক তরুণের এমন বেশভূষা দেখে বিস্মিত নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক নবকৃষ্ণ বিশ্বাস। ছেলেরা বলল, ‘যাবেন না, যাবেন না। খেপে আছে। কাছে গেলে একেবারে ত্রিশূল নিয়ে তেড়ে আসে।’ ভয়ে চলে আসেন নবকৃষ্ণ। পরে তাঁদের বন্ধুত্ব হয়, কথা হয় নানা বিষয় নিয়ে। নবকৃষ্ণ তাঁকে নিয়ে আস্ত একটি বইও লেখেন—‘এস. এম. সুলতান: অন্তরঙ্গ জীবনকথা’।
পাঠক, বইয়ের শিরোনাম দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কার কথা বলা হচ্ছে। নড়াইলের সেই ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো তরুণের নাম এস এম সুলতান। সংসারবিবাগী, একজন প্রকৃতিজাত মানুষ বিখ্যাত শিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট জন্মেছিলেন তিনি। আজ সুলতানের জন্মশতবর্ষ।
পঞ্চাশের দশকের শেষের কথা। তত দিনে পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন সুলতান। সবকিছু নিংড়ে যখন নিজের শৈশব লালমিয়াকে খুঁজতে এলেন নড়াইলে, তাঁকে থাকতে দেওয়া হলো নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের লনে। কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক শরীফ হোসেনের আশ্রয়ে।
কিন্তু সুলতান কি তাঁর শৈশবে ফিরে যেতে পেরেছিলেন? যে সুলতান বাঙালি জাতিসত্তাকে টেনে তুলেছিলেন তাঁর ক্যানভাসে। তাঁর কি অতীত আছে? নাকি আহমদ ছফার মতো বলতে হয়, ‘সুলতান বলতে যশোরের গণ্ডগ্রামনিবাসী, মুসলমান চাষী এবং নমশূদ্র জীবনের একান্ত শরিক এই মানুষটিকেই চরম ও পরমভাবে মেনে নিতে হবে। তাঁর জীবনের যেন কোন সূচনা নেই, শৈশব নেই, কৈশোর নেই, হঠাৎ করে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভেতর থেকে একরাশ কাঁচাপাকা বাররি চুল দুলিয়ে জেগে উঠেছেন।’
এর কারণ আছে বৈকি। ১৯২৩ সালে কৃষক-রাজমিস্ত্রি বাবার ঘরে যে লালমিয়ার জন্ম, তাঁর ছোটবেলা থেকেই ঘর পালানোর শখ। নড়াইল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে শিল্প-সমালোচক শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর ছায়ায় ভর্তি হয়েছিলেন আর্ট কলেজে। সেখান থেকেও পালালেন। উদ্দেশ্য—ভারত ভ্রমণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। গোরা সৈন্যদের ছবি আঁকছেন। পাঁচ টাকা, দশ টাকা পাচ্ছেন। আর ভারতের শহর থেকে শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভয় নেই, ভাবনা নেই, দায়িত্ব নেই। কেবল সুদূরের পানে ছুটে চলা। দেশভাগের পরে পাকিস্তানের লাহোরে গেলেন। ছবির প্রদর্শনী হলো। খ্যাতিও পেলেন। ঘুরলেন আমেরিকা-ইউরোপ। কেতাদুরস্ত হতে চাইলে, সমসাময়িক শিল্পীদের মতো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাতে পারতেন। কালের স্রোতে ভাসিয়ে দিতে পারতেন নিজেকে। কিন্তু এখান থেকেও পালালেন সুলতান। ফিরে এলেন নড়াইলে। সেই লালমিয়ার কাছে!
এবারের সুলতান আর সেই সুলতান নেই। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা নিংড়ে এক নতুন জীবনের ঘ্রাণ সুলতানের কাছে। যাকে বলা যায় সন্তুর জীবন। মানুষ হিসেবে তিনি মিশে গেছেন প্রকৃতির সঙ্গে। তত দিনে ঢাকা আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সুলতানের তথাকথিত একাডেমিক শিক্ষা নেই। তাই এখানে তাঁর জায়গা হলো না। তিনি নড়াইলেই ফিরে গেলেন। গ্রহণ করলেন নতুন জীবনধারা—বৈষ্ণব সহজিয়া জীবন।
নবকৃষ্ণ তাঁর ‘এস. এম. সুলতান: অন্তরঙ্গ জীবনকথা’ বইয়ে এভাবে স্মরণ করেন। ‘পরনে একটি পাজামা আর ঢিলে পাঞ্জাবী, হাতে একটি বাঁশি, শিল্পী ডুব দিলেন গ্রামের সহস্র মানুষের ভিড়ে। আজ এ গ্রামে, কাল অন্য এক গ্রামে।’
নিম্নবর্ণের মানুষ গুণীর আদর করেন। গোঁসাই, শিল্পী, গায়কেরা তাঁদের কাছে পরম আদরের। সুলতানও হয়ে উঠলেন তেমনই। সুলতানের জীবন হয়ে উঠল নিম্নবর্ণের মানুষের জীবনঘেঁষা। নড়াইলের কৃষকসমাজ হয়ে উঠল তাঁর পরম আদরের। জঙ্গলে ঘেঁষা পুরোনো দালানে তাঁর বাস। সঙ্গে হনুমান, বিড়াল, নেড়ি কুকুর, একপাল মুরগি। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে তিনিও হয়ে গিয়েছিলেন প্রকৃতিরই সন্তান। কেতাদুরস্ত সেই আর্টিস্ট এস এম সুলতান বনে গেলেন সহজিয়া গোঁসাই। যেন লালনের বাউলজীবন। যিনি এক পাতেই খেতেন নেড়ি কুকুরের সঙ্গে। এতটুকু ঘৃণা ছিল না তাঁর মনে।
নির্মাতা তারেক মাসুদ তাঁকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছিলেন ‘আদম সুরত’ নামে। সেখানে দেখা যায়, ঢাউস ক্যানভাসে আঁকছেন সুলতান। ক্যানভাসের ওপরেই হাঁটছে বিড়াল। যেন তাঁর পরম বন্ধু। এই সহজিয়া জীবনের প্রভাবই পড়েছে তাঁর ক্যানভাসে। মাটির মানুষকে টেনে তুলেছেন সেখানে।
পঞ্চাশের দশকের পরের এই প্রকৃতিঘেরা জীবনের প্রভাবই সুলতানের ছবিতে দেদীপ্যমান। ছফা বলেন, ‘তার ছবি সম্পর্কেও একই কথা। এ ছবিগুলোও অতীতের একেবারে কোলঘেঁষা অন্ধকার ভেদ করে দলে দলে জগৎ-সংসারের কাছে এই মানুষ, এই সভ্যতা, এই সমাজ, এই ইতিহাস এবং এই ঐতিহাসিক সংগ্রামের বার্তা প্রেরণ করবার জন্য যেন আচমকা কার মন্ত্রমুগ্ধ আহ্বানে ছুটে এসেছে।’
সুলতানের ক্যানভাসে উঠে এল নড়াইলের কৃষক মানে বাংলার কৃষকেরা। তবে এই কৃষককে আগে দেখেনি কেউ। তাদের মাংসল পেশি। মাটি খনন করে ফলায় সভ্যতা। দীনহীন কৃষক তারা নয়।
সুলতানের কৃষক শুধু বাংলার নয়, সারা বিশ্বের সভ্যতা সৃষ্টিকারী আদম হয়ে ওঠে। সুলতান হয়ে ওঠেন তাদের পিতা। এই জন্মশতবর্ষের ক্ষণে ঘরসংসার পালানো এই শিল্পীকে তাঁর চিত্রসন্তানদের নিয়ে বলা ছাড়া আর কী দিয়েই-বা স্মরণ করা যায়!
পরনে লালপেড়ে শাড়ি। হাতে শাঁখা। কপালে সিঁদুর। ডান হাতে একখানি ত্রিশূল। কটমট করে তাকাচ্ছেন চারদিকে। ঝাঁকড়া চুলের এক তরুণের এমন বেশভূষা দেখে বিস্মিত নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক নবকৃষ্ণ বিশ্বাস। ছেলেরা বলল, ‘যাবেন না, যাবেন না। খেপে আছে। কাছে গেলে একেবারে ত্রিশূল নিয়ে তেড়ে আসে।’ ভয়ে চলে আসেন নবকৃষ্ণ। পরে তাঁদের বন্ধুত্ব হয়, কথা হয় নানা বিষয় নিয়ে। নবকৃষ্ণ তাঁকে নিয়ে আস্ত একটি বইও লেখেন—‘এস. এম. সুলতান: অন্তরঙ্গ জীবনকথা’।
পাঠক, বইয়ের শিরোনাম দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কার কথা বলা হচ্ছে। নড়াইলের সেই ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো তরুণের নাম এস এম সুলতান। সংসারবিবাগী, একজন প্রকৃতিজাত মানুষ বিখ্যাত শিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট জন্মেছিলেন তিনি। আজ সুলতানের জন্মশতবর্ষ।
পঞ্চাশের দশকের শেষের কথা। তত দিনে পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন সুলতান। সবকিছু নিংড়ে যখন নিজের শৈশব লালমিয়াকে খুঁজতে এলেন নড়াইলে, তাঁকে থাকতে দেওয়া হলো নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের লনে। কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক শরীফ হোসেনের আশ্রয়ে।
কিন্তু সুলতান কি তাঁর শৈশবে ফিরে যেতে পেরেছিলেন? যে সুলতান বাঙালি জাতিসত্তাকে টেনে তুলেছিলেন তাঁর ক্যানভাসে। তাঁর কি অতীত আছে? নাকি আহমদ ছফার মতো বলতে হয়, ‘সুলতান বলতে যশোরের গণ্ডগ্রামনিবাসী, মুসলমান চাষী এবং নমশূদ্র জীবনের একান্ত শরিক এই মানুষটিকেই চরম ও পরমভাবে মেনে নিতে হবে। তাঁর জীবনের যেন কোন সূচনা নেই, শৈশব নেই, কৈশোর নেই, হঠাৎ করে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভেতর থেকে একরাশ কাঁচাপাকা বাররি চুল দুলিয়ে জেগে উঠেছেন।’
এর কারণ আছে বৈকি। ১৯২৩ সালে কৃষক-রাজমিস্ত্রি বাবার ঘরে যে লালমিয়ার জন্ম, তাঁর ছোটবেলা থেকেই ঘর পালানোর শখ। নড়াইল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে শিল্প-সমালোচক শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর ছায়ায় ভর্তি হয়েছিলেন আর্ট কলেজে। সেখান থেকেও পালালেন। উদ্দেশ্য—ভারত ভ্রমণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। গোরা সৈন্যদের ছবি আঁকছেন। পাঁচ টাকা, দশ টাকা পাচ্ছেন। আর ভারতের শহর থেকে শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভয় নেই, ভাবনা নেই, দায়িত্ব নেই। কেবল সুদূরের পানে ছুটে চলা। দেশভাগের পরে পাকিস্তানের লাহোরে গেলেন। ছবির প্রদর্শনী হলো। খ্যাতিও পেলেন। ঘুরলেন আমেরিকা-ইউরোপ। কেতাদুরস্ত হতে চাইলে, সমসাময়িক শিল্পীদের মতো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাতে পারতেন। কালের স্রোতে ভাসিয়ে দিতে পারতেন নিজেকে। কিন্তু এখান থেকেও পালালেন সুলতান। ফিরে এলেন নড়াইলে। সেই লালমিয়ার কাছে!
এবারের সুলতান আর সেই সুলতান নেই। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা নিংড়ে এক নতুন জীবনের ঘ্রাণ সুলতানের কাছে। যাকে বলা যায় সন্তুর জীবন। মানুষ হিসেবে তিনি মিশে গেছেন প্রকৃতির সঙ্গে। তত দিনে ঢাকা আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সুলতানের তথাকথিত একাডেমিক শিক্ষা নেই। তাই এখানে তাঁর জায়গা হলো না। তিনি নড়াইলেই ফিরে গেলেন। গ্রহণ করলেন নতুন জীবনধারা—বৈষ্ণব সহজিয়া জীবন।
নবকৃষ্ণ তাঁর ‘এস. এম. সুলতান: অন্তরঙ্গ জীবনকথা’ বইয়ে এভাবে স্মরণ করেন। ‘পরনে একটি পাজামা আর ঢিলে পাঞ্জাবী, হাতে একটি বাঁশি, শিল্পী ডুব দিলেন গ্রামের সহস্র মানুষের ভিড়ে। আজ এ গ্রামে, কাল অন্য এক গ্রামে।’
নিম্নবর্ণের মানুষ গুণীর আদর করেন। গোঁসাই, শিল্পী, গায়কেরা তাঁদের কাছে পরম আদরের। সুলতানও হয়ে উঠলেন তেমনই। সুলতানের জীবন হয়ে উঠল নিম্নবর্ণের মানুষের জীবনঘেঁষা। নড়াইলের কৃষকসমাজ হয়ে উঠল তাঁর পরম আদরের। জঙ্গলে ঘেঁষা পুরোনো দালানে তাঁর বাস। সঙ্গে হনুমান, বিড়াল, নেড়ি কুকুর, একপাল মুরগি। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে তিনিও হয়ে গিয়েছিলেন প্রকৃতিরই সন্তান। কেতাদুরস্ত সেই আর্টিস্ট এস এম সুলতান বনে গেলেন সহজিয়া গোঁসাই। যেন লালনের বাউলজীবন। যিনি এক পাতেই খেতেন নেড়ি কুকুরের সঙ্গে। এতটুকু ঘৃণা ছিল না তাঁর মনে।
নির্মাতা তারেক মাসুদ তাঁকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছিলেন ‘আদম সুরত’ নামে। সেখানে দেখা যায়, ঢাউস ক্যানভাসে আঁকছেন সুলতান। ক্যানভাসের ওপরেই হাঁটছে বিড়াল। যেন তাঁর পরম বন্ধু। এই সহজিয়া জীবনের প্রভাবই পড়েছে তাঁর ক্যানভাসে। মাটির মানুষকে টেনে তুলেছেন সেখানে।
পঞ্চাশের দশকের পরের এই প্রকৃতিঘেরা জীবনের প্রভাবই সুলতানের ছবিতে দেদীপ্যমান। ছফা বলেন, ‘তার ছবি সম্পর্কেও একই কথা। এ ছবিগুলোও অতীতের একেবারে কোলঘেঁষা অন্ধকার ভেদ করে দলে দলে জগৎ-সংসারের কাছে এই মানুষ, এই সভ্যতা, এই সমাজ, এই ইতিহাস এবং এই ঐতিহাসিক সংগ্রামের বার্তা প্রেরণ করবার জন্য যেন আচমকা কার মন্ত্রমুগ্ধ আহ্বানে ছুটে এসেছে।’
সুলতানের ক্যানভাসে উঠে এল নড়াইলের কৃষক মানে বাংলার কৃষকেরা। তবে এই কৃষককে আগে দেখেনি কেউ। তাদের মাংসল পেশি। মাটি খনন করে ফলায় সভ্যতা। দীনহীন কৃষক তারা নয়।
সুলতানের কৃষক শুধু বাংলার নয়, সারা বিশ্বের সভ্যতা সৃষ্টিকারী আদম হয়ে ওঠে। সুলতান হয়ে ওঠেন তাদের পিতা। এই জন্মশতবর্ষের ক্ষণে ঘরসংসার পালানো এই শিল্পীকে তাঁর চিত্রসন্তানদের নিয়ে বলা ছাড়া আর কী দিয়েই-বা স্মরণ করা যায়!
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে