বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) নেটওয়ার্কের জ্ঞান নিতে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তা। তাঁদের সাতজনের মালয়েশিয়া ভ্রমণ গতকাল বৃহস্পতিবারই শেষ হওয়ার কথা। ১০ জনের অপর দলটির তুরস্কে যাওয়ার কথা ৩ মার্চ। এই ১৭ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের সব খরচ জোগাচ্ছে আইটি খাতের দুটি বেসরকারি কোম্পানি।
আইআরডি সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বা আইআরডি বেসরকারি কোম্পানির টাকায় এসব কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ অনুমোদন দিয়েছে। মালয়েশিয়া ভ্রমণকারী দলটির যাবতীয় খরচ বহন করেছে বেসরকারি র্যাংকস আইটিটি। তুরস্ক ভ্রমণকারী দলটির পুরো খরচ বহন করবে বেসরকারি এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেড।
জানা যায়, তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন এমন কর্মকর্তাদের তালিকায় নাম আছে এনবিআরের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট জাহিদুর রহমানের। গতকাল জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এমন প্রশিক্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তাঁকে আইআরডির অনুমোদনপত্রে তাঁর নাম থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁকে এখনো জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ তাঁকে মনোনীত করলে জেনে-বুঝেই করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকায় বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তিনি জানেন না। তবে কাস্টমসের সফটওয়্যার এসাইকোডা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে স্পনসর প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে। তাদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত রয়েছে। সে কারণে হয়তো তারা অর্থায়ন করছে।
তুরস্ক ভ্রমণে দলে আছেন এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব এবং ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিনি এসাইকোডার সঙ্গে জড়িত নন। তবে প্রশিক্ষণটি তাঁর প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই প্রশিক্ষণ কাজে লাগতে পারে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের খরচ বহন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন তারা টাকা দিচ্ছে, এ নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না। এনবিআরের কোনো প্রকল্পের অধীন হতে পারে। অনেক সময় ভেন্ডর নিজেই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে। শর্ত থাকে যে আমাদের শেখাতে হবে।’
জানা যায়, তুরস্ক ভ্রমণের তালিকায় আরও রয়েছেন কাস্টমস অটোমেশনের প্রথম সচিব রইছউদ্দিন খান, আইআরডির উপসচিব মোহাম্মদ নায়েরুজ্জামান, কাস্টমস এক্সেমশনের প্রথম সচিব ড. নাইমুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী প্রোগ্রামার সোহাগ হোসেইন।
এনবিআরের ১০ কর্মকর্তার তুরস্ক ভ্রমণের খরচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে গতকাল এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের শ্যামলীর করপোরেট অফিসে গেলে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। ফ্রন্ট ডেস্কের একজন প্রশাসনের জাফরুল আলম নামের সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানান, এমন কিছু তাঁদের জানা নেই। পরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদ উজ্জ জামানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সম্ভবত এনবিআরের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি রয়েছে। সে কারণেই প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করছে। প্রশিক্ষণ তো নিঃসন্দেহে তাঁদের উপকার করবে।
এ বিষয়ে ইআরডির অনুমোদনকারী কর্মকর্তা উপসচিব মোকিমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
আইটি খাতের প্রকৌশলীদের সংগঠন বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের (বিডিএনওজি) সাধারণ সম্পাদক বরকাতুল আলম বিপ্লব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনবিআরের কর্মকর্তারা বেসরকারি কোম্পানির টাকায় যে প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের এসব প্রশিক্ষণ দেশেই অহরহ হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটা মূলত ঘুরতে যাওয়ার প্রশিক্ষণ। আমরাও বছরে দুটি এ জাতীয় প্রশিক্ষণ দিই। বেসরকারি কোম্পানির টাকায় বিদেশ যাওয়ার কারণে নৈতিকভাবেও এনবিআর ওই কোম্পানির কাছে দায়বদ্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির কোনো অন্যায় আবদার মেটানোর দাবি তৈরি হতে পারে।’
প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) নেটওয়ার্কের জ্ঞান নিতে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তা। তাঁদের সাতজনের মালয়েশিয়া ভ্রমণ গতকাল বৃহস্পতিবারই শেষ হওয়ার কথা। ১০ জনের অপর দলটির তুরস্কে যাওয়ার কথা ৩ মার্চ। এই ১৭ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের সব খরচ জোগাচ্ছে আইটি খাতের দুটি বেসরকারি কোম্পানি।
আইআরডি সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বা আইআরডি বেসরকারি কোম্পানির টাকায় এসব কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ অনুমোদন দিয়েছে। মালয়েশিয়া ভ্রমণকারী দলটির যাবতীয় খরচ বহন করেছে বেসরকারি র্যাংকস আইটিটি। তুরস্ক ভ্রমণকারী দলটির পুরো খরচ বহন করবে বেসরকারি এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেড।
জানা যায়, তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন এমন কর্মকর্তাদের তালিকায় নাম আছে এনবিআরের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট জাহিদুর রহমানের। গতকাল জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এমন প্রশিক্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তাঁকে আইআরডির অনুমোদনপত্রে তাঁর নাম থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁকে এখনো জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ তাঁকে মনোনীত করলে জেনে-বুঝেই করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকায় বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তিনি জানেন না। তবে কাস্টমসের সফটওয়্যার এসাইকোডা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে স্পনসর প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে। তাদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত রয়েছে। সে কারণে হয়তো তারা অর্থায়ন করছে।
তুরস্ক ভ্রমণে দলে আছেন এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব এবং ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিনি এসাইকোডার সঙ্গে জড়িত নন। তবে প্রশিক্ষণটি তাঁর প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই প্রশিক্ষণ কাজে লাগতে পারে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের খরচ বহন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন তারা টাকা দিচ্ছে, এ নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না। এনবিআরের কোনো প্রকল্পের অধীন হতে পারে। অনেক সময় ভেন্ডর নিজেই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে। শর্ত থাকে যে আমাদের শেখাতে হবে।’
জানা যায়, তুরস্ক ভ্রমণের তালিকায় আরও রয়েছেন কাস্টমস অটোমেশনের প্রথম সচিব রইছউদ্দিন খান, আইআরডির উপসচিব মোহাম্মদ নায়েরুজ্জামান, কাস্টমস এক্সেমশনের প্রথম সচিব ড. নাইমুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী প্রোগ্রামার সোহাগ হোসেইন।
এনবিআরের ১০ কর্মকর্তার তুরস্ক ভ্রমণের খরচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে গতকাল এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের শ্যামলীর করপোরেট অফিসে গেলে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। ফ্রন্ট ডেস্কের একজন প্রশাসনের জাফরুল আলম নামের সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানান, এমন কিছু তাঁদের জানা নেই। পরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদ উজ্জ জামানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সম্ভবত এনবিআরের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি রয়েছে। সে কারণেই প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করছে। প্রশিক্ষণ তো নিঃসন্দেহে তাঁদের উপকার করবে।
এ বিষয়ে ইআরডির অনুমোদনকারী কর্মকর্তা উপসচিব মোকিমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
আইটি খাতের প্রকৌশলীদের সংগঠন বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের (বিডিএনওজি) সাধারণ সম্পাদক বরকাতুল আলম বিপ্লব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনবিআরের কর্মকর্তারা বেসরকারি কোম্পানির টাকায় যে প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের এসব প্রশিক্ষণ দেশেই অহরহ হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটা মূলত ঘুরতে যাওয়ার প্রশিক্ষণ। আমরাও বছরে দুটি এ জাতীয় প্রশিক্ষণ দিই। বেসরকারি কোম্পানির টাকায় বিদেশ যাওয়ার কারণে নৈতিকভাবেও এনবিআর ওই কোম্পানির কাছে দায়বদ্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির কোনো অন্যায় আবদার মেটানোর দাবি তৈরি হতে পারে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে