ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
জেলা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে মাগুরা-১ আসন গঠিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো অন্তত এক বছর বাকি। এরই মধ্যে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতিহাস বলছে, নব্বই-পরবর্তী সংসদীয় ব্যবস্থা আবার চালু হওয়ার পর এই আসনে বিএনপি শুধু একবারই জিতেছে। সেটা ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবারের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। দলটি নানা কর্মসূচি পালন করছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনসংযোগ করছেন নেতারা। তবে বিএনপির এখন পর্যন্ত তেমন প্রস্তুতি নেই।
পাড়ার মোড় থেকে চায়ের দোকান—সবখানে একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হলেও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একটাই—কারা হচ্ছেন বড় দলগুলোর প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে, যাঁরা দলের হাইকমান্ডে লবিং এবং তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত, বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরই হচ্ছেন এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী।
রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসার সুবাদে জেলা আওয়ামী লীগে রয়েছে শিখরের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সেই সঙ্গে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব (রাজনৈতিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা কমিটিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিটি সংগঠনে সাইফুজ্জামান শিখরের রয়েছে একচেটিয়া প্রভাব। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। জানতে চাইলে সাইফুজ্জামান শিখর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য হওয়ার আগে থেকেই আমি মাগুরার জন্য অনেক কিছু করে আসছি।
সংসদ সদস্য হয়ে এই চার বছরে মাগুরা জেলার নানা দিক দিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। তাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে এই আসন থেকে আমি বিপুল ভোটে আবারও জয়ী হব।’ এ ছাড়া আসনটিতে গতবার মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহহাব এবং বিদ্রোহী প্রার্থী শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান কুবুত উল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিও মনোনয়ন চাইতে পারেন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবশ্য বলছেন, যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সবাই কাজ করবেন।
এদিকে বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল আকতার খান কাফুর। তিনি ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। নৌকার প্রার্থী এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখরের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে সেই নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতির’ নির্বাচন বলছেন বিএনপির এই নেতা। ইকবাল আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবারের পরাজয়কে তিনি হার হিসেবে দেখছেন না; কারণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার নিজেই ভোট করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে বিপুল ভোটে জয়ী হব। তবে এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে দল যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি মেনে নেব।’
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর। ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনই ভাবছি না। আগে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হোক, সেটা চাইছি। সে লক্ষ্যে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সভা করছি।’
জেলা সদর ও শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে মাগুরা-১ আসন গঠিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো অন্তত এক বছর বাকি। এরই মধ্যে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতিহাস বলছে, নব্বই-পরবর্তী সংসদীয় ব্যবস্থা আবার চালু হওয়ার পর এই আসনে বিএনপি শুধু একবারই জিতেছে। সেটা ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবারের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। দলটি নানা কর্মসূচি পালন করছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনসংযোগ করছেন নেতারা। তবে বিএনপির এখন পর্যন্ত তেমন প্রস্তুতি নেই।
পাড়ার মোড় থেকে চায়ের দোকান—সবখানে একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হলেও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একটাই—কারা হচ্ছেন বড় দলগুলোর প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে, যাঁরা দলের হাইকমান্ডে লবিং এবং তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত, বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরই হচ্ছেন এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী।
রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসার সুবাদে জেলা আওয়ামী লীগে রয়েছে শিখরের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সেই সঙ্গে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব (রাজনৈতিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা কমিটিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিটি সংগঠনে সাইফুজ্জামান শিখরের রয়েছে একচেটিয়া প্রভাব। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। জানতে চাইলে সাইফুজ্জামান শিখর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য হওয়ার আগে থেকেই আমি মাগুরার জন্য অনেক কিছু করে আসছি।
সংসদ সদস্য হয়ে এই চার বছরে মাগুরা জেলার নানা দিক দিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। তাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে এই আসন থেকে আমি বিপুল ভোটে আবারও জয়ী হব।’ এ ছাড়া আসনটিতে গতবার মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহহাব এবং বিদ্রোহী প্রার্থী শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান কুবুত উল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিও মনোনয়ন চাইতে পারেন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবশ্য বলছেন, যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সবাই কাজ করবেন।
এদিকে বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল আকতার খান কাফুর। তিনি ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। নৌকার প্রার্থী এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখরের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে সেই নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতির’ নির্বাচন বলছেন বিএনপির এই নেতা। ইকবাল আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবারের পরাজয়কে তিনি হার হিসেবে দেখছেন না; কারণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার নিজেই ভোট করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে বিপুল ভোটে জয়ী হব। তবে এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে দল যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি মেনে নেব।’
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর। ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনই ভাবছি না। আগে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হোক, সেটা চাইছি। সে লক্ষ্যে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সভা করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে