ফেনী সংবাদদাতা
দেশজুড়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও ফেনীতে ঘটছে উল্টো ঘটনা। দলের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপরই জেলার রাজনীতিতে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর একক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ফেনীর আওয়ামী রাজনীতির একমাত্র নিয়ন্ত্রক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। ২০১২ সালে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এরপর ধীরে ধীরে জেলার ৬ উপজেলার ৫টি পৌরসভা ও ৪৯টি ইউনিয়নে নিজের অনুসারীদের পদ দিয়েছেন, গড়ে তুলেছেন নিজস্ব রাজনৈতিক বলয়।
দলীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলার শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় আওয়ামী লীগের। এই বৈঠকে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতেই দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, দলীয় সমর্থন দেওয়া হলেও কাউকে লিখিত কোনো পত্র দেওয়া হয়নি।
এই বৈঠকের পরই পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, ফেনী সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলকেও দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তবে ফুলগাজী উপজেলায় নির্বাচনে দুজনকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এই দুজন হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার।
যদিও এমন দলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। গত ৭ এপ্রিল ফেনী পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কোনো নমিনেশন ফর্ম বিক্রি করিনি। শুধু জেলার সম্ভাব্য কতজন প্রার্থী আছে, সেটা জানতে চেয়েছি। কেন্দ্র যেহেতু কাউকে সমর্থন দেবে না, আমাদেরও সমর্থনের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সারা দেশ একদিকে থাকলেও ফেনী সব সময় ভিন্ন দিকে থাকে। এখানে ফেনী স্টাইলে নির্বাচন হয়। চাইলেও কথা বলার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এম শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজাম হাজারী রাজনীতির পদপদবিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। শুধু আর্থিক লাভ ও নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না, সেখানে নিজাম হাজারীর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। বাকি চারটি উপজেলার ভোটের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
দেশজুড়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও ফেনীতে ঘটছে উল্টো ঘটনা। দলের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপরই জেলার রাজনীতিতে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর একক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ফেনীর আওয়ামী রাজনীতির একমাত্র নিয়ন্ত্রক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। ২০১২ সালে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এরপর ধীরে ধীরে জেলার ৬ উপজেলার ৫টি পৌরসভা ও ৪৯টি ইউনিয়নে নিজের অনুসারীদের পদ দিয়েছেন, গড়ে তুলেছেন নিজস্ব রাজনৈতিক বলয়।
দলীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলার শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় আওয়ামী লীগের। এই বৈঠকে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতেই দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, দলীয় সমর্থন দেওয়া হলেও কাউকে লিখিত কোনো পত্র দেওয়া হয়নি।
এই বৈঠকের পরই পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, ফেনী সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলকেও দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তবে ফুলগাজী উপজেলায় নির্বাচনে দুজনকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এই দুজন হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার।
যদিও এমন দলীয় সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। গত ৭ এপ্রিল ফেনী পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কোনো নমিনেশন ফর্ম বিক্রি করিনি। শুধু জেলার সম্ভাব্য কতজন প্রার্থী আছে, সেটা জানতে চেয়েছি। কেন্দ্র যেহেতু কাউকে সমর্থন দেবে না, আমাদেরও সমর্থনের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সারা দেশ একদিকে থাকলেও ফেনী সব সময় ভিন্ন দিকে থাকে। এখানে ফেনী স্টাইলে নির্বাচন হয়। চাইলেও কথা বলার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এম শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘নিজাম হাজারী রাজনীতির পদপদবিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। শুধু আর্থিক লাভ ও নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না, সেখানে নিজাম হাজারীর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। বাকি চারটি উপজেলার ভোটের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে