সৌগত বসু, ঢাকা
জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার এই প্রকল্পের গতি এবার হোঁচট খেয়েছে চার সংস্থার আপত্তিতে। ফলে ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ শেষ হওয়ার পর কিছু অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।
অথচ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়ার কথা। পুরোটা চালুর কথা আগামী বছরের জুনে। নতুন করে আপত্তির কারণে এই সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে প্রকল্প পরিচালকের আশা, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। আপত্তি নিরসনে আজ বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা।
সংযোগ সড়কসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পটি সরকারের অন্যতম বড় প্রকল্প। এটি বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। ২০১১ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা গড়ায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি অর্থ দেবে তিন কোম্পানির কনসোর্টিয়াম–ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, গত এপ্রিল পর্যন্ত তিন অংশ মিলিয়ে কাজের অগ্রগতি ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এর মধ্যে প্রথম অংশে অর্থাৎ কুড়িল-বনানী পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বনানী-মগবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশে ৫৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও মগবাজার-কুতুবখালী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। সব মিলিয়ে কাজ বাকি প্রায় ৩৮ শতাংশ।
চার সংস্থার আপত্তি
২০১৪ সালে নকশা প্রণয়নের সময় কোনো আপত্তি না উঠলেও গত ৮ মে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সভায় আপত্তি জানায় চার সংস্থা। এর মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প (ওঠা-নামার সড়ক) ও পিলার নিয়ে আপত্তি জানায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তারা বলেছে, বিভিন্ন স্থানে র্যাম্প হচ্ছে। এতে কাকলী, পলাশীসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের চাপ বাড়বে। পান্থকুঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খিলগাঁও রেলক্রসিং থেকে মালিবাগের দিকে দক্ষিণ সিটির ১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলেছে, এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ৪১টি খুঁটি হাতিরঝিলে পড়বে। বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছিল হাতিরঝিলকে বাঁচানোর জন্য। এখন সেখানে পিলার হলে হাতিরঝিল আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অবশ্য হাতিরঝিল প্রকল্পের নকশায় সমন্বয় করা স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, হাতিরঝিলের যে অংশ নিয়ে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তা সমাধানে আলাদা নকশা করা হয়েছে। এখন সেটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের।
আর বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, ঢাকা হতে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হয়েছে একই জায়গায় এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের জন্য।
সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি
এসব আপত্তি নিরসনে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ডিটিসিএ সূত্র বলছে, পলাশীতে র্যাম্পের জায়গা পাওয়া গেছে। পান্থকুঞ্জের সমস্যা সমাধানে বিকল্প দুটি। একটি পান্থপথ মোড়। তবে সেখানে জায়গার অভাব থাকায় বিকল্প হতে পারে মগবাজারে হলিফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে। আর কুড়িলে রেললাইন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের উদ্বোধন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে রেলওয়েকে। খিলগাঁও রেললাইন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাকলী মোড়ের জন্য সড়ক বিভাগ জায়গা দেওয়ার কথা জানায়।
জানা যায়, প্রকল্পে প্রথমে সব মিলিয়ে ৩৫টি র্যাম্প ছিল। পরে পরিবর্তন করে ৩১টি করা হয়েছে।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন বলেন, যেসব সমাধান বের করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সভায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বাকি অংশ চালু হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে।’
জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার এই প্রকল্পের গতি এবার হোঁচট খেয়েছে চার সংস্থার আপত্তিতে। ফলে ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ শেষ হওয়ার পর কিছু অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।
অথচ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়ার কথা। পুরোটা চালুর কথা আগামী বছরের জুনে। নতুন করে আপত্তির কারণে এই সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে প্রকল্প পরিচালকের আশা, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। আপত্তি নিরসনে আজ বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা।
সংযোগ সড়কসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পটি সরকারের অন্যতম বড় প্রকল্প। এটি বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। ২০১১ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা গড়ায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি অর্থ দেবে তিন কোম্পানির কনসোর্টিয়াম–ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, গত এপ্রিল পর্যন্ত তিন অংশ মিলিয়ে কাজের অগ্রগতি ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এর মধ্যে প্রথম অংশে অর্থাৎ কুড়িল-বনানী পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বনানী-মগবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশে ৫৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও মগবাজার-কুতুবখালী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। সব মিলিয়ে কাজ বাকি প্রায় ৩৮ শতাংশ।
চার সংস্থার আপত্তি
২০১৪ সালে নকশা প্রণয়নের সময় কোনো আপত্তি না উঠলেও গত ৮ মে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সভায় আপত্তি জানায় চার সংস্থা। এর মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প (ওঠা-নামার সড়ক) ও পিলার নিয়ে আপত্তি জানায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তারা বলেছে, বিভিন্ন স্থানে র্যাম্প হচ্ছে। এতে কাকলী, পলাশীসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের চাপ বাড়বে। পান্থকুঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খিলগাঁও রেলক্রসিং থেকে মালিবাগের দিকে দক্ষিণ সিটির ১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলেছে, এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ৪১টি খুঁটি হাতিরঝিলে পড়বে। বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছিল হাতিরঝিলকে বাঁচানোর জন্য। এখন সেখানে পিলার হলে হাতিরঝিল আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অবশ্য হাতিরঝিল প্রকল্পের নকশায় সমন্বয় করা স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, হাতিরঝিলের যে অংশ নিয়ে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তা সমাধানে আলাদা নকশা করা হয়েছে। এখন সেটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের।
আর বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, ঢাকা হতে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হয়েছে একই জায়গায় এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের জন্য।
সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি
এসব আপত্তি নিরসনে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ডিটিসিএ সূত্র বলছে, পলাশীতে র্যাম্পের জায়গা পাওয়া গেছে। পান্থকুঞ্জের সমস্যা সমাধানে বিকল্প দুটি। একটি পান্থপথ মোড়। তবে সেখানে জায়গার অভাব থাকায় বিকল্প হতে পারে মগবাজারে হলিফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে। আর কুড়িলে রেললাইন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের উদ্বোধন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে রেলওয়েকে। খিলগাঁও রেললাইন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাকলী মোড়ের জন্য সড়ক বিভাগ জায়গা দেওয়ার কথা জানায়।
জানা যায়, প্রকল্পে প্রথমে সব মিলিয়ে ৩৫টি র্যাম্প ছিল। পরে পরিবর্তন করে ৩১টি করা হয়েছে।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন বলেন, যেসব সমাধান বের করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সভায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বাকি অংশ চালু হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে