ধর্মপাশা ও তাহিরপুর প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব উপজেলার প্রায় সব গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ধর্মপাশা: ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি বসতঘরে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষেরা। কেউ কেউ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। গোয়াল ঘর ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। দেখা দিয়েছে চরম গোখাদ্য-সংকট।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ধর্মপাশার কংস নদ ও মধ্যনগরের সোমেশ্বরী নদীতে ক্রমাগত পানি বাড়তে থাকে। এতে ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারসহ ৬টি ইউনিয়নের ও মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারসহ ৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ধর্মপাশা-মধ্যনগর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া ধর্মপাশা উপজেলা সদরের সঙ্গে আশপাশের গ্রামগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ৯০০টি পরিবারের ৪৭ হাজার ৪০০ জন লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দেড় টন করে মোট ১৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জরুরি সমস্যায় কেউ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে।’
তাহিরপুর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ৭টি ইউনিয়নের ২৪৯টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন টাঙ্গুয়ার হাওর তীরবর্তী বসবাসকারী হাওরপারের মানুষ। দুদিন ধরে অনেক পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচায় আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছেন। বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক পরিবারগুলো। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরাঞ্চলের গবাদিপশুগুলোকে বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই।
গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির বলেন, গত তিন ধরে হাওরের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের কান্নাকাটি চলছে। অনেকেই না খেয়ে উপোস দিন কাটাচ্ছেন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের গোবিন্দ শ্রী গ্রামের কৃষক সেলিম আখঞ্জী বলেন, ‘ঘরের ভেতরে বুক পর্যন্ত পানি উঠেছে। ঘরে থাকা ১৮০ মন ধান পানিতে ভেসে গেছে। অনেকেই চুলা জ্বালাতে পারছেন না। খুব কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছি।’
উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের হাবিব বলেন, ‘কোনো রকমে ঘরে উঁচু মাঁচা করে বউ-বাচ্চা নিয়ে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে আর ঘরে থাকার উপায় থাকবে না। আমাদের ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরেই এখন পানি।’
উপজেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে সারা উপজেলার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হওয়ায় অনেক পরিবারে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘উপজেলার বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে স্পিড বোট, নৌকা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক বন্যার্তকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে এবং পানিবন্দী পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমও চলছে। ’
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব উপজেলার প্রায় সব গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ধর্মপাশা: ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি বসতঘরে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষেরা। কেউ কেউ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। গোয়াল ঘর ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। দেখা দিয়েছে চরম গোখাদ্য-সংকট।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ধর্মপাশার কংস নদ ও মধ্যনগরের সোমেশ্বরী নদীতে ক্রমাগত পানি বাড়তে থাকে। এতে ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারসহ ৬টি ইউনিয়নের ও মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারসহ ৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ধর্মপাশা-মধ্যনগর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া ধর্মপাশা উপজেলা সদরের সঙ্গে আশপাশের গ্রামগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ৯০০টি পরিবারের ৪৭ হাজার ৪০০ জন লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দেড় টন করে মোট ১৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জরুরি সমস্যায় কেউ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে।’
তাহিরপুর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ৭টি ইউনিয়নের ২৪৯টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন টাঙ্গুয়ার হাওর তীরবর্তী বসবাসকারী হাওরপারের মানুষ। দুদিন ধরে অনেক পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচায় আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছেন। বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক পরিবারগুলো। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরাঞ্চলের গবাদিপশুগুলোকে বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই।
গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির বলেন, গত তিন ধরে হাওরের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের কান্নাকাটি চলছে। অনেকেই না খেয়ে উপোস দিন কাটাচ্ছেন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের গোবিন্দ শ্রী গ্রামের কৃষক সেলিম আখঞ্জী বলেন, ‘ঘরের ভেতরে বুক পর্যন্ত পানি উঠেছে। ঘরে থাকা ১৮০ মন ধান পানিতে ভেসে গেছে। অনেকেই চুলা জ্বালাতে পারছেন না। খুব কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছি।’
উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের হাবিব বলেন, ‘কোনো রকমে ঘরে উঁচু মাঁচা করে বউ-বাচ্চা নিয়ে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে আর ঘরে থাকার উপায় থাকবে না। আমাদের ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরেই এখন পানি।’
উপজেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে সারা উপজেলার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হওয়ায় অনেক পরিবারে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘উপজেলার বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে স্পিড বোট, নৌকা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক বন্যার্তকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে এবং পানিবন্দী পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমও চলছে। ’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে