আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে করোনাকালীন দুস্থদের জন্য বরাদ্দের ৫৫ বস্তাভর্তি ২.৭৩ টন (২ হাজার ৭৩০ কেজি) চাল বিতরণ না করে পচিয়ে ফেলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
গতকাল রোববার আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরই তড়িঘড়ি করে কয়েক শ মানুষকে ডেকে এনে পচা চাল বিতরণের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান ও সচিব।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেই পচা চাল জব্দ করে গুদামে তালা লাগিয়ে দেন। একই সঙ্গে ইউপি সচিবকে তিরস্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে সমপরিমাণ চাল কিনে বিতরণ করার শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এ দিন সকালে চূড়ান্ত তালিকা (মাস্টার রোল) না করে তড়িঘড়ি পচা চাল বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করেন খোদপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক ও সচিব মৃনাল কান্তি। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০০-৪০০ নারী-পুরুষকে পরিষদে জড়ো করেন তাঁরা।
তবে চেয়ারম্যান ও সচিবের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পচা চাল বিতরণের খবর পেয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান বেলা ১১টার দিকে পরিষদে হাজির হয়ে চালের গুদাম সিলগালা করে দেন।
এ সময় গুদামে সরকারি চাল পচে যাওয়ার দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অনেকেই।
এ দিকে চাল বিতরণ না করে পরিষদের গুদামে পচানোর দায়ে খেদাপাড়া ইউপির সচিব মৃনাল কান্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও।
রোববার (গতকাল) অফিস সময়ের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি ইউএনও।
‘চাল পচছে গুদামে’ শিরোনামে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে ৫৫-৬০ বস্তা গরিবের চাল পচার ঘটনা নিয়ে গতকাল রোববার আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে সমালোচনার মুখে পড়েন ওই ইউপির চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক ও সচিব মৃনাল কান্তি। অনেকে এ ঘটনায় তাঁদের বিচারের দাবি করেছেন।
করোনাকালীন গৃহবন্দী দুস্থদের বিতরণের জন্য গত আগস্টের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে দুই ধাপে ৫৫ বস্তা (২ হাজার ৭৩০ কেজি) চাল তোলেন চেয়ারম্যান আব্দুল হক। চালগুলো বিতরণ না করে তিনি পরিষদের গুদামে রেখে দেন। ফলে খোলা জায়গায় পড়ে চালে পচন ধরে।
রোববার পরিষদে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী রাজু আহমেদ বলেন, ‘সকালে চাল নেওয়ার জন্য ৩০০-৪০০ নারী-পুরুষ পরিষদে আসেন। চেয়ারম্যান তাঁদের আসতে বলেছেন। চাল নেওয়ার জন্য সচিবের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সারিবদ্ধ দাঁড়ান তাঁরা। এরই মধ্যে খবর পেয়ে ইউএনও আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজু আহমেদ বলেন, ইউএনও চাল পচা দেখতে পেয়ে সব চাল জব্দ করে একটি কক্ষে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ সময় চাল নিতে আসা লোকজন হইচই শুরু করেন।’
রাজু আহমেদ বলেন, ‘ইউএনও আসার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানও পরিষদে আসেন। তখন ইউএনও পরিষদের সচিবকে তিরস্কার করেন। তিনি (সচিব) চাল বিতরণ না হওয়ার খবর কেন ইউএনওকে জানাননি সেই জন্য তাঁকে বদলির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ইউএনও। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানকে সমপরিমাণ চাল কিনে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিতেও বলেছেন ইউএনও।’
এ দিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, চাল পচানোর বিষয়টি ইউএনও জেলা প্রশাসককে লিখিত আকারে জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছি। আমি যে তথ্য পেয়েছি সেই বিষয় প্রতিবেদন তৈরি করে জেলায় পাঠিয়ে দেব।’
চাল গুদামে রেখে তালাবদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘পরিষদের বিষয় তো। এ বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।’
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, ‘ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পচা চাল উদ্ধার করে সিলগালা করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
যশোরের মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে করোনাকালীন দুস্থদের জন্য বরাদ্দের ৫৫ বস্তাভর্তি ২.৭৩ টন (২ হাজার ৭৩০ কেজি) চাল বিতরণ না করে পচিয়ে ফেলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
গতকাল রোববার আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরই তড়িঘড়ি করে কয়েক শ মানুষকে ডেকে এনে পচা চাল বিতরণের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান ও সচিব।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেই পচা চাল জব্দ করে গুদামে তালা লাগিয়ে দেন। একই সঙ্গে ইউপি সচিবকে তিরস্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে সমপরিমাণ চাল কিনে বিতরণ করার শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এ দিন সকালে চূড়ান্ত তালিকা (মাস্টার রোল) না করে তড়িঘড়ি পচা চাল বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করেন খোদপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক ও সচিব মৃনাল কান্তি। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০০-৪০০ নারী-পুরুষকে পরিষদে জড়ো করেন তাঁরা।
তবে চেয়ারম্যান ও সচিবের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পচা চাল বিতরণের খবর পেয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান বেলা ১১টার দিকে পরিষদে হাজির হয়ে চালের গুদাম সিলগালা করে দেন।
এ সময় গুদামে সরকারি চাল পচে যাওয়ার দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অনেকেই।
এ দিকে চাল বিতরণ না করে পরিষদের গুদামে পচানোর দায়ে খেদাপাড়া ইউপির সচিব মৃনাল কান্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও।
রোববার (গতকাল) অফিস সময়ের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি ইউএনও।
‘চাল পচছে গুদামে’ শিরোনামে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে ৫৫-৬০ বস্তা গরিবের চাল পচার ঘটনা নিয়ে গতকাল রোববার আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে সমালোচনার মুখে পড়েন ওই ইউপির চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক ও সচিব মৃনাল কান্তি। অনেকে এ ঘটনায় তাঁদের বিচারের দাবি করেছেন।
করোনাকালীন গৃহবন্দী দুস্থদের বিতরণের জন্য গত আগস্টের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে দুই ধাপে ৫৫ বস্তা (২ হাজার ৭৩০ কেজি) চাল তোলেন চেয়ারম্যান আব্দুল হক। চালগুলো বিতরণ না করে তিনি পরিষদের গুদামে রেখে দেন। ফলে খোলা জায়গায় পড়ে চালে পচন ধরে।
রোববার পরিষদে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী রাজু আহমেদ বলেন, ‘সকালে চাল নেওয়ার জন্য ৩০০-৪০০ নারী-পুরুষ পরিষদে আসেন। চেয়ারম্যান তাঁদের আসতে বলেছেন। চাল নেওয়ার জন্য সচিবের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সারিবদ্ধ দাঁড়ান তাঁরা। এরই মধ্যে খবর পেয়ে ইউএনও আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজু আহমেদ বলেন, ইউএনও চাল পচা দেখতে পেয়ে সব চাল জব্দ করে একটি কক্ষে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ সময় চাল নিতে আসা লোকজন হইচই শুরু করেন।’
রাজু আহমেদ বলেন, ‘ইউএনও আসার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানও পরিষদে আসেন। তখন ইউএনও পরিষদের সচিবকে তিরস্কার করেন। তিনি (সচিব) চাল বিতরণ না হওয়ার খবর কেন ইউএনওকে জানাননি সেই জন্য তাঁকে বদলির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ইউএনও। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানকে সমপরিমাণ চাল কিনে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিতেও বলেছেন ইউএনও।’
এ দিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, চাল পচানোর বিষয়টি ইউএনও জেলা প্রশাসককে লিখিত আকারে জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছি। আমি যে তথ্য পেয়েছি সেই বিষয় প্রতিবেদন তৈরি করে জেলায় পাঠিয়ে দেব।’
চাল গুদামে রেখে তালাবদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘পরিষদের বিষয় তো। এ বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।’
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, ‘ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পচা চাল উদ্ধার করে সিলগালা করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে