শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায়, কারাগারে ৫

কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ০৮: ৫১

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন মামলায় কুড়িগ্রামে তিনজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার তাঁদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুড়িগ্রাম কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশ লাইনস স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা, সদরের রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা ও রিভারভিউ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী বাসিন্দা তহিদুল হাসান এবং আরিফুর রহমান নামের পুলিশ লাইনস স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক। ফাতেমা তুজ জোহরাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ ওঠে আরিফুরের বিরুদ্ধে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আটক দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকলের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

গ্রেপ্তার ফাতেমা তুজ জোহরার এক আত্মীয় বলেন, ‘জোহরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। দুই বন্ধুর খপ্পরে পড়ে জোহরা পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যান।’

অপর একটি সূত্র জানায়, রিভারভিউ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আটক পরীক্ষার্থী তহিদুল হাসানের কাছ থেকে হলের ভেতর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তাঁর ফোনেও বাইরে থেকে উত্তরপত্র আসার প্রমাণ পায় কর্তৃপক্ষ।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবেরা বাদী হয়ে দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা করেছেন। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এ ছাড়া, গত শুক্রবার কুড়িগ্রামে ওই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ওই দুজনকে পৃথক মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার পৌর শহরের টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ ও সদর উপজেলার সালন্দর উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করায় এইচ এম আল মামুন ও বাসন্তি বালার নামে মামলা হয়েছে।’

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নাদিয়া আক্তার সাকির পরিবর্তে নাদির আক্তার শাকিল নামের এক যুবক পরীক্ষায় অংশ নেন। জালিয়াতির বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকেরা ধরে ফেলেন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি মন্ডলেরহাট গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম এইচ এম আল মামুন।

অপরদিকে সদর উপজেলার সালন্দর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাসন্তি বালাকে আটক করেন শিক্ষকেরা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তিনি সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মাধবপুর চোপড়াপাড়া গ্রামের ভবানী চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানের কার্গো জাহাজ, ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে যে কারণে

পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সংলাপ শুরু কাল, চলবে পুরো নভেম্বর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত