দিনাজপুর সদরে গোপন কোড বা পাসওয়ার্ড হাতিয়ে বুথ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন হলেন ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাক বুথের জুনিয়র চ্যানেল অফিসার বরকত জামান ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম। বরকত পঞ্চগড়ের বোদা থানার বাগপুর গ্রামের এবং রেজাউল দিনাজপুর সদর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের গতকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হয়।

গতকাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফাস্ট ট্র্যাক বুথে গ্রাহকদের জমা করা অর্থ নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সংগ্রহ করতেন তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। বরকত ওই বুথে কয়েক বছর ধরে কর্মরত থাকার সুবাদে কৌশলে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহারের সময় দেখে ফেলেন।

বরকত সুযোগ বুঝে গত শুক্রবার রাতে বুথের প্রহরী রাশেদ ইকবালের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে কাবু করে ফেলেন। এরপর রাত ১০টার দিকে রেজাউলের সঙ্গে মিলে প্রথমে বুথের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ডিভিআর মেশিন খুলে ফেলেন। পরে গোপন নম্বর ব্যবহার করে বুথ থেকে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করেন। সেই সঙ্গে ডিভিআরটি শহরের মাতাসাগর এলাকায় পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় পরদিন ব্যাংকের দিনাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এর তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ গত রোববার দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে বরকতকে আটক করে। তিনি শুরুতে পুলিশকে অসংলগ্ন তথ্য দিলেও একপর্যায়ে টাকা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রেজাউলকে আটক করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা, ভাঙারির দোকান থেকে ডিভিআর মেশিন, টাকা লেনদেন ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড ও ব্যাংকে চার লাখ টাকা জমার কয়েকটি স্লিপ উদ্ধার করা হয়।