সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি খাদ্যগুদামে মালামাল গাড়িতে ওঠানো-নামানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে গুদামের কার্যক্রমে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকেরা দাবি আদায়ের জন্য গুদাম চত্বরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
গুদামের ফটকে চারটি চালভর্তি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছিল। এতে করে আর কোনো পরিবহন গুদামে ঢুকতে বা বের হতে পারছিল না। তবে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাকগুলো পণ্য খালাস না করেই চলে যায়।
শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা যে মজুরি পাচ্ছেন তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাঁরা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এ কর্মসূচি পালন করছেন।
শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। সরকারি পণ্য গাড়িতে ওঠানো-নামানোতে তাঁদের যে মজুরি তা বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী অমানবিক। বস্তাপ্রতি মাত্র এক টাকা করে মজুরি পান। এক ট্রাক পণ্য খালাস ও বোঝাই করে ১ হাজার ৪০০ টাকা পেলে তা ৪১ শ্রমিকের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়। এতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
শ্রমিক সর্দার (সভাপতি) জিকরুল হক বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আমরা ইতিপূর্বেও অনেক আন্দোলন করেছি। প্রতিবারই খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অনুরোধ করে আমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ করব না। এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকেরা আমাদের কথা মানেননি। জরুরি সময়ে অহেতুক দাবি তুলে কাজে ব্যাঘাত ঘটান। আমরা যেন তাঁদের কাছে জিম্মি। মজুরি বৃদ্ধির কোনো কর্তৃত্ব আমাদের নেই। এটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। সামনে টেন্ডার হবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই মজুরি বাড়বে। সারা দেশে শ্রমিকেরা যে রেটে কাজ করছেন, সেই রেটই এখানে। তারপরও তাঁরা কথায় কথায় এই ব্যাপারে অরাজকতা সৃষ্টি করেন।’
তৌহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি পণ্য খালাস ও বোঝাই না করলে অন্য মালামালের খালাস ও বোঝাই বন্ধ রাখতে। সে অনুযায়ী সব কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি খাদ্যগুদামে মালামাল গাড়িতে ওঠানো-নামানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে গুদামের কার্যক্রমে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকেরা দাবি আদায়ের জন্য গুদাম চত্বরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
গুদামের ফটকে চারটি চালভর্তি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছিল। এতে করে আর কোনো পরিবহন গুদামে ঢুকতে বা বের হতে পারছিল না। তবে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাকগুলো পণ্য খালাস না করেই চলে যায়।
শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা যে মজুরি পাচ্ছেন তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাঁরা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এ কর্মসূচি পালন করছেন।
শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। সরকারি পণ্য গাড়িতে ওঠানো-নামানোতে তাঁদের যে মজুরি তা বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী অমানবিক। বস্তাপ্রতি মাত্র এক টাকা করে মজুরি পান। এক ট্রাক পণ্য খালাস ও বোঝাই করে ১ হাজার ৪০০ টাকা পেলে তা ৪১ শ্রমিকের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়। এতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
শ্রমিক সর্দার (সভাপতি) জিকরুল হক বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আমরা ইতিপূর্বেও অনেক আন্দোলন করেছি। প্রতিবারই খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অনুরোধ করে আমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ করব না। এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকেরা আমাদের কথা মানেননি। জরুরি সময়ে অহেতুক দাবি তুলে কাজে ব্যাঘাত ঘটান। আমরা যেন তাঁদের কাছে জিম্মি। মজুরি বৃদ্ধির কোনো কর্তৃত্ব আমাদের নেই। এটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। সামনে টেন্ডার হবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই মজুরি বাড়বে। সারা দেশে শ্রমিকেরা যে রেটে কাজ করছেন, সেই রেটই এখানে। তারপরও তাঁরা কথায় কথায় এই ব্যাপারে অরাজকতা সৃষ্টি করেন।’
তৌহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি পণ্য খালাস ও বোঝাই না করলে অন্য মালামালের খালাস ও বোঝাই বন্ধ রাখতে। সে অনুযায়ী সব কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে