রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয়নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের হিসাব-নিকাশে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। নির্বাচনী ফল নিজেদের পক্ষে আনতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোটের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগাগোড়াই সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ভোটব্যাংক হিসেবে গণ্য করে আসছে। এই সম্প্রদায়ের ভোট নিয়ে এবারও দলটি আত্মবিশ্বাসী। তবে ক্ষমতাসীনদের সেই আত্মবিশ্বাসে এবার চির ধরাতে চায় বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে হানা দিতে বিএনপি এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতা বলছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠন এবং ‘বিশেষ সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নসহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় সংখ্যালঘুদের মনে ক্ষোভ জন্মেছে। তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন, যাদের দিয়ে তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষা হবে।
নতুন সংগঠন, উপদেষ্টা গয়েশ্বর
জানা যায়, বিএনপি এবার সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের সুযোগ নিতে চাইছে। এরই মধ্যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আদলে আরেকটি সংগঠন করেছে তারা।হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নামের ওই সংগঠনের উপদেষ্টা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পাশাপাশি সক্রিয় আছে জাতীয় হিন্দু মহাজোটও। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতা।
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, আমরা বিএনপির। আসলে আমরা আওয়ামী লীগেরও না, বিএনপিরও না। আমরা আমাদের (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়) পক্ষে।’ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলাটা অপপ্রচার বলে মনে করেন তিনি। গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা আমাদের কাছে সমর্থন চাইতে এসেছিলেন। তাঁরা বলেছেন, আপনাদের দাবি পূরণ করা হবে, আমাদের সমর্থন করেন।’
প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ
বিএনপির কোনো নেতা অবশ্য এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভোটের অধিকারই যেখানে নাই, সেখানে একটা সম্প্রদায়ের ভোটের চিন্তা করে কী হবে? সবার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন বড় কথা।’
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন দলের নেতারা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতাদের আমন্ত্রণ জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে ঐক্য পরিষদ নেতারা তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। ঈদুল ফিতরের পরে এটা হতে পারে বলে জানান পরিষদের একাধিক নেতা।
যদিও এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চান না ক্ষমতাসীন দলের নেতারা; বরং তাঁদের প্রকাশ্য বক্তব্যে আগের মতোই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত। আমরা শিওর পাব।’ সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল আছে ঠিকই; কিন্তু সেটা এই মুহূর্তে সমাধান করা সম্ভব না।’
বর্তমান সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ২১ জন
সরকারি হিসাবে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটার আছেন ১ কোটি ১১ লাখ। আবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হিসাবমতে, এই সংখ্যা দেড় কোটির বেশি; যা মোট ভোটারের ১২-১৩ শতাংশ। কিছু সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
বর্তমান জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি আছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন সরাসরি নির্বাচিত, আর দুজন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য।
বিএনপি গত নির্বাচনে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল আর জাতীয় পার্টি দিয়েছিল দুজনকে। জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০ জন প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন সংখ্যালঘুরা। ভোটের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের দাবি নিয়ে দুপক্ষই তৎপর।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতার ধারণা, সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলা হলেও আগামী নির্বাচনে সেই ধারণা পাল্টে যেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে ভিন্নমতও আছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। এই ধারার পক্ষের দল আওয়ামী লীগের প্রতি অতীতেও সুস্পষ্ট সমর্থন ছিল, এখনো থাকবে। কারণ, এখনো বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উন্মেষ ঘটেনি, যাদের সমর্থন করা যায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সব নাগরিক সমান। সংবিধানে সব সম্প্রদায়ের লোকেরই নিজের ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা দেওয়া আছে। এখানে কে কার ভোটব্যাংক, তা আমরা বিশ্বাস করি না।’
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার কথা বলে ভোট দাবি নিয়ে প্রশ্ন
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলে ভোট দাবি করার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে রাজনীতি-বিশ্লেষকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন বাস্তবতায় এসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আত্মপরিচয় নির্মাণ করছেন, সেটা ভাবা উচিত। যদি কেউ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলে ভোট দাবি করে, সে ব্যাপারেও কথা বলা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে প্রত্যেক নাগরিক সমান মর্যাদা ও সুরক্ষা পাবে। সেই জায়গায় থেকে নির্বাচনে ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে কোনো সুবিধা, এমনকি ন্যায্য সুবিধা আদায় করে নেওয়া গণতন্ত্রের জন্য খুব বেশি উপকার হবে বলে মনে হয় না।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘আমরা নাগরিক হিসেবে চাই সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেখানে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা স্বচ্ছন্দে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অধিকার ও উন্নয়নের বিষয়গুলো অগ্রিধকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে।’
দ্বাদশ জাতীয়নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের হিসাব-নিকাশে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। নির্বাচনী ফল নিজেদের পক্ষে আনতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোটের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগাগোড়াই সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ভোটব্যাংক হিসেবে গণ্য করে আসছে। এই সম্প্রদায়ের ভোট নিয়ে এবারও দলটি আত্মবিশ্বাসী। তবে ক্ষমতাসীনদের সেই আত্মবিশ্বাসে এবার চির ধরাতে চায় বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে হানা দিতে বিএনপি এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতা বলছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠন এবং ‘বিশেষ সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নসহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় সংখ্যালঘুদের মনে ক্ষোভ জন্মেছে। তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন, যাদের দিয়ে তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষা হবে।
নতুন সংগঠন, উপদেষ্টা গয়েশ্বর
জানা যায়, বিএনপি এবার সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের সুযোগ নিতে চাইছে। এরই মধ্যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আদলে আরেকটি সংগঠন করেছে তারা।হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নামের ওই সংগঠনের উপদেষ্টা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পাশাপাশি সক্রিয় আছে জাতীয় হিন্দু মহাজোটও। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতা।
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, আমরা বিএনপির। আসলে আমরা আওয়ামী লীগেরও না, বিএনপিরও না। আমরা আমাদের (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়) পক্ষে।’ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলাটা অপপ্রচার বলে মনে করেন তিনি। গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা আমাদের কাছে সমর্থন চাইতে এসেছিলেন। তাঁরা বলেছেন, আপনাদের দাবি পূরণ করা হবে, আমাদের সমর্থন করেন।’
প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ
বিএনপির কোনো নেতা অবশ্য এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভোটের অধিকারই যেখানে নাই, সেখানে একটা সম্প্রদায়ের ভোটের চিন্তা করে কী হবে? সবার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন বড় কথা।’
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এরই মধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন দলের নেতারা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতাদের আমন্ত্রণ জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে ঐক্য পরিষদ নেতারা তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। ঈদুল ফিতরের পরে এটা হতে পারে বলে জানান পরিষদের একাধিক নেতা।
যদিও এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চান না ক্ষমতাসীন দলের নেতারা; বরং তাঁদের প্রকাশ্য বক্তব্যে আগের মতোই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত। আমরা শিওর পাব।’ সংখ্যালঘুদের ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল আছে ঠিকই; কিন্তু সেটা এই মুহূর্তে সমাধান করা সম্ভব না।’
বর্তমান সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ২১ জন
সরকারি হিসাবে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটার আছেন ১ কোটি ১১ লাখ। আবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হিসাবমতে, এই সংখ্যা দেড় কোটির বেশি; যা মোট ভোটারের ১২-১৩ শতাংশ। কিছু সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
বর্তমান জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি আছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন সরাসরি নির্বাচিত, আর দুজন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য।
বিএনপি গত নির্বাচনে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল আর জাতীয় পার্টি দিয়েছিল দুজনকে। জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০ জন প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন সংখ্যালঘুরা। ভোটের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের দাবি নিয়ে দুপক্ষই তৎপর।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতার ধারণা, সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলা হলেও আগামী নির্বাচনে সেই ধারণা পাল্টে যেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে ভিন্নমতও আছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। এই ধারার পক্ষের দল আওয়ামী লীগের প্রতি অতীতেও সুস্পষ্ট সমর্থন ছিল, এখনো থাকবে। কারণ, এখনো বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উন্মেষ ঘটেনি, যাদের সমর্থন করা যায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সব নাগরিক সমান। সংবিধানে সব সম্প্রদায়ের লোকেরই নিজের ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা দেওয়া আছে। এখানে কে কার ভোটব্যাংক, তা আমরা বিশ্বাস করি না।’
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার কথা বলে ভোট দাবি নিয়ে প্রশ্ন
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলে ভোট দাবি করার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে রাজনীতি-বিশ্লেষকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন বাস্তবতায় এসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আত্মপরিচয় নির্মাণ করছেন, সেটা ভাবা উচিত। যদি কেউ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলে ভোট দাবি করে, সে ব্যাপারেও কথা বলা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে প্রত্যেক নাগরিক সমান মর্যাদা ও সুরক্ষা পাবে। সেই জায়গায় থেকে নির্বাচনে ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে কোনো সুবিধা, এমনকি ন্যায্য সুবিধা আদায় করে নেওয়া গণতন্ত্রের জন্য খুব বেশি উপকার হবে বলে মনে হয় না।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘আমরা নাগরিক হিসেবে চাই সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেখানে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা স্বচ্ছন্দে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অধিকার ও উন্নয়নের বিষয়গুলো অগ্রিধকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে