শিহাব আহমেদ
আজ আপনার পরিচালিত ‘রঙের অনেক রঙ’ প্রচার হবে। নাটকটি নিয়ে বলুন।
ঘরে যদি কন্যাসন্তান থাকে, তাহলে বাবার নানা ধরনের টেনশন থাকে। এই নাটকে একজন বাবার দুই মেয়ে। একজন ফরসা, অন্যজন কালো। বাবার খুব চিন্তা কালো মেয়েকে নিয়ে। গায়ের রঙের কারণে মেয়ের দিতে পারছেন না। অন্য দিকে গায়ের রং ফরসা হওয়ায় বখাটেরা পিছু লাগে ছোট মেয়েটির। সব মিলে মহা ঝামেলায় পড়েন বাবা। অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিল্পী সরকার অপু, নাজিবা বাশার, নিশা চৌধুরী প্রমুখ। আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টিভিতে দেখা যাবে নাটকটি।
নতুন আর কোন কাজ আসছে?
বেশ কিছু নাটক আসবে। এ ছাড়া ওটিটিতে ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। কথাবার্তা চলছে। আশা করি আগামী বছর সিনেমার কাজ শেষ করতে পারব।
আপনি তো অভিনয়ও করছেন?
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয় করছি। ২০১৯ সালে ‘এই শহরে’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছি। সম্প্রতি তপু খানের ‘ডার্ক জাস্টিস’ নাটকের শুটিং শেষ করেছি। আমার সহশিল্পী ছিলেন অপূর্ব, ইরফান সাজ্জাদ, মাহিমা প্রমুখ। শুরু করব ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার কাজ। চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করার গল্প নিয়ে এটি নির্মাণ করছেন সানী সানোয়ার। এতে আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ।
‘কারাগার’ ও ‘মহানগর ২’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
একটা কথা আছে, যে যত বড় হয় সে তত বিনয়ী হয়। আমি তাঁদের দুজনের মাঝে এই ব্যাপারটা পেয়েছি। শুটিংয়ের সময় নিজেকে উজাড় করে দেন তাঁরা। যত পরিশ্রমই হোক না কেন, কাজটি ভালো করতে কোনো ছাড় দেন না। মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী দুজনেই জাত অভিনেতা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে তাঁরা খুব কো-অপারেটিভ। শুধু নিজেদের নিয়ে নয়, সহশিল্পীদের অভিনয় নিয়েও চিন্তাভাবনা করেন।
ওটিটির সুবাদে চরিত্রাভিনেতাদের গুরুত্ব বেড়েছে। আপনার কী মতামত?
ওটিটি আসার পর আমাদের কাজ বেড়েছে। অনেক অভিনয়শিল্পী নতুনভাবে আবিষ্কৃত হচ্ছেন। যাঁরা অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন, ওটিটির কারণে তাঁরা নতুনভাবে নিজেদের জাত চেনাতে পেরেছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রী তৈরির ক্ষেত্রে ওটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনেকেই অভিযোগ করেন ওটিটিতে কাজ করতে হলে টিভিতে কাজ কমিয়ে দিতে হয়। আসলেই কি তাই?
এ বিষয়ে আমি একমত নই। যাঁরাই ওটিটিতে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই কিন্তু টিভি থেকেই এসেছেন বা এখনো কাজ করছেন। একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে মাধ্যম নয়, অভিনয়টাই মুখ্য।
মিডিয়ায় আপনার শুরু কীভাবে?
১৯৯৮ সালে ক্রান্তি খেলাঘর আসর থেকে যাত্রা শুরু। আমার বন্ধু আব্দুল কাদীর রণর মাধ্যমে সেখানে যোগ দেওয়া। মূল জার্নিটা শুরু হয়, ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐকীক থিয়েটারের মাধ্যমে। ২০০৮ সালে নাট্যকার ও নির্দেশক কাজী শাহেদুল ইসলাম ১৩ পর্বের একটি ধারাবাহিকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের প্রস্তাব দেন। সেই ধারাবাহিকের একটি গল্পে আমি মূল চরিত্রে অভিনয় করি। শুরু হয় টেলিভিশনের পথচলা। প্রথম নাটক পরিচালনা করি ২০১৩ সালে।
এখন কি মনে হয় পেশা হিসেবে মিডিয়াকে বেছে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল?
অভিনয়জগৎ আমার ভালোবাসার জায়গা। মাঝে ২০০৬ সালের দিক একটা সরকারি চাকরি করেছিলাম। ১৪ মাস পর চাকরিটা ছেড়ে দিই। একটাই কারণ, অভিনয় করব আর নির্দেশনা দেব। নিজের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম। তৃপ্তি নিয়ে বাঁচতে চাইছিলাম বলেই এই দুঃসাহস করতে পেরেছিলাম। এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জটা নিতে পেরেছি বলেই টিকে আছি।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সৎভাবে নিজের কাজটুকু চালিয়ে যেতে চাই। কত দূর যেতে হবে, সেটা কখনো ভাবি না। আনন্দ নিয়ে যেন কাজ করতে পারি এটাই প্রত্যাশা।
আজ আপনার পরিচালিত ‘রঙের অনেক রঙ’ প্রচার হবে। নাটকটি নিয়ে বলুন।
ঘরে যদি কন্যাসন্তান থাকে, তাহলে বাবার নানা ধরনের টেনশন থাকে। এই নাটকে একজন বাবার দুই মেয়ে। একজন ফরসা, অন্যজন কালো। বাবার খুব চিন্তা কালো মেয়েকে নিয়ে। গায়ের রঙের কারণে মেয়ের দিতে পারছেন না। অন্য দিকে গায়ের রং ফরসা হওয়ায় বখাটেরা পিছু লাগে ছোট মেয়েটির। সব মিলে মহা ঝামেলায় পড়েন বাবা। অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিল্পী সরকার অপু, নাজিবা বাশার, নিশা চৌধুরী প্রমুখ। আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টিভিতে দেখা যাবে নাটকটি।
নতুন আর কোন কাজ আসছে?
বেশ কিছু নাটক আসবে। এ ছাড়া ওটিটিতে ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। কথাবার্তা চলছে। আশা করি আগামী বছর সিনেমার কাজ শেষ করতে পারব।
আপনি তো অভিনয়ও করছেন?
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয় করছি। ২০১৯ সালে ‘এই শহরে’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছি। সম্প্রতি তপু খানের ‘ডার্ক জাস্টিস’ নাটকের শুটিং শেষ করেছি। আমার সহশিল্পী ছিলেন অপূর্ব, ইরফান সাজ্জাদ, মাহিমা প্রমুখ। শুরু করব ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার কাজ। চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করার গল্প নিয়ে এটি নির্মাণ করছেন সানী সানোয়ার। এতে আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ।
‘কারাগার’ ও ‘মহানগর ২’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
একটা কথা আছে, যে যত বড় হয় সে তত বিনয়ী হয়। আমি তাঁদের দুজনের মাঝে এই ব্যাপারটা পেয়েছি। শুটিংয়ের সময় নিজেকে উজাড় করে দেন তাঁরা। যত পরিশ্রমই হোক না কেন, কাজটি ভালো করতে কোনো ছাড় দেন না। মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী দুজনেই জাত অভিনেতা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে তাঁরা খুব কো-অপারেটিভ। শুধু নিজেদের নিয়ে নয়, সহশিল্পীদের অভিনয় নিয়েও চিন্তাভাবনা করেন।
ওটিটির সুবাদে চরিত্রাভিনেতাদের গুরুত্ব বেড়েছে। আপনার কী মতামত?
ওটিটি আসার পর আমাদের কাজ বেড়েছে। অনেক অভিনয়শিল্পী নতুনভাবে আবিষ্কৃত হচ্ছেন। যাঁরা অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন, ওটিটির কারণে তাঁরা নতুনভাবে নিজেদের জাত চেনাতে পেরেছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রী তৈরির ক্ষেত্রে ওটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনেকেই অভিযোগ করেন ওটিটিতে কাজ করতে হলে টিভিতে কাজ কমিয়ে দিতে হয়। আসলেই কি তাই?
এ বিষয়ে আমি একমত নই। যাঁরাই ওটিটিতে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই কিন্তু টিভি থেকেই এসেছেন বা এখনো কাজ করছেন। একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে মাধ্যম নয়, অভিনয়টাই মুখ্য।
মিডিয়ায় আপনার শুরু কীভাবে?
১৯৯৮ সালে ক্রান্তি খেলাঘর আসর থেকে যাত্রা শুরু। আমার বন্ধু আব্দুল কাদীর রণর মাধ্যমে সেখানে যোগ দেওয়া। মূল জার্নিটা শুরু হয়, ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐকীক থিয়েটারের মাধ্যমে। ২০০৮ সালে নাট্যকার ও নির্দেশক কাজী শাহেদুল ইসলাম ১৩ পর্বের একটি ধারাবাহিকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের প্রস্তাব দেন। সেই ধারাবাহিকের একটি গল্পে আমি মূল চরিত্রে অভিনয় করি। শুরু হয় টেলিভিশনের পথচলা। প্রথম নাটক পরিচালনা করি ২০১৩ সালে।
এখন কি মনে হয় পেশা হিসেবে মিডিয়াকে বেছে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল?
অভিনয়জগৎ আমার ভালোবাসার জায়গা। মাঝে ২০০৬ সালের দিক একটা সরকারি চাকরি করেছিলাম। ১৪ মাস পর চাকরিটা ছেড়ে দিই। একটাই কারণ, অভিনয় করব আর নির্দেশনা দেব। নিজের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম। তৃপ্তি নিয়ে বাঁচতে চাইছিলাম বলেই এই দুঃসাহস করতে পেরেছিলাম। এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জটা নিতে পেরেছি বলেই টিকে আছি।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সৎভাবে নিজের কাজটুকু চালিয়ে যেতে চাই। কত দূর যেতে হবে, সেটা কখনো ভাবি না। আনন্দ নিয়ে যেন কাজ করতে পারি এটাই প্রত্যাশা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে