উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
চার মাসের ব্যবধানে প্রশাসনে আরও ১৩১ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার পদোন্নতি পাওয়া এসব কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে দাবি আদায়ের হিড়িক চলছে সরকারি দপ্তরে। এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়েও চলছে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি। এসব কর্মকর্তার প্রায় সবাই নিজেকে আওয়ামী লীগ আমলে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে পদোন্নতি নিচ্ছেন। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা দুর্নীতি, কিংবা পেশাগত অসদাচরণের জন্য এত দিন পদোন্নতি পাননি।
গতকাল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক তিন জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) দুর্নীতির অভিযোগ থাকা কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বঞ্চিত কর্মকর্তা সেজে পদোন্নতি বাগিয়েছেন মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, যিনি হাসিনা সরকারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে ডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ঘুষ গ্রহণ, কর্মচারীদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযোগের পর গোপালগঞ্জের এই কর্মকর্তাকে ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
মুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি যোগদানের পর ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আর হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ তাঁর স্ত্রী বিউটি বিশ্বাসের হাতে টাকা তুলে দেওয়া। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে ৮ বছর ধরে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা শাখায় আছেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ক্যাশিয়ার বলেও তাঁর পরিচিতি আছে।
পাট অধিদপ্তরের পরিচালক দেওয়ান মো. আবদুস সামাদও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আর্থিক অনিয়মের কারণে এত দিন তিনি পদোন্নতি পাননি। ২০২২ সালে তাঁকে পদোন্নতি দিতে তৎকালীন কৃষি মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নওগাঁ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও) দিয়েছিলেন। তাতে লিখেছিলেন, ‘বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের যুগ্ম সচিব দেওয়ান মো. আসুস সামাদ (৬১১৮) দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মকর্তা। তাঁকে অতিরিক্ত সচিব করা হলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নোয়াখালীর ডিসি ছিলেন বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনিও বঞ্চিতদের কাতারে শামিল হয়ে এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। একই সময়ে মানিকগঞ্জের ডিসি ছিলেন ড. রাশিদা ফেরদৌস। তিনিও এবার পদোন্নতি বাগিয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। এ ছাড়া পদোন্নতি পেয়েছেন ইমামউদ্দীন কবীর, যাঁর বিরুদ্ধে পাবনার এডিএম থাকাকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে ডিসিকেই প্রত্যাহার করা হয়। তাঁকেও ফেরত আনা হয়। তাঁরা তিনজনই বিসিএস ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
গতকাল পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৫২৪ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা মাত্র দেড় শ। এর মাত্র চার মাস আগে গত ২২ এপ্রিল প্রশাসনের ১৩০ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল হাসিনা সরকার।
গতকাল জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিসিএস নবম ব্যাচ থেকে শুরু করে ১৮তম ব্যাচ পর্যন্ত মোট ১৩১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নবম ব্যাচের ৩, দশম ব্যাচের ৪, ১১তম ব্যাচের ২৩, ১৩তম ব্যাচের ৩৩, ১৫তম ব্যাচের ২৩, ১৭তম ব্যাচের ৭ এবং ১৮তম ব্যাচের ৩৮ জন।
আরও খবর পড়ুন:
চার মাসের ব্যবধানে প্রশাসনে আরও ১৩১ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার পদোন্নতি পাওয়া এসব কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে দাবি আদায়ের হিড়িক চলছে সরকারি দপ্তরে। এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়েও চলছে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি। এসব কর্মকর্তার প্রায় সবাই নিজেকে আওয়ামী লীগ আমলে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে পদোন্নতি নিচ্ছেন। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা দুর্নীতি, কিংবা পেশাগত অসদাচরণের জন্য এত দিন পদোন্নতি পাননি।
গতকাল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক তিন জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) দুর্নীতির অভিযোগ থাকা কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বঞ্চিত কর্মকর্তা সেজে পদোন্নতি বাগিয়েছেন মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, যিনি হাসিনা সরকারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে ডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ঘুষ গ্রহণ, কর্মচারীদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযোগের পর গোপালগঞ্জের এই কর্মকর্তাকে ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
মুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি যোগদানের পর ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আর হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ তাঁর স্ত্রী বিউটি বিশ্বাসের হাতে টাকা তুলে দেওয়া। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে ৮ বছর ধরে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা শাখায় আছেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ক্যাশিয়ার বলেও তাঁর পরিচিতি আছে।
পাট অধিদপ্তরের পরিচালক দেওয়ান মো. আবদুস সামাদও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আর্থিক অনিয়মের কারণে এত দিন তিনি পদোন্নতি পাননি। ২০২২ সালে তাঁকে পদোন্নতি দিতে তৎকালীন কৃষি মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নওগাঁ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও) দিয়েছিলেন। তাতে লিখেছিলেন, ‘বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের যুগ্ম সচিব দেওয়ান মো. আসুস সামাদ (৬১১৮) দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মকর্তা। তাঁকে অতিরিক্ত সচিব করা হলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নোয়াখালীর ডিসি ছিলেন বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনিও বঞ্চিতদের কাতারে শামিল হয়ে এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। একই সময়ে মানিকগঞ্জের ডিসি ছিলেন ড. রাশিদা ফেরদৌস। তিনিও এবার পদোন্নতি বাগিয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। এ ছাড়া পদোন্নতি পেয়েছেন ইমামউদ্দীন কবীর, যাঁর বিরুদ্ধে পাবনার এডিএম থাকাকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ সময় স্থানীয় লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে ডিসিকেই প্রত্যাহার করা হয়। তাঁকেও ফেরত আনা হয়। তাঁরা তিনজনই বিসিএস ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
গতকাল পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৫২৪ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা মাত্র দেড় শ। এর মাত্র চার মাস আগে গত ২২ এপ্রিল প্রশাসনের ১৩০ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল হাসিনা সরকার।
গতকাল জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিসিএস নবম ব্যাচ থেকে শুরু করে ১৮তম ব্যাচ পর্যন্ত মোট ১৩১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নবম ব্যাচের ৩, দশম ব্যাচের ৪, ১১তম ব্যাচের ২৩, ১৩তম ব্যাচের ৩৩, ১৫তম ব্যাচের ২৩, ১৭তম ব্যাচের ৭ এবং ১৮তম ব্যাচের ৩৮ জন।
আরও খবর পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে