গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আজ ২০ মে ঐতিহাসিক চুকনগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ডুমুরিয়ার চুকনগরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সেদিন চুকনগরে কত মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব ছিল না। তবে তখনকার লাশবহনকারী শ্রমিকদের অন্যতম সদস্য আব্দুল জব্বার ও শের আলী সরদার এখনো বেঁচে আছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা ৪ হাজার ৪০০ পর্যন্ত লাশ গণনা করছি। এত লাশ যে আর গণনা ঠিক রাখতে পারিনি।’
তবে জানা গেছে, সেদিন ১০-১৫ হাজারের মতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এত অল্প সময়ে এক জায়গাতেই এত লোককে হত্যা করা হয়েছে যে, তার কোনো নজির বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায়নি। চুকনগরের এ নৃশংস ঘৃণ্যতম দৃশ্য পৃথিবীর ইতিহাসে সব গণহত্যার চেয়ে বর্বর বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে সারা দেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দুই মাস পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার সহ্য করে অবশেষে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বাগেরহাট, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মোংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে রওনা হয়ে ১৯ মে রাতের মধ্যে সবাই চুকনগরে এসে পৌঁছায়।
খুলনা জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চুকনগর শহর। এ জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিশ্রাম ও আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় চুকনগর শহরকে। ওই দিন রাতে কয়েক হাজার মানুষ চুকনগরের পাতোখোলা বিল, শহরের ভেতর, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে সমবেত হয়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সবারই মনে চাপা ক্ষোভ। জন্মভূমি ছেড়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে সবাইকে চলে যেতে হচ্ছে ভারতে। এই অবস্থায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কখন না জানি পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ওপর হামলা করে। এ আশঙ্কায় পরের দিনই চুকনগর শহর ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কেউ কেউ সকালের দিকে যাত্রা করে।
অন্যরা সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষে রওনা হবে। এ জন্য সকালে সবাই রান্না-বান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক এমনই মুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনীর ১টি ট্রাক ও ১টি জিপ চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ধরে মালতিয়া মোড়ের ঝাউতলা নামক স্থানে এসে হঠাৎ থেমে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে পাটখেতে কাজ করছিলেন চিকন আলী মোড়ল (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। গাড়ির শব্দে তিনি উঠে দাঁড়ালে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকেই প্রথমে গুলি করে হত্যা করে। শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বেলা প্রায় ১১টা হবে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনী চলে আসে চুকনগর শহরে। শুরু হয় গুলি। গুলির শব্দে আর এখানে জড়ো হওয়া নারী-পুরুষের আর্তচিৎকারে আকাশ, বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। চারদিকে শুধু কান্নার শব্দ। হুড়োহুড়ি আর দৌড়াদৌড়ি। এরপর সবকিছুই একসময় নীরব হয়ে যায়। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। পাকিস্তানি নরপশুরা সেদিন চুকনগর শহর, মন্দিরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। কোথাও লুকিয়ে ওদের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। চুকনগর সেদিন মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছিল।
পাকিস্তানিদের এই তাণ্ড ২-৩ ঘণ্টা ধরে চলে। এই স্বল্প সময়ে বর্বর এই বাহিনী চুকনগরে যেন মানুষ মারার হোলিখেলায় মেতে উঠেছিল। সেদিন মানুষের আর্তচিৎকার ও দৌড়াদৌড়িতে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে কত যে অবুঝ শিশু মারা গিয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই। কত শিশুকে তার মা ফেলে পালিয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ বাঁচতে পারেনি। কত শিশু মৃত মায়ের বুকের ওপর বসে দুধ পান করেছে। সে জানে না তার মা এ পৃথিবীতে নেই। আবার দেখা গেছে অসহায় মায়ের কোলে শিশুর লাশ। মাকে হারিয়ে কত শিশু অসহায়ের মতো বসে কেঁদেছে।
চুকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভদ্রা নদীতে ছিল লাশের বহর। ছিল তাজা রক্তের স্রোত। কোথাও পা ফেলার জায়গা ছিল না। চুকনগর শহরের অলিগলিতে, গাছে, নদীতে, ঘরের চালে, খালে-বিলে শুধু লাশ আর লাশ। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর চুকনগর শহর শকুন ও কুকুরের দখলে চলে যায় সেদিন। লাশ নিয়ে টানাটানি করেছিল শকুন আর কুকুর। এই করুণ দৃশ্য কখনো ভুলবার নয়।
সেদিন চুকনগরে কত মানুষ মারা গেছে, তার সঠিক হিসাব ছিল না। তবে তখনকার লাশবহনকারী ২২ জন শ্রমজীবীর অন্যতম সদস্য আব্দুল জব্বার ও শের আলী সরদার বলেন, আমরা ৪ হাজার ৪০০ পর্যন্ত গণনা করার পর আর ঠিক করতে পারিনি। এদিনটি শুধু চুকনগরের জন্য নয়। বাংলাদেশের জন্য একটি ভয়াল ও শোকাবহ দিন।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, চুকনগর গণহত্যার ঘটনাটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সঠিক স্থান তো দূরের কথা, নামটি পর্যন্তও স্থান পায়নি। পৃথিবীর এ জঘন্যতম ঘটনাটি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শুধু চুকনগরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এটি ব্যাপকভাবে প্রচারের উদ্যোগ নেন গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও চুকনগর কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম। এরপর চুকনগরের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডটি ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরার জন্য তিনি তৎপরতা শুরু করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।
এদিকে চুকনগর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় বধ্যভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন, বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ভদ্রা নদীতে ফুলের পাপড়ি ভাসানো, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ২০ মে ঐতিহাসিক চুকনগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ডুমুরিয়ার চুকনগরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সেদিন চুকনগরে কত মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব ছিল না। তবে তখনকার লাশবহনকারী শ্রমিকদের অন্যতম সদস্য আব্দুল জব্বার ও শের আলী সরদার এখনো বেঁচে আছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা ৪ হাজার ৪০০ পর্যন্ত লাশ গণনা করছি। এত লাশ যে আর গণনা ঠিক রাখতে পারিনি।’
তবে জানা গেছে, সেদিন ১০-১৫ হাজারের মতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এত অল্প সময়ে এক জায়গাতেই এত লোককে হত্যা করা হয়েছে যে, তার কোনো নজির বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায়নি। চুকনগরের এ নৃশংস ঘৃণ্যতম দৃশ্য পৃথিবীর ইতিহাসে সব গণহত্যার চেয়ে বর্বর বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে সারা দেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দুই মাস পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার সহ্য করে অবশেষে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বাগেরহাট, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মোংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে রওনা হয়ে ১৯ মে রাতের মধ্যে সবাই চুকনগরে এসে পৌঁছায়।
খুলনা জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চুকনগর শহর। এ জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিশ্রাম ও আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় চুকনগর শহরকে। ওই দিন রাতে কয়েক হাজার মানুষ চুকনগরের পাতোখোলা বিল, শহরের ভেতর, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে সমবেত হয়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সবারই মনে চাপা ক্ষোভ। জন্মভূমি ছেড়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে সবাইকে চলে যেতে হচ্ছে ভারতে। এই অবস্থায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কখন না জানি পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ওপর হামলা করে। এ আশঙ্কায় পরের দিনই চুকনগর শহর ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কেউ কেউ সকালের দিকে যাত্রা করে।
অন্যরা সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষে রওনা হবে। এ জন্য সকালে সবাই রান্না-বান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক এমনই মুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনীর ১টি ট্রাক ও ১টি জিপ চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ধরে মালতিয়া মোড়ের ঝাউতলা নামক স্থানে এসে হঠাৎ থেমে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে পাটখেতে কাজ করছিলেন চিকন আলী মোড়ল (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। গাড়ির শব্দে তিনি উঠে দাঁড়ালে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকেই প্রথমে গুলি করে হত্যা করে। শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বেলা প্রায় ১১টা হবে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনী চলে আসে চুকনগর শহরে। শুরু হয় গুলি। গুলির শব্দে আর এখানে জড়ো হওয়া নারী-পুরুষের আর্তচিৎকারে আকাশ, বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। চারদিকে শুধু কান্নার শব্দ। হুড়োহুড়ি আর দৌড়াদৌড়ি। এরপর সবকিছুই একসময় নীরব হয়ে যায়। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। পাকিস্তানি নরপশুরা সেদিন চুকনগর শহর, মন্দিরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। কোথাও লুকিয়ে ওদের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। চুকনগর সেদিন মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছিল।
পাকিস্তানিদের এই তাণ্ড ২-৩ ঘণ্টা ধরে চলে। এই স্বল্প সময়ে বর্বর এই বাহিনী চুকনগরে যেন মানুষ মারার হোলিখেলায় মেতে উঠেছিল। সেদিন মানুষের আর্তচিৎকার ও দৌড়াদৌড়িতে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে কত যে অবুঝ শিশু মারা গিয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই। কত শিশুকে তার মা ফেলে পালিয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ বাঁচতে পারেনি। কত শিশু মৃত মায়ের বুকের ওপর বসে দুধ পান করেছে। সে জানে না তার মা এ পৃথিবীতে নেই। আবার দেখা গেছে অসহায় মায়ের কোলে শিশুর লাশ। মাকে হারিয়ে কত শিশু অসহায়ের মতো বসে কেঁদেছে।
চুকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভদ্রা নদীতে ছিল লাশের বহর। ছিল তাজা রক্তের স্রোত। কোথাও পা ফেলার জায়গা ছিল না। চুকনগর শহরের অলিগলিতে, গাছে, নদীতে, ঘরের চালে, খালে-বিলে শুধু লাশ আর লাশ। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর চুকনগর শহর শকুন ও কুকুরের দখলে চলে যায় সেদিন। লাশ নিয়ে টানাটানি করেছিল শকুন আর কুকুর। এই করুণ দৃশ্য কখনো ভুলবার নয়।
সেদিন চুকনগরে কত মানুষ মারা গেছে, তার সঠিক হিসাব ছিল না। তবে তখনকার লাশবহনকারী ২২ জন শ্রমজীবীর অন্যতম সদস্য আব্দুল জব্বার ও শের আলী সরদার বলেন, আমরা ৪ হাজার ৪০০ পর্যন্ত গণনা করার পর আর ঠিক করতে পারিনি। এদিনটি শুধু চুকনগরের জন্য নয়। বাংলাদেশের জন্য একটি ভয়াল ও শোকাবহ দিন।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, চুকনগর গণহত্যার ঘটনাটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সঠিক স্থান তো দূরের কথা, নামটি পর্যন্তও স্থান পায়নি। পৃথিবীর এ জঘন্যতম ঘটনাটি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শুধু চুকনগরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এটি ব্যাপকভাবে প্রচারের উদ্যোগ নেন গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও চুকনগর কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম। এরপর চুকনগরের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডটি ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরার জন্য তিনি তৎপরতা শুরু করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।
এদিকে চুকনগর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় বধ্যভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন, বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ভদ্রা নদীতে ফুলের পাপড়ি ভাসানো, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে