ইমরান হোসাইন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
পেকুয়াকক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধভাবে চলছে ২৫টি করাতকল। অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী চক্রের কবলে পড়ে দিন দিন গাছগাছালি কমছে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমির। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
স্থানীয় পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকার কারণে অধিক হারে বাড়ছে করাতকল। অথচ বন বিভাগের নীতিমালায় রয়েছে, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। করাতকল চালাতে হলে প্রয়োজন হবে লাইসেন্স। কিন্তু এসব নিয়মনীতির বালাই নেই পেকুয়া উপজেলায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচার পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাসউদ বিন জলিল বলেন, ‘করাতকলের প্রভাবশালী মালিকদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। তাই তাঁরা টুঁ-শব্দ করেন না। এদিকে প্রতিনিয়ত বনভূমির গাছ নিধনের ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। একই সঙ্গে বিপন্ন হচ্ছে বন্য পশুপাখি। বনাঞ্চলসহ পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটি থাকলেও এর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি এবং পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরও ১০টি করাতকল। অনুমোদনহীন এসব করাতকলে দিনরাত দেদার চলছে সংরক্ষিত বনের চোরাই কাঠ চেরাই। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মূল্যবান গর্জন, সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাদারট্রি কেটে নদীপথে পাচার করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। পেকুয়া বাজারকেন্দ্রিক প্রভাবশালী একটি চক্র এ কাজে জড়িত।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁর ইউনিয়নে চারটি করাতকল রয়েছে। অথচ এসব করাতকল থেকে টইটং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। সরকারি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এসব করাতকল স্থাপিত হয়েছে।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ‘যে যার মতো যেখানে-সেখানেই স্থাপন করছে করাতকল। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে প্রায় ১২ থেকে ১৪টি করাতকল স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এসব করাতকল থেকে বনাঞ্চলের দূরত্ব খুবই কম।’
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, টইটং ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষেই আবর শাহ বাজারে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি করাতকল। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ চলে যাচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন উপজেলায়।
বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, বারবাকিয়া বন বিটের অধীন এলাকায় ২০টি, টইটংয়ে ২টি ও পহরচাঁদায় ৩টি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এসব করাতকল সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেকুয়াকক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধভাবে চলছে ২৫টি করাতকল। অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী চক্রের কবলে পড়ে দিন দিন গাছগাছালি কমছে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমির। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
স্থানীয় পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকার কারণে অধিক হারে বাড়ছে করাতকল। অথচ বন বিভাগের নীতিমালায় রয়েছে, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। করাতকল চালাতে হলে প্রয়োজন হবে লাইসেন্স। কিন্তু এসব নিয়মনীতির বালাই নেই পেকুয়া উপজেলায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচার পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাসউদ বিন জলিল বলেন, ‘করাতকলের প্রভাবশালী মালিকদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। তাই তাঁরা টুঁ-শব্দ করেন না। এদিকে প্রতিনিয়ত বনভূমির গাছ নিধনের ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। একই সঙ্গে বিপন্ন হচ্ছে বন্য পশুপাখি। বনাঞ্চলসহ পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটি থাকলেও এর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি এবং পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরও ১০টি করাতকল। অনুমোদনহীন এসব করাতকলে দিনরাত দেদার চলছে সংরক্ষিত বনের চোরাই কাঠ চেরাই। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মূল্যবান গর্জন, সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাদারট্রি কেটে নদীপথে পাচার করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। পেকুয়া বাজারকেন্দ্রিক প্রভাবশালী একটি চক্র এ কাজে জড়িত।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁর ইউনিয়নে চারটি করাতকল রয়েছে। অথচ এসব করাতকল থেকে টইটং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। সরকারি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এসব করাতকল স্থাপিত হয়েছে।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ‘যে যার মতো যেখানে-সেখানেই স্থাপন করছে করাতকল। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে প্রায় ১২ থেকে ১৪টি করাতকল স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এসব করাতকল থেকে বনাঞ্চলের দূরত্ব খুবই কম।’
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, টইটং ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষেই আবর শাহ বাজারে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি করাতকল। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ চলে যাচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন উপজেলায়।
বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, বারবাকিয়া বন বিটের অধীন এলাকায় ২০টি, টইটংয়ে ২টি ও পহরচাঁদায় ৩টি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এসব করাতকল সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে