শিপুল ইসলাম, রংপুর
করোনা মহামারির সময় রংপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল গ্রন্থাগারগুলো। এ সময় শিক্ষার্থীসহ বইপ্রেমী পাঠকেরা ঝুঁকে পড়েন ইন্টারনেটের দিকে। বইয়ের পাতার জায়গা দখল করে নেয় কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন। সেই প্রভাব এখনো বহাল রয়েছে এবং এর জেরে গ্রন্থাগারে কমেছে পাঠকের উপস্থিতি।
১৮৩২ সালে স্থাপিত রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে গত রোববার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে। আশপাশে খোঁজ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে চার-পাঁচ শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ও ভেতরে আটজন পড়াশোনায় ব্যস্ত। সেখানে কথা হয় কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে।তিনি বলেন, ‘নিয়মিত আসি। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। যাঁরা বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করেন, তাঁদের জন্য এটা বেটার জায়গা। তবে এখানে বই খুঁজে পাওয়া নিয়ে সমস্যায় আছি।’
ওই গ্রন্থাগারে কথা হয় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাবাসসুম আক্তারের সঙ্গে। সে বলে, ‘লাইব্রেরিতে আসার উদ্দেশ্য হলো এখানে একসঙ্গে অনেকগুলো বই পাওয়া যায়। সেগুলো একত্র করে আমরা নোট করি। কোনো সাড়াশব্দ নেই, আপন মনে পড়া ও লেখা যায়।’
পাঠককক্ষের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রউফ জানান, অন্যান্য গ্রন্থাগারের চেয়ে এখানে পাঠের সুন্দর পরিবেশ আছে। পাঠকের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। অনেকে গবেষণার কাজে আসেন। তবে করোনার সময় থেকে পাঠকসংখ্যা কিছুটা কমেছে।
বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের তথ্য অনুযায়ী, এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫৫ হাজার বই আছে। প্রতিবছর ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নতুন বই যোগ হয়। এখন প্রতিদিন গড়ে ২৫০ পাঠক আসেন। শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গ্রন্থাগারটি খোলা থাকে। বইয়ের পাশাপাশি এখানে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
রংপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারটি বেশ পরিপাটি। সেখানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আইসিটি সেন্টার। তবে কোনো লাইব্রেরিয়ান নেই। এখানে দায়িত্বরত কর্মচারী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী আসত।
করোনার পর থেকে সেই সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই এখন অনলাইননির্ভর হয়ে গেছে। গ্রন্থাগারে ৩০ হাজারেরও বেশি বই আছে।প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১ হাজার ৫০০ বই যোগ হয়।
নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। গত বছর সেখানে সরকারিভাবে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয় বই কেনা বাবদ। গ্রন্থাগারের খোঁজ করতেই প্রধান শিক্ষক রহমত আলম শিক্ষকদের কক্ষ দেখিয়ে দেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের একটি আলমারিতে কিছুসংখ্যক বই। লাইব্রেরিয়ান ফেরদৌসী বেগম দাবি করেন, তাঁদের গ্রন্থাগার আছে। কক্ষ না থাকায় আপাতত অফিসকক্ষের আলমারিতে বই রাখা হয়েছে।
করোনা মহামারির সময় রংপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল গ্রন্থাগারগুলো। এ সময় শিক্ষার্থীসহ বইপ্রেমী পাঠকেরা ঝুঁকে পড়েন ইন্টারনেটের দিকে। বইয়ের পাতার জায়গা দখল করে নেয় কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন। সেই প্রভাব এখনো বহাল রয়েছে এবং এর জেরে গ্রন্থাগারে কমেছে পাঠকের উপস্থিতি।
১৮৩২ সালে স্থাপিত রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে গত রোববার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে। আশপাশে খোঁজ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে চার-পাঁচ শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ও ভেতরে আটজন পড়াশোনায় ব্যস্ত। সেখানে কথা হয় কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে।তিনি বলেন, ‘নিয়মিত আসি। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। যাঁরা বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করেন, তাঁদের জন্য এটা বেটার জায়গা। তবে এখানে বই খুঁজে পাওয়া নিয়ে সমস্যায় আছি।’
ওই গ্রন্থাগারে কথা হয় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাবাসসুম আক্তারের সঙ্গে। সে বলে, ‘লাইব্রেরিতে আসার উদ্দেশ্য হলো এখানে একসঙ্গে অনেকগুলো বই পাওয়া যায়। সেগুলো একত্র করে আমরা নোট করি। কোনো সাড়াশব্দ নেই, আপন মনে পড়া ও লেখা যায়।’
পাঠককক্ষের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রউফ জানান, অন্যান্য গ্রন্থাগারের চেয়ে এখানে পাঠের সুন্দর পরিবেশ আছে। পাঠকের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। অনেকে গবেষণার কাজে আসেন। তবে করোনার সময় থেকে পাঠকসংখ্যা কিছুটা কমেছে।
বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের তথ্য অনুযায়ী, এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫৫ হাজার বই আছে। প্রতিবছর ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নতুন বই যোগ হয়। এখন প্রতিদিন গড়ে ২৫০ পাঠক আসেন। শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গ্রন্থাগারটি খোলা থাকে। বইয়ের পাশাপাশি এখানে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
রংপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারটি বেশ পরিপাটি। সেখানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আইসিটি সেন্টার। তবে কোনো লাইব্রেরিয়ান নেই। এখানে দায়িত্বরত কর্মচারী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী আসত।
করোনার পর থেকে সেই সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই এখন অনলাইননির্ভর হয়ে গেছে। গ্রন্থাগারে ৩০ হাজারেরও বেশি বই আছে।প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১ হাজার ৫০০ বই যোগ হয়।
নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। গত বছর সেখানে সরকারিভাবে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয় বই কেনা বাবদ। গ্রন্থাগারের খোঁজ করতেই প্রধান শিক্ষক রহমত আলম শিক্ষকদের কক্ষ দেখিয়ে দেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের একটি আলমারিতে কিছুসংখ্যক বই। লাইব্রেরিয়ান ফেরদৌসী বেগম দাবি করেন, তাঁদের গ্রন্থাগার আছে। কক্ষ না থাকায় আপাতত অফিসকক্ষের আলমারিতে বই রাখা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে