কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের তিন যুবক ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও শাহাদাৎ। বেকারত্ব দূর করতে ছয় বিঘা জমিতে গড়ে তোলা তাঁদের কৃষি খামারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে দুশ্চিন্তায় থাকলেও পরে ভালো ফলন পাওয়ায় পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের পরিশ্রমকে কৃষিতে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা।
গত বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সিরাজগঞ্জ খোকশাবাড়ি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে সংগ্রহ করেন কাশ্মীরি কুলের ১০০ চারা, মালটার ১০০ ও থাই পিয়ারার প্রায় ৬০০ চারা। তা নিয়ে তাঁদের এ খামারের যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের বাগান যেন বর্তমানে সবুজ-লাল রঙে ছেয়ে গেছে।
বর্তমানে তাঁদের বাগানের প্রতি মণ কুল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা করে। ১০০টি গাছে থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ কুল বিক্রি করবেন। কিছুদিন আগে তাঁরা প্রায় ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিজেদের তেমন ফসলি জমি না থাকায় পাঁচ বছর আগে দেড় লাখ টাকায় ছয় বিঘা পতিত জমি লিজ নেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাতের পরামর্শে তিন বন্ধু পড়ালেখার পাশাপাশি সেই পতিত জমিতে মিশ্র ফল বাগান করেন।
ওমর ফারুক আরও জানান, উপজেলায় তাঁরা বেশ লাভের মুখ দেখেছেন। প্রতিটি ফলগাছ অনেক সুন্দর হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানা পরামর্শ দিয়ে তাঁদের কাজে সহায়তা করছে। আশা করছেন ভবিষ্যতে তাঁরা কৃষির ব্যাপক বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।
কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মূল কৃষকের পাশাপাশি ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও শাহাদাতের মতো ৪৮ জন তরুণ কৃষককে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও সারিতে চারা রোপণ, আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে ধান চাষ, পেঁপে চারা উৎপাদন, অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান, ফলের বাগান, ধানের নতুন জাত সম্প্রসারণের জন্য সার, বীজ, প্রণোদনাসহ নানা ধরনের সেবা দিচ্ছেন। যাতে উপজেলাতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে তরুণ কৃষকেরা স্বাবলম্বী হন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিন যুবক এ কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। আমরা নিয়মিত তাঁদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং নিয়মিত তাঁদের কৃষি খামার পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি তাঁরা তাঁদের এ চিন্তাধারার বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।’
এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তরুণ কৃষকদের সাধারণ কৃষকের চেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে থাকি। কিন্তু তরুণ কৃষক এ পেশায় আসতে চান না। তবে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন বেকার তরুণ কৃষকেরা যাতে চাকরির পেছনে ছুটে সময় নষ্ট না করে কৃষিতে মনোযোগ দিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। সে বিষয়গুলো নিয়েও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।’
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের তিন যুবক ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও শাহাদাৎ। বেকারত্ব দূর করতে ছয় বিঘা জমিতে গড়ে তোলা তাঁদের কৃষি খামারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে দুশ্চিন্তায় থাকলেও পরে ভালো ফলন পাওয়ায় পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের পরিশ্রমকে কৃষিতে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা।
গত বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সিরাজগঞ্জ খোকশাবাড়ি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে সংগ্রহ করেন কাশ্মীরি কুলের ১০০ চারা, মালটার ১০০ ও থাই পিয়ারার প্রায় ৬০০ চারা। তা নিয়ে তাঁদের এ খামারের যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের বাগান যেন বর্তমানে সবুজ-লাল রঙে ছেয়ে গেছে।
বর্তমানে তাঁদের বাগানের প্রতি মণ কুল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা করে। ১০০টি গাছে থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ কুল বিক্রি করবেন। কিছুদিন আগে তাঁরা প্রায় ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিজেদের তেমন ফসলি জমি না থাকায় পাঁচ বছর আগে দেড় লাখ টাকায় ছয় বিঘা পতিত জমি লিজ নেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাতের পরামর্শে তিন বন্ধু পড়ালেখার পাশাপাশি সেই পতিত জমিতে মিশ্র ফল বাগান করেন।
ওমর ফারুক আরও জানান, উপজেলায় তাঁরা বেশ লাভের মুখ দেখেছেন। প্রতিটি ফলগাছ অনেক সুন্দর হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানা পরামর্শ দিয়ে তাঁদের কাজে সহায়তা করছে। আশা করছেন ভবিষ্যতে তাঁরা কৃষির ব্যাপক বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।
কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মূল কৃষকের পাশাপাশি ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও শাহাদাতের মতো ৪৮ জন তরুণ কৃষককে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি ও সারিতে চারা রোপণ, আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে ধান চাষ, পেঁপে চারা উৎপাদন, অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান, ফলের বাগান, ধানের নতুন জাত সম্প্রসারণের জন্য সার, বীজ, প্রণোদনাসহ নানা ধরনের সেবা দিচ্ছেন। যাতে উপজেলাতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে তরুণ কৃষকেরা স্বাবলম্বী হন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিন যুবক এ কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। আমরা নিয়মিত তাঁদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং নিয়মিত তাঁদের কৃষি খামার পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি তাঁরা তাঁদের এ চিন্তাধারার বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।’
এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তরুণ কৃষকদের সাধারণ কৃষকের চেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে থাকি। কিন্তু তরুণ কৃষক এ পেশায় আসতে চান না। তবে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন বেকার তরুণ কৃষকেরা যাতে চাকরির পেছনে ছুটে সময় নষ্ট না করে কৃষিতে মনোযোগ দিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। সে বিষয়গুলো নিয়েও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে