জিল্লুর রহমান, মান্দা ও সিরাজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
বরেন্দ্র জনপদের নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার। শস্যভান্ডার ও আম উৎপাদনের খ্যাতি রয়েছে নওগাঁর এ তিন উপজেলার। সংসদ নির্বাচনে এসব উপজেলা পরিচিত নওগাঁ-১ আসন হিসেবে। আর আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সাধন চন্দ্র মজুমদার, যিনি সরকারের খাদ্যমন্ত্রী। শস্য আর খাদ্যের এই অদ্ভুত মিল থাকলেও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধনের মসনদে কিছুটা কাঁপন ধরিয়েছিল বিএনপি। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাই বেশ সাবধানে এগিয়ে যাচ্ছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন এবারও সাধনকে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও তেমন নেই। এসব কারণে দলীয়ভাবে খাদ্যমন্ত্রী কিছুটা ফুরফুরে থাকলেও নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ফল পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। এ জন্য নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে থেকেই মাঠে আওয়ামী লীগের সমর্থক বাড়াতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন এই নেতা।
নির্বাচনী সমীক্ষায় জানা যায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সাল ছাড়া আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এ দুবার ডা. ছালেক চৌধুরীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি কবজা করেছিল বিএনপি। ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে জিতে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের প্রিয় অনুসারী ছিলেন।
২০০৮ সালে ছালেক চৌধুরীর পরাজয়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। পরে বিভক্তির কারণে দলটির ঐক্য দিন দিন ভঙ্গুর দশায় পতিত হয়েছে। কিছুদিন রাজনীতির মাঠ থেকে আড়ালে ছিলেন ছালেক চৌধুরী। এ সময় বিএনপির হাল ধরেছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
গত নির্বাচনে ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিলেও নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে প্রার্থী পরিবর্তন করে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। মাত্র পাঁচ দিনের প্রচারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। আগামী নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন দুবারের এমপি ছালেক চৌধুরী। আর জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে আকবর আলী কালুর নেতৃত্বে।
তিন উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে তাঁরা নির্বাচনের কথা ভাবছেন না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ১০ দফার আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে থাকবেন।
অন্যদিকে বিএনপির বিচ্ছিন্নতার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। তৃণমূলকে নির্বাচনমুখী করতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশনা।
নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বলেন, সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে তিনি এ আসনে আবারও ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবেন। তা ছাড়া, সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ খুব শক্তিশালী, যার কারণে অন্য প্রার্থীদের থেকে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে থাকবেন।
বিএনপির ছালেক চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে কোনো কিছুই তিনি ভাবছেন না। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন কেন্দ্রীয় ১০ দফা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব।’
জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী আকবর আলী কালু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। জাতীয় পার্টি জোটে থাকলে জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব। জোটে না থাকলে এ আসনে জাতীয় পার্টি যাকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকেই সমর্থন দেব।’
এ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে না বলে জানা গেছে। তবে এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই আসনে জামায়াতের ভোটারের সংখ্যা মন্দ নয়।
বরেন্দ্র জনপদের নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার। শস্যভান্ডার ও আম উৎপাদনের খ্যাতি রয়েছে নওগাঁর এ তিন উপজেলার। সংসদ নির্বাচনে এসব উপজেলা পরিচিত নওগাঁ-১ আসন হিসেবে। আর আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সাধন চন্দ্র মজুমদার, যিনি সরকারের খাদ্যমন্ত্রী। শস্য আর খাদ্যের এই অদ্ভুত মিল থাকলেও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধনের মসনদে কিছুটা কাঁপন ধরিয়েছিল বিএনপি। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাই বেশ সাবধানে এগিয়ে যাচ্ছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন এবারও সাধনকে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও তেমন নেই। এসব কারণে দলীয়ভাবে খাদ্যমন্ত্রী কিছুটা ফুরফুরে থাকলেও নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ফল পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। এ জন্য নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে থেকেই মাঠে আওয়ামী লীগের সমর্থক বাড়াতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন এই নেতা।
নির্বাচনী সমীক্ষায় জানা যায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সাল ছাড়া আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এ দুবার ডা. ছালেক চৌধুরীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি কবজা করেছিল বিএনপি। ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে জিতে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের প্রিয় অনুসারী ছিলেন।
২০০৮ সালে ছালেক চৌধুরীর পরাজয়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। পরে বিভক্তির কারণে দলটির ঐক্য দিন দিন ভঙ্গুর দশায় পতিত হয়েছে। কিছুদিন রাজনীতির মাঠ থেকে আড়ালে ছিলেন ছালেক চৌধুরী। এ সময় বিএনপির হাল ধরেছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
গত নির্বাচনে ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিলেও নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে প্রার্থী পরিবর্তন করে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। মাত্র পাঁচ দিনের প্রচারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। আগামী নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন দুবারের এমপি ছালেক চৌধুরী। আর জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে আকবর আলী কালুর নেতৃত্বে।
তিন উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে তাঁরা নির্বাচনের কথা ভাবছেন না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ১০ দফার আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে থাকবেন।
অন্যদিকে বিএনপির বিচ্ছিন্নতার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। তৃণমূলকে নির্বাচনমুখী করতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশনা।
নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বলেন, সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে তিনি এ আসনে আবারও ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবেন। তা ছাড়া, সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ খুব শক্তিশালী, যার কারণে অন্য প্রার্থীদের থেকে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে থাকবেন।
বিএনপির ছালেক চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে কোনো কিছুই তিনি ভাবছেন না। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন কেন্দ্রীয় ১০ দফা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব।’
জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী আকবর আলী কালু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। জাতীয় পার্টি জোটে থাকলে জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব। জোটে না থাকলে এ আসনে জাতীয় পার্টি যাকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকেই সমর্থন দেব।’
এ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে না বলে জানা গেছে। তবে এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই আসনে জামায়াতের ভোটারের সংখ্যা মন্দ নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে