ড. মুফতি হুমায়ুন কবির
আল্লাহ তাআলার মর্যাদার সঙ্গে কারও মর্যাদার তুলনা হতে পারে না। তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা; তাঁর সঙ্গে কোনো সৃষ্টির তুলনা চলে না। মহান আল্লাহর পরে নবী-রাসুলদের মর্যাদা। আর রাসুলদের মধ্যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ। সেদিকে ইঙ্গিত করেই মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘মহান আল্লাহ ইবরাহিমের সন্তানদের মধ্য থেকে ইসমাইলকে নির্বাচিত করেছেন। ইসমাইলের সন্তানদের মধ্য থেকে বনি কিনানাকে নির্বাচিত করেছেন। বনি কিনানার মধ্য থেকে কুরাইশকে নির্বাচিত করেছেন। কুরাইশদের মধ্য থেকে বনি হাশিমকে নির্বাচিত করেছেন। আর বনি হাশিমের মধ্য থেকে আমাকে নির্বাচিত করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৬০৫)
আল্লাহ তাআলার গুণাবলির মধ্যে যেমন কোনো অংশীদার নেই, ঠিক তেমনি মহানবী (সা.)-এর গুণাগুণের ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়; সকল সৃষ্টির মধ্যে অতুলনীয়। অন্য নবী-রাসুলদের মতো তাঁকেও আল্লাহ নিজেই নবুওয়াতের জন্য নির্বাচিত করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি ইসা ইবনে মারইয়ামের কাছাকাছি সময়ের। দুনিয়া ও আখেরাতে সব নবী সৎভাই; তাঁদের মা ভিন্ন হলেও ধর্ম এক (অর্থাৎ, আমলের ক্ষেত্রে ভিন্ন হলেও তওহিদের ক্ষেত্রে তাঁরা সবাই এক ও অভিন্ন)।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৩)
তবে পরিতাপের বিষয় হলো, মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা নির্ণয়ে অনেকে বাড়াবাড়ি করে; আল্লাহর জন্য নির্ধারিত গুণাগুণে তাঁকে অংশীদার সাব্যস্ত করে। আবার কেউ কেউ তাঁকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলাতে পছন্দ করে। দুই ধরনের চিন্তাই বাড়াবাড়ির নামান্তর; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইসলাম মধ্যপন্থার ধর্ম; সবকিছুতে ভারসাম্য রক্ষা করতে বলে ইসলাম। তাই মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা নির্ণয় করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করা ইসলাম সমর্থন করে না। আকাবার শপথের দিন মহানবী (সা.) বললেন, ‘হে লোক সকল, অতিরঞ্জন থেকে নিজেদের বিরত রাখো। কেননা তোমাদের আগের জাতিগুলো ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩০২৯)
বাড়াবাড়ির পরিণাম গোমরাহির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হওয়া এবং ইমান-আকিদা নষ্ট হওয়া। খোদ মহানবীই (সা.) তাঁর মর্যাদার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করতে বলে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি কোরো না, যেমন খ্রিষ্টানরা ইসা ইবনে মারইয়ামের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছিল। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর বান্দা। তাই তোমরা আমার ব্যাপারে বলো, “তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল”।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৫)
ড. মুফতি হুমায়ুন কবির, সহকারী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলার মর্যাদার সঙ্গে কারও মর্যাদার তুলনা হতে পারে না। তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা; তাঁর সঙ্গে কোনো সৃষ্টির তুলনা চলে না। মহান আল্লাহর পরে নবী-রাসুলদের মর্যাদা। আর রাসুলদের মধ্যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ। সেদিকে ইঙ্গিত করেই মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘মহান আল্লাহ ইবরাহিমের সন্তানদের মধ্য থেকে ইসমাইলকে নির্বাচিত করেছেন। ইসমাইলের সন্তানদের মধ্য থেকে বনি কিনানাকে নির্বাচিত করেছেন। বনি কিনানার মধ্য থেকে কুরাইশকে নির্বাচিত করেছেন। কুরাইশদের মধ্য থেকে বনি হাশিমকে নির্বাচিত করেছেন। আর বনি হাশিমের মধ্য থেকে আমাকে নির্বাচিত করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৬০৫)
আল্লাহ তাআলার গুণাবলির মধ্যে যেমন কোনো অংশীদার নেই, ঠিক তেমনি মহানবী (সা.)-এর গুণাগুণের ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়; সকল সৃষ্টির মধ্যে অতুলনীয়। অন্য নবী-রাসুলদের মতো তাঁকেও আল্লাহ নিজেই নবুওয়াতের জন্য নির্বাচিত করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি ইসা ইবনে মারইয়ামের কাছাকাছি সময়ের। দুনিয়া ও আখেরাতে সব নবী সৎভাই; তাঁদের মা ভিন্ন হলেও ধর্ম এক (অর্থাৎ, আমলের ক্ষেত্রে ভিন্ন হলেও তওহিদের ক্ষেত্রে তাঁরা সবাই এক ও অভিন্ন)।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৩)
তবে পরিতাপের বিষয় হলো, মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা নির্ণয়ে অনেকে বাড়াবাড়ি করে; আল্লাহর জন্য নির্ধারিত গুণাগুণে তাঁকে অংশীদার সাব্যস্ত করে। আবার কেউ কেউ তাঁকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলাতে পছন্দ করে। দুই ধরনের চিন্তাই বাড়াবাড়ির নামান্তর; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইসলাম মধ্যপন্থার ধর্ম; সবকিছুতে ভারসাম্য রক্ষা করতে বলে ইসলাম। তাই মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা নির্ণয় করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করা ইসলাম সমর্থন করে না। আকাবার শপথের দিন মহানবী (সা.) বললেন, ‘হে লোক সকল, অতিরঞ্জন থেকে নিজেদের বিরত রাখো। কেননা তোমাদের আগের জাতিগুলো ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩০২৯)
বাড়াবাড়ির পরিণাম গোমরাহির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হওয়া এবং ইমান-আকিদা নষ্ট হওয়া। খোদ মহানবীই (সা.) তাঁর মর্যাদার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করতে বলে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি কোরো না, যেমন খ্রিষ্টানরা ইসা ইবনে মারইয়ামের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছিল। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর বান্দা। তাই তোমরা আমার ব্যাপারে বলো, “তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল”।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৫)
ড. মুফতি হুমায়ুন কবির, সহকারী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে